তৎকালীন সরকারি শ্বেতপত্রে বলা হয়:
“…As soon as the jeep reached near tri-junction in front…about 20 to 30 armed troops stopped the vehicle and asked the officer to allow them to search it. Before he could say anything, they opened the
back door and found the general (Manzoor) …
When Captain
Emdad returned…they found Major General Manzoor lying face-down in the drain
with a gaping hole in the back of his head…”
“…in the end, Manzoor, Mehboob
and Moti were buried without fuss in unmarked graves in the Chittagong cantonment graveyard much against the
wishes of the troops…”
–Bangladesh: A Legacy of Blood/ ANTHONY MASCARENHAS
জেনারেল মঞ্জুরের শেষ সময়
পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেজর রেজাউল করিম (অব.), যিনি জেনারেল মঞ্জুরের
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম
সেনাবিদ্রোহ মামলায় ১০ বছর সাজা হয় তার। ধরা পড়ার পর তদেরকে আলাদা করে ফেলা হয়। মেজর রেজাউল সাক্ষাৎকারে
বলেন:
“জেনারেল মঞ্জুর বলেন, ‘শাহজাহান সাহেব (তৎকালীন ডিআইজি) আমি এই হাবিলদারের কাছে সারেন্ডার
করছি...। শাহজাহান সাহেব তাড়াতাড়ি আমাদেরকে চিটাগাং জেলে পাঠান।
...কিছুক্ষণ পর দেখি আর্মির
গাড়ি এসে ঢুকল, হাটহাজারির থানায়...শাহজাহান
সাহেব আর আসেননি। আসলেন ক্যাপ্টেন এমদাদ। দাঁড়িয়ে
(এমদাদ) বললেন, ‘ভাবী আমরা আপনাদেরকে নিতে
এসেছি। আপনি আসেন’।
তখন মিসেস মঞ্জুর বলেছেন, ‘নো, আমি কেন আপনাদের সাথে যাব। আমরা পুলিশের কাছে সারেন্ডার করেছি’।
জেনারেল মঞ্জুর কিন্তু একটি
কথা কয়েকবার রিপিট করেছেন, ‘আর্মির কাছে
হ্যান্ডওভার করলে আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। আমাকে তাড়াতাড়ি সেফ কাস্টডিতে পাঠান...I should
get an opportunity to face the trail. দেশবাসীকে
জানতে হবে। আমার অনেক কথা বলার আছে এবং সেটি বলব আমি...’।
...তখনই একজন সুবেদার খপ
করে তার (মঞ্জুর) ডান হাতটি ধরল...এরপর
জেনারেল মঞ্জুর আর কথা বলেননি। ...তারা উঠে
মিসেস মঞ্জুরকে টেনে হিঁচড়ে নামাল। বাচ্চাদেরকেও নামাল।
...তখন সম্ভবত একজন পুলিশ
অফিসার বলল ভেতরে মেজর সাহেব রয়ে গেছেন। তখন এমদাদ আসল। এমদাদ আমাকে দেখে চমকে
গেল। ...এমদাদ এবং আমি একই ব্যাচের।...হাত বেঁধে চোখ বেঁধে আমাকেও গাড়িতে উঠাল।
...পরের দিন সকাল বেলা
মুজিব আসলেন।...আমি আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করলাম, ‘What about General
Manzoor’?
উনি (মেজর মুজিব) ডানে বামে
তাকিয়ে আস্তে করে আমাকে বললেন, ‘গত রাতে আর্মি
চিফের নির্দেশে জেনারেল মঞ্জুরকে মেরে ফেলা হয়েছে’।
ওই সময় আর্মি চিফ ছিলেন জেনারেল এরশাদ।...”
-সশস্ত্র বাহিনতে গণহত্যা
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১/ আনোয়ার কবীর
আজ ১ জুন মঞ্জুর হত্যার ৩৩
বছর হয়ে গেল, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল
মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। সম্ভাব্য খুনি এরশাদের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় ১৯ বছরে ২৩
বার বিচারক বদল হয়েছেন। এ বছরের ২৭
ফেব্রুয়ারি বিচারক খন্দকার হাসান ফিরোজ সিআইডিকে মামলাটির বিষয়ে আরও তদন্তের
নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি লরেন্স লিফশুৎজকে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল মঞ্জুরের বড় মেয়ে রুবানা মঞ্জুর বলেন, ‘...আমরা জানতে চাই, আমদের বাবাকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের
বাবার সমাধিস্থলে যেতে চাই...’।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা যাকে এই দেশ বীর উত্তম খেতাবে
ভূষিত করেছিল। অথচ দেশ জানে না তার এই বীর সন্তানকে কোথায় সমাহিত করা হয়েছে!
লজ্জা-লজ্জা! দিগম্বর হওয়ার লজ্জা!
Homar sometimed nods- দেবতাদেরও ভুল হয়। জেনারেল মঞ্জুর দেবতা ছিলেন না- তাঁর করা ভুল নিয়ে আলোচনা... তা অন্যত্র আলোচনার
ক্ষেত্র। কিন্তু...।
লেখায় এতক্ষণ একজন দুর্ধর্ষ
মুক্তিযোদ্ধা, ঈর্ষনীয় খেতাবধারী এক জেনারেলের কথা বলছিলাম। এখন চলে এসেছে একজন
বাবার কথা।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখো আমার হাড়।
স্বজনের পুরনো হাড়ে কী থাকে এই নিয়ে বিশদ
আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না। অল্প কথায় বলি, স্মৃতিই বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে নইলে একেকজন
মানুষ, নিজের লাশ নিজেই নিজের কাঁধে বয়ে বেড়াত। সন্তান
তার পিতার লাশ ছুঁয়ে দেখতে পারবে না। শেষশয্যার জায়গাটির এক চিমটি ধুলো কপালে
মাখতে পারবে না, হাউমাউ করে কেঁদে বুকটা হালকা করতে পারবে না এমন অন্যায় পিতাসম রাষ্ট্র
করে কেমন করে!
1 comment:
আপনার সাথে একমত পোষন করছি,বিচার চাই মনজুর হত্যার
Post a Comment