ওকালের
মুক্তিযোদ্ধারা এখন বড়ো পানসে! যেমন এখন আমাদের আর মশিহুর রহমান [১] নামের
মানুষটা অকল্পনীয় ত্যাগ মনে রাখার আদৌ প্রয়োজন নেই! কারণ গুটিকয়েক
মানুষের অবদান বলে বলে আমাদের আর বলার সময় কোথায়! মুখে ফেনা তুলে মুখ
ফেনায় ফেনায় একাকার...।
এখন আবার চলে এসেছেন
অনলাইন যোদ্ধারা। ওকালের
মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন সামান্য অস্ত্র হাতে আর
একালের যোদ্ধাদের প্রধান অস্ত্র অসামান্য কীবোর্ড। আরেকটা
অস্ত্র আছে, এই অন্য অস্ত্রটার কথা পরে বলছি। তো, কী যুদ্ধ বেইবি, চোখে দেখা যায় না এমন- চোখ
ঝলসে যায় বলে।
এমন্ই এক নারী যোদ্ধার(!) কথা বলি। লেখার হাত অতি কুৎসিত। তার এই ঘাটতি মিটে যেত তার চকচকে চামড়া দিয়ে।
এমন্ই এক নারী যোদ্ধার(!) কথা বলি। লেখার হাত অতি কুৎসিত। তার এই ঘাটতি মিটে যেত তার চকচকে চামড়া দিয়ে।
পাকিস্তানের মসজিদে
বোমা ফাটল। অসংখ্য মৃত্যু। মসজিদ
রক্তের স্রোতে ভেসে গেল। আমার জানা মতে ওখানে
শিশুও ছিল। এই মহিলা মুক্তিযোদ্ধা(!) তখন এই
অতি নিষ্ঠুর মৃত্যু নিয়ে বেজায় উল্লাস করলেন। এই অসম্ভব হৃদয়হীন কাজটা তিনি কেন করলেন? কারণ তিনি
যে একালের মুক্তিযোদ্ধা! এরপর...আমি যখনই তার মুখপানে তাকাব তখন দেখব অসংখ্য শুঁয়োপোকা। কিলবিল করছে। গা হিম করা- শরীর কেবল
শিউরে শিউরে উঠবে। ইচ্ছা করবে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করলে যেন খানিকটা আরাম পাওয়া যাবে।
হালে অন্য একজনের একটা
লেখা পড়লাম। করাচি
এয়ারপোর্টে অস্ত্রধারী জঙ্গিদের হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। মানুষটা
লিখে বেদম উল্লাস প্রকাশ করলেন। তিনি
কেন এমন নৃশংসতা দেখালেন? কারণ তিনিও যে একালের দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা!
অন্য অস্ত্রটার কথা এবার বলি। এই সমস্ত যোদ্ধারা অধিকাংশই জেনারেল পদ মর্যাদার, হাজার-লাখ-কোটি এদের
সিপাহি। জেনারেল বললেন, যে তার
বিরূদ্ধাচারণ করবে তার সম্মানে মুত্র বিসর্জন করলাম। চালু বাংলায় মুতে দিলাম। ব্যস, আর যায়
কোথায়! সিপাহি সব মুত্র বিসর্জন করে বিরুদ্ধাচারণ করা
শক্রদের ভাসিয়ে দিল। ভাগ্যিস, মুত্র লিটার ধরে বিক্রি হয় না।
আমাদের বাতিওয়ালা, লেখক জাফর
ইকবাল। জাফর ইকবালের সম্মতিক্রমে
তার নামে একটা পেজ খুলে আমদেরকে জানানো হলো, যে
প্লেন পাকিস্তান হয়ে যায় সেই প্লেনে তিনি নাকি চড়েন না। কেন চড়েন না? কারণ
তিনি ওকালের মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি তাই তিনি একালের মুক্তিযোদ্ধা!
তাই তিনি যুক্তিসঙ্গত কারণে তীব্র ঘৃণা কেবল পোষণই করেন না ছড়িয়েও
দেন। যতটুকু জানি পাকিস্তানি
বল দিয়ে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে। এখন এই কারণে
এই খেলা বর্জন করার আহ্বান আসবে কিনা বুঝতে পারছি না।
কিন্তু যে আমেরিকা
তখন পাকিস্তানকে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল, ক্ষুধার্ত আমাদের খাবার ফিরিয়ে নিয়ে, স্বাধীন
দেশটাকে সীমাহীন বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে তিলমাত্র কার্পণ্য করেনি। অথচ সেই দেশে গিয়ে শিক্ষা
গ্রহণ করতে, বসবাস করতে, আয়েশ করে ছুটি কাটাতে, সেই
দেশের সঙ্গে ঘসাঘসি করতে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের কোনও সমস্যা নাই। এতে তারা বিমল আনন্দ বোধ করেন। বাপের বিরুদ্ধে এই সব কথা বলতেও এদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করে।
তারা অবশ্য যুক্তি দেখাতে পারেন ১৯৭১ সালে আমেরিকা তো আর সরাসরি আমাদের স্বজনদেরকে খুন করেনি, নারীদের চরম অপমান করেনি। ওহে বুদ্ধিজীবীগণ, আমি কি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেব গোল্ডা মায়ারের সেই বিখ্যাত উক্তি? “কাউকে নিজ হাতে হত্যা করা বা কাউকে হত্যার সিদ্ধান্ত দেওয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই”।
গোল্ডা মায়ারকে গুল্লি মারেন। আমি যদি আপনাকে খুন করার জন্য খুনি ঠিক করি তাহলে আমাকে কী আইন ছেড়ে দেবে? নাকি এই প্রজন্ম ছেড়ে কথা বলবে।
তারা অবশ্য যুক্তি দেখাতে পারেন ১৯৭১ সালে আমেরিকা তো আর সরাসরি আমাদের স্বজনদেরকে খুন করেনি, নারীদের চরম অপমান করেনি। ওহে বুদ্ধিজীবীগণ, আমি কি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেব গোল্ডা মায়ারের সেই বিখ্যাত উক্তি? “কাউকে নিজ হাতে হত্যা করা বা কাউকে হত্যার সিদ্ধান্ত দেওয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই”।
গোল্ডা মায়ারকে গুল্লি মারেন। আমি যদি আপনাকে খুন করার জন্য খুনি ঠিক করি তাহলে আমাকে কী আইন ছেড়ে দেবে? নাকি এই প্রজন্ম ছেড়ে কথা বলবে।
আমি পূর্বের অনেক লেখায়
বারবার বলেছি, পাকিস্তানি সৈন্যরা যোদ্ধা ছিল না, ছিল
সাইকোপ্যাথ। এরা যোদ্ধা নামের কলংক! ১৯৭১ সালের
যুদ্ধের সময় এরা যে-সমস্ত অন্যায় করেছে এদেরকে কাপুরুষ খুনি বললেও
একবিন্দু অতিশয়োক্তি হবে না। এরা
প্রার্থনারত মানুষের উপর হাসতে হাসতে গুলি চালিয়েছে। দোলনার শিশুকে অকম্পিত
হাতে গুলি-বেয়নেটের আগায় শিশুকে মগজ আটকে উল্লাস করেছে। এদেশের মহিলাদেরকে কেবল চরম নির্যাতনই করেনি অনেক
ক্ষেত্রে এদের আচরণ একটা পশুকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই সব নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার
কথা না। এই সত্যটা যিনি অস্বীকার
করবেন তাকে সবিনয়ে বলি আপনার জন্য কাঁঠালপাতা না, আস্ত
কাঁঠাল গাছ।
পাকিস্তানি আর্মি এই চরম অন্যায়গুলো
করর পেছনে কতিপয় জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের ইন্ধন ছিল। তারপরও তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম
পাকিস্তানের সবাই, এমন কি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটিও
তখন সম্মতি জানিয়েছিল আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে, চরম অন্যায় করতে।
কিন্তু পাকিস্তানের এই
প্রজন্মের অসংখ্য শিশু আছে যারা ১৯৭১ সালের অনেক পরে জন্মেছে। বাংলাদেশের নামটিও শুনেনি
বা তাদের পূর্বপুরুষরা কেমনতরো অন্যায় করেছিল এই সম্বন্ধে এদের বিন্দুমাত্র
ধারণাও নেই। আমাদের কদর্য উল্লাসের
বলি তাহলে এরাও! বাহ!
পাকিস্তানি কারও মৃত্যুতে
যখন তার স্বজন-মা আকাশ ফাটিয়ে কাঁদেন তখন পেট চেপে
গা দুলিয়ে হাসি আসে, না? দানবের প্রতি দ্রোহ-ঘৃণা থাকাটা দোষের কিছু না
কিন্তু দানবকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা কোনও কাজের কাজ না।
এবার খানিকটা অন্য
প্রসঙ্গ। পাহাড়ে আমাদের
সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকান্ড তীব্র বিতর্কের, নিন্দনীয়, চরম
অন্যায়। এই সমস্ত কর্মকান্ড
সেনাবাহিনী কী আমাদের মত নিয়ে করেছিল? এই কারণে
এখন পাহাড়ের লোকজনরা যদি আমাদের সবাইকে কুৎসিত ঘৃণার চোখে দেখে
বিষয়টা কেমন দাঁড়াবে, হে একালের মুক্তিযোদ্ধা...।
সহায়ক সূত্র:
১. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/ 2009/10/blog-post_06.html
সহায়ক সূত্র:
১. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/
...
* ফেসবুকে এই লেখাটা শেয়ার করার পর নূর এলাহী শিবলী মন্তব্য করেন:
“...পাকিস্তানের উপর আমার প্রবল ঘৃণা প্রায় ছেলেমানুষির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমি ১৯৭১ এর পর জেনে শুনে পাকিস্তানি জিনিষ ব্যাবহার করিনি। বিদেশে যাবার
যাবার সময় যে প্লেন পাকিস্তানের
মাটি স্পর্শ করে কখনো সেই প্লেনে উঠি নি। পাকিস্তানের ক্রিকেট খেয়ায় আমি কোন আনন্দ পাই না__ তবে এসব পুরোপুরি
আমার নিজের ব্যাপার। আমি তোমাদের এই কথাগুলি বলেছি কিন্তু কখনোই তোমাদের এগুলো করতে বলছি না। বুকের মাঝে ঘৃণা
নিয়ে বড় হওয়া খুব কষ্ট। আমাদের প্রজন্ম
বুকের মাঝে এই ঘৃণার কষ্ট নিয়ে বড় হচ্ছে__ আমাদের পরের
প্রজন্মও ঠিক একই রকম কষ্ট নিয়ে বড় হোক সেটা আমি চাই না।
আমি চাই তারা হোক উদার,
তারা পুরো বিষয়টুকু বিবেচনা করুক সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়ে। পাকিস্তান তাদের
কাছে হোক পৃথিবীর অন্য দশটি দেশের মতো একটি দেশ। পাকিস্তানের মানুষ হোক পৃথিবীর অন্য যে কোন মানুষের মতো
একজন মানুষ।...”
-
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (তোমাদের প্রশ্ন আমার উত্তর)।
ইউটিউবে মুক্তিযুদ্ধের উপর করা ডকুমেন্টারি গুলাতে পাকিস্তানিদের করা মন্তব্য দয়া করে দেখবেন। বাংলাদেশের
নারীদের সম্পর্কে তাদের মন্তব্য গুলাতে এবার চোখ বুললে আর উদার প্রজন্ম হওয়া যায় না। আপনার লেখা বলেই
মন্তব্যটা করলাম আশা করি কিছু মনে
করবেন না।
“...আপনার লেখা বলেই মন্তব্যটা করলাম। আশা করি
কিছু মনে করবেন না।“
ভাগ্যিস, মন্তব্যটা করেছিলেন। নইলে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল ধরণার কথাটা জানাই হতো
না। অতীতেও বলেছি, কেউ আমার ভুল ধরিয়ে দিলে আমি কৃতজ্ঞ হই। যেমনটা হচ্ছি আপনার
বেলায়।
জাফর ইকবালের অন্য কিছু লেখা পড়ে তাঁর এই সংক্রান্ত পুরো ভাবনাটা
আমার জানার সুযোগ হয়নি কারণ ওখানে এমন বিস্তারিত ছিল না। আর এই বইটা পড়া হয়নি
সম্ভবত বাচ্চাদের বই বলে।
আমি যেখানে থাকি ওখানে একটা বই যাগাড় করাও বিস্তর ঝামেলার। অনেক
যন্ত্রণা করে তাঁর লেখা বইটা যোগাড় করলাম। পড়লাম। মুগ্ধ হলাম! এই চমৎকার বইটা কেবল
বাচ্চাদের জন্যই না, বড়দেরও পড়া উচিত।
কেবল যদি তাঁর এই লেখাটার কথাই বলি অসাধারণ করে লিখেছেন। তাঁর মত মানুষের কাছ থেকে তো আমরা
এমনটাই আশা করব। কারণ তিনি কোন মত বিশ্বাস করেন এটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে কোন মত
দ্বারা তিনি অন্যকে প্রভাবিত করছেন। কারণ তাঁর প্রভাবিত করার ক্ষমতা (বিশেষ করে
শিশুদেরকে) অভাবনীয়! এমন শক্তি সবার থাকে না, তাঁর আছে।
দেখুন, দানব মনুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে কী জানেন? সে তার দানবীয়
শক্তির প্রয়োগ করে আশেপাশের মানুষকে দানব বানাবার চেষ্টা করে। এটা দানবের জয়,
মানুষের পরাজয়! মানুষ হিসাবে আমার নিজেকে পরাজিত দেখতে ভাল লাগে না।
পাকিস্তানের কিছু বুদ্ধিজীবী ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে
পাকিস্তান তার যুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য কোনও প্রকার দুঃখ প্রকাশ দূরের কথা স্বীকারও করেনি। এটা
এক চরম অসভ্যতা, বর্বরতা এতে কোনও দ্বিমত নেই। তাই বলে মসজিদে বোমা ফাটবে, মানুষ
মরবে আর আমরা উল্লাস করে এদের পর্যায়ে নেমে আসব এটা তো হয় না। এটা এই দানবদের জয়, আমাদের
পরাজয়।
আমার এই লেখায়...”তিনি (জাফর ইকবাল) যুক্তিসঙ্গত
কারণে তীব্র ঘৃণা কেবল পোষণই করেন না ছড়িয়েও দেন”। এই বাক্যটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। অন্তত এটা লিখলে জাফর ইকবালের
প্রতি অন্যায় করা হয়। এতে করে তাঁর কি আসে যায় জানি না, তবে আমার আসে যায়...।
Sharifus Salekin Shahan লিখেছেন:
"Ali Bhai, untill and unless this Fuckistan is seeking justice for it's misdeeds, seeking apology to Bangladesh - I don't want to think whether my blind hatred is wrong or bringing me down !"
আমার উত্তর:
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্ণেল তাহের হাজার-হাজার কৃষক, মজুর,
তাতী, জেলেদেরকে যুদ্ধের যে ট্রনিং দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই কী করেছিলেন
জানেন তো? এঁরা যে-কোনও চৌকশ সেনাবাহিনীর চেয়েও দুর্ধর্ষ যুদ্ধ করে তাক লাগিয়ে
দিয়েছিলেন! কেমন করে এটা সম্ভব হলো? চোখের সামনে এঁদের স্বজনদের নির্যাতন, মৃত্যু সর্বদা
এঁদেরকে তাড়া করত। কর্ণেল তাহের এঁদের দ্রোহ-অদম্য ক্ষোভকে কেবল কাজে লাগিয়েছিলেন।
দেখুন, ১৯৭১ সালে যাদের স্বজন খুন হয়েছেন, শারীরিক চরম নির্যাতিত হয়েছেন তাঁরা কেমন করে তাঁদের বেদনার কথা বিস্মৃত হবেন? তাঁদের দগদগে ক্ষত ভুলে যেতে বলার স্পর্ধাই-বা আমার কোথায়!
দেখুন, ১৯৭১ সালে যাদের স্বজন খুন হয়েছেন, শারীরিক চরম নির্যাতিত হয়েছেন তাঁরা কেমন করে তাঁদের বেদনার কথা বিস্মৃত হবেন? তাঁদের দগদগে ক্ষত ভুলে যেতে বলার স্পর্ধাই-বা আমার কোথায়!
কিন্তু...একটা কিন্তু রয়ে যায়। তাই বলে এখন একজন পাকিস্তানিকে পেলেই
তো আর কুপিয়ে ফালা ফালা করে ফেলা যায় না। পাকিস্তানি মসজিদে বোমা ফাটলে উল্লাস করা যায় না। আচ্ছা আপনি একটা কথা বলেন, সব নাহয় বাদই দিলাম। প্রার্থনাস্থল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা সেই জায়গায় কেউ কারও রক্তের স্রোত বইয়ে দিল (যাদের অধিকাংশই আমাদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের জন্য দায়ী নন ) আর আমরা হলুদ দাঁত বের করে হাসলাম, উল্লাস করলাম। তা কী হয়!
এই বিষয়টা কি আপনি লক্ষ করেছেন, বিচার নিয়ে দেশ যখন উত্তাল, শাহবাগে লক্ষ-লক্ষ মুষ্টিবদ্ধ
প্রতিবাদী হাত। অথচ মাত্র কয়েক হাত দূরেই কিন্তু নাটের গুরু অপরাধি গোলাম আযম। এই মানুষগুলো
চাইলেই কিন্তু গোলাম আযমকে পিঁপড়ার মত পিষে ফেলতে পারত।
কিন্তু পারা যায় না এমনটা, বুঝলেন। এই কয়েক হাতের মধ্যেই যে অসংখ্য অদৃশ্য শেকল
ছড়ানো। এখন পর্যন্ত আমাদের অর্জিত জ্ঞানের শেকল, সভ্যতার শেকল, মানবতার শেকল...।
অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছি আমরা- ইচ্ছা করলেই দানব হয়ে যেতে পারি না,
বুঝলেন...।
আমার সাফ কথা, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান যুদ্ধ বহির্ভূত এমন অনেক কর্মকান্ড করেছিল যাকে কোনও
প্রকারেই যুদ্ধের অংশ বলা চলে না। সরল করে বললে এ স্রেফ খুন, হিংস্রতা, বর্বরতা।
খুন তো খুনই সেটা কে করল কখন করল সেটা তো মূখ্য বিষয় না। যত দিন পর্যন্ত
পাকিস্তান ক্ষমা না-চাইবে আমাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা না-করবে তত দিন পর্যন্ত
আমাদের নায্য দাবী আমরা করেই যাব। এতে করে ৪৩ বছর গেল নাকি ৪৩০ বছর তাতে কিছুই যায়
আসে না। এই নিয়ে তো কোনও দ্বিমত নাই,
অন্তত আমার... ।
No comments:
Post a Comment