‘কাছাসুল আম্বিয়া’ নামে খুব চালু একটা ইসলামি বই আছে। মূল লেখক হিসাবে নাম দেওয়া আছে, ‘হযরত মাওলানা তাহের সুরাটী। সম্পাদনা করেছেন, অধ্যাপক মাওলানা
সিরাজউদ্দীন। যিনি বি, এ (অনার্স) এবং এম, এ করেছেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে এবং পি, এইচ, ডি করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামীক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া
থেকে।
এই বইটা যত পড়ছি ততই বুকের গভীর থেকে অজানা বেদনা পাক খেয়ে ওঠছে, কত অজানা রে! অসংখ্য
ঘটনার বর্ণনা এখানে। এর মধ্যে থেকে আমি কেবল দুইটা ঘটনা উল্লেখ করব। হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ:
১. “হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)
বর্ণিত একটি হাদিসে আছে...সেই ভীষণ কালো রং বিশিষ্ট অগ্নিপূর্ণ দোজখের মুখে আল্লাহ
একখানা পাথর
চাপা দিয়ে রেখেছেন। আর একখানা বিশাল পাথর বানিয়ে তা দোজখের নীচে স্থাপন করেছেন। উক্ত
পাথরখানা এক ফেরেশতা তার মাথার উপর ধারণ করে রয়েছে। ঐ ফেরেশতা দাঁড়িয়ে আছে একটি
মশার পিঠের উপর। মশাটি দয়ান্ডমান আছে সিক্ত মাটির উপর। উক্ত সিক্ত মাটি রয়েছে একটি
বড় গাভীর শিংয়ের
উপর। গাভীটির
মাথায় আছে সত্তর হাজার শিং। গাভীটি রয়েছে একটি বিশাল মাছের পিঠে দয়ান্ডমান। মাছটি
এতই বড় যে, এটার সুদীর্ঘ লেজ গিয়ে আরশের পায়া স্পর্শ করেছে। গাভীটিকে যথাস্থানে
সুস্থির রাখার উদ্দেশ্যে আল্লাহ একটি অতি বৃহৎ মশা সৃষ্টি করতঃ এটার কাছে রেখেছেন। গাভীটি সেই মাথার (সম্ভবত
বানান ভুল, মশা হবে) ভয়ে সামান্য মাত্র নড়াচড়া না করে একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। যদি
সে গাভীটি সামান্য মাত্র নড়াচড়া করতো তাহলে কখন না জানি এই বিশ্ব সংসার লন্ডভন্ড
হয়ে যেত।“
(কাছাসুল আম্বিয়া, পৃষ্টা নং: ২৬)
২. “কথিত আছে যে, উজ বিন ওনোকের দেহের দৈর্ঘ্য ছিল
ত্রিশ হাজার তেত্রিশ
গজ। যা সাড়ে এগারো মাইলের মত। আর এক বর্ণনায় দেখা যায় যে, সাড়ে তিন হাজার বছর সে
জীবিত ছিল। তার ভূমিষ্ঠকালে হযরত আদম (আঃ) জীবিত ছিলেন। ঐ সময় হযরত মুসা (আঃ)-এর
সময় পর্যন্ত উজ দুনিয়র আবহাওয়া ভোগ করছিল। উজের মাতার নাম ছিল ওনোক।...তার পিতার নাম
ছিল সোবহান। উজের মাতা ওনোক আদম (আঃ)-এর অন্যতমা কন্যা ছিল।
বিশাল আকারের ওনোক হযরত নূহ (আঃ)-এর যমানায় মহাপ্লাবনের সময় তাঁর
জাহাজে না উঠেও জীবিত ছিল। ঐ প্লাবনের সময় দুনিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতও ডুবে গিয়েছিল,
কিন্তু প্লাবনের পানি ওজের কেবল বুক পর্যন্ত উঠেছিল। আর স্বাভাবিক অবস্থায় সে
সমুদ্রের মধ্যে দাঁড়ালে পানি হত তার হাঁটু পর্যন্ত। সে সমুদ্রে নেমে বিরাট বিরাট
মাছগুলো ধরে সূর্যের উত্তাপে সিদ্ধ করে তা ভক্ষণ করত।“
(কাছাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা নং: ৩১৯)
1 comment:
ঊজ বিন উনের কত বছর বয়স পেয়েছিল ৷
Post a Comment