“চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়নি, বরং শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ‘ঠাট্টায়’ সাংবাদিক ‘পালিয়েছিলেন’ বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
… পরবর্তী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ওই সাংবাদিক কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রোগী ও তার স্ত্রী অজানা শঙ্কা থেকে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিয়মবিরোধী কাজ করেছেন।...“সূত্র: bdnews24.com (http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article794449.bdnews)
এই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করার পর মাননীয় বিচারক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে নতুন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
চার সদস্যের এক কমিটি এই প্রতিবেদনটি যে বিস্তর যন্ত্রণা করে প্রসব করেছেন এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমি তাদের প্রসবযন্ত্রণার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। এবং এই দুঃসাধ্য কর্ম করতে গিয়ে তাদের কীরূপ সসেমিরা বা বাহ্যজ্ঞানশূন্য অবস্থা হয়েছিল তা খানিকটা আঁচ করতে পারি।
তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে জরুরি যে বিষয়টি নেই তা হচ্ছে, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ঠাট্টাচ্ছলে ওই সাংবাদিককে এই কথাটা বলেছিলেন কেন! এদের মধ্যে কী রসিকতার সম্পর্ক আছে? মামা-ভাগিনা, শালা-দুলাভাই টাইপের? এমনটা হয়ে থাকলে আমার কোনও বক্তব্য নাই কারণ এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। এটা তারা পারিবারিক ভাবেই শেষ করবে। আমার নাক গলাবার কোনও গোপন ইচ্ছা নাই।
সাংবাদিক মহোদয়গণ এই সংবাদে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য দিয়েছেন কেবল কাজের তথ্যটাই দেননি! অসাধারণ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন চার কুতুব, এরা কারা, এরে নাম কি? আর মাননীয় আদালত এই প্রতিবেদনে তুষ্ট হননি আবারও নতুন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের প্রতি অসম্ভব ভাল লাগা কিন্তু এই চার কুতুবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালে আরও ভাল লাগত। কারণ ভবিষ্যতে অন্য কেউ এমন ফাজলামি করার পূর্বে দ্বিতীয়বার চিন্তা করত।
চার কুতুবের জন্য বাচ্চাদের ছড়া আওড়াই:
"আবারও করলে এমন ঠাট্টা
মাথয় মারব এক রাম গাট্টা।"
No comments:
Post a Comment