আজকাল আমার অনিদ্রা রোগের মত হয়েছে। উল্লুকের ন্যায় রাত জাগি, হুদাহুদি-খামাখা। অহেতুক ভারী-ভারী চিন্তা ঝাঁপিয়ে পড়ে কিন্তু মাথা ফাঁকা দেখে চিন্তা বাবাজীরা বেদনাহত হয় পালায়!
নতুন একটা পোকা ঢুকেছে মাথায়...ভাবছি একটা টেলিস্কোপ যোগাড় করব। আকাশ
দেখব। আকাশ দেখে কী হবে এটা অবশ্য আমার জানা নাই। আকাশপানে তাকিয়ে গাল দেওয়া গেলে
চোঙা লাগিয়ে তাকিয়ে থাকতে দোষ কোথায়!
তো, নিশাচর ড্রাকুলার মত রাত জেগে যথারীতি পরদিন ঘুম ভাঙ্গে বেলা করে। এমন একটা সময়ে কেউ সকাল-সকাল ফোন দিলে...। এখন বুঝতে পারি ফোন কেন শক্ত জিনিস দিয়ে বানানো হয়। সোজা, জিনিসটা যেন চিবিয়ে ফেলা না-যায়। যেমনটা তখন আমার মনে হচ্ছিল, জিনিসটা চিবিয়ে ফেললে মন্দ হয় না।
তো, নিশাচর ড্রাকুলার মত রাত জেগে যথারীতি পরদিন ঘুম ভাঙ্গে বেলা করে। এমন একটা সময়ে কেউ সকাল-সকাল ফোন দিলে...। এখন বুঝতে পারি ফোন কেন শক্ত জিনিস দিয়ে বানানো হয়। সোজা, জিনিসটা যেন চিবিয়ে ফেলা না-যায়। যেমনটা তখন আমার মনে হচ্ছিল, জিনিসটা চিবিয়ে ফেললে মন্দ হয় না।
ফোন করেছেন মোস্তফা সাহেব [১]। ঘটনা কী! তিনি নাকি কোন এক পির
সাহেবের দরগায় এসেছিলেন এরপর টাকা-পয়সা খোয়া গেছে ইত্যাদি, ইত্যাদি...। এটা শুনে মুক্তকচ্ছ হয়ে দৌড়
দেওয়ার কোনও তাগিদ অনুভব করছিলাম না কারণ আমি যথার্থই বিরক্ত। চরম বিরক্তির কারণটা
পরে বলছি।
দেখা হওয়া পর দেখা গেল, মোস্তফা পূর্ব থেকেই এখানে যেহেতু অনেকের
পরিচিত- যে পুলিশ সদস্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, যে কলাবিক্রেতা বিক্রি ফেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সঙ্গ দিয়েছিলেন এখানে
এরা সবাই আছেন। মোস্তফা আমাকে বললেন, ‘এট্টু এদিকে আসেন’।
আমি সরোষে বললাম, ‘এদিক-ওদিক না, কানে-কানে
কোনও কানাকানি নাই- ঘটনা কি আগে সেইটা বলেন’?
ঘটনা এমন। মোস্তফাকে চলন্ত ট্রেন থেকে পিটিয়ে ফেলে দেওয়ার পর তিনি বাঁচার আশা ছেড়েই
দিয়েছেলেন। এখন পিরের দরগায় মুরগি দিতে এসেছেন, মানত।
আমি রাগ চেপে বলি, ‘পির সাহেব মুরগি দিয়া কী
করব, খাইব? মরা মানুষ কখনও মুরগি খায় এমনটা তো শুনি নাই! আপনার মুরগি খাইব তো পির
সাহেবের খাদেম সাহেবরা। এতে পির সাবের কী লাভ আর আপনারই বা কী লাভ! এই যে আশেপাশ লোকগুলা দাঁড়ায়া আছে
এরাই আপনার প্রাণ
বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করল আপনি এদেরকে মুরগি না-হোক এক ঠোঙা বাদাম খাওয়াতেন তাও
না-হয় হতো কিন্তু তা না-করে মুরগি দিলেন গিয়ে পির সাহেবকে। আরেকটা কথা, আপনি এখনে
এসেছেন কাল কিন্তু কারও সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেননি। লাফাইতে লাফাইতে গেলেন পির সাবের কাছে। বিষয় কী! এখন আজ আমাদের
সঙ্গে দেখা করছেন দায়ে পড়ে, তাই না? তা পির সাব আপনার বাড়ি ফেরার সমস্যার সমাধান
করতে পারলেন না’?
আসলে মোস্তফাকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমি যেটা বারবার বলি, আমাদের দেশটা
বড়ো বিচিত্র। এখানে মৃত একজন জীবিত মানুষের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এদেশে কালে-কালে একজন মৃত মানুষ ছাড়িয়ে যান সমস্ত জীবিত
মানুষকে, ক্রমশ দেবতার পর্যায়ে চলে যান। এটা রাজনীতিকদের বেলায়ও খাটে। কেউ যদি
এমনটা দাবী করেন ওই সমস্ত দেবতারা বেঁচে থাকতে বাথরুমও করতেন না আমি মেনে নেব
অন্তত এই নিয়ে কুতর্কে যাব না। যে দেশের যে চল...।
সহায়ক সূত্র:
১. ঘরের ছেলে...: http://www.ali-mahmed.com/2014/04/blog-post_11.html
সহায়ক সূত্র:
১. ঘরের ছেলে...: http://www.ali-mahmed.com/2014/04/blog-post_11.html
No comments:
Post a Comment