'সিক পিপল’ [১] নিয়ে লেখাটায় লিখেছিলাম,
“...আবার অনেক নির্বোধ অতি চালাকি করতে গিয়ে অন্য দেশের পতাকার
সঙ্গে
বাংলাদেশের পতাকা
লাগিয়ে দিল। রোদ-বৃষ্টি-বিবর্ণতা, সকাল-সন্ধ্যা-রাত উপেক্ষা করে আমাদের পতাকা উড়তে থাকল।...”
ঝড়-বৃষ্টি-রোদে বিবর্ণ, ছেঁড়া পতাকা যখন
সুউচ্চ ইমারতের গ্রিলে আটকে থাকে বা মাটিতে গড়াগড়ি খায়- কার দায় পড়েছে গ্রিল
থেকে বা মাটিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া পতাকা নামাবার, সরাবার?
সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রকাশ্যে বিদেশি
পতাকা উড়ানোর শাস্তি ১ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড!
তর্কের খাতিরে বিষয়টা একপাশে সরিয়ে
রাখলেও বিদেশি পতাকার লেজ ক্রমশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে হনুমানের লেজকেও।
এই বিষয়টা এখন আবেগকে ছাড়িয়ে অহেতুক শস্তা সম্মান
রক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! কেউ ২০০ ফিট পতাকা ঝুলিয়েছে তো চলো আমরা ২৫০ ফিট পতাকা
ঝোলাই। এরপর ২৫০...৩০০...৫০০। খেলা চলছে। বাড়ছে পতাকার দৈর্ঘ্য। প্রায় সবই ব্রাজিল
এবং আর্জেন্টিনার।, বিশেষ করে মফঃস্বলে। চুলায় বেড়াল ঘুমায়,
তাতে কী! এ এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা। যারা হতে পারত
ধ্বান্তারি, অথচ এরা কালে-কালে পরিণত হয় ধ্বান্ত থেকে উঠে আসা ধ্বান্তোন্মেষে।
আমার তো মনে হচ্ছে ব্রাজিল যদি
প্রতিপক্ষের ১১ জন খোলোয়াড়ের ২২টির স্থলে ৪৪টা পা করে দেয় বা আর্জেন্টিনা
প্রতিপক্ষের ২২টি হাতের স্থলে ৪৪টা হাত উপহার
দেয়- ‘কুছ
পারোয়া নেহি’!
এ সত্য, এরা জন্মান্ধ না তবে অন্ধ! এমন অন্ধদের করুণা করতেও করুণা হয়।
এখনই সময়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলা
থেকে বিদায় নিক। অন্ধ উম্মাদনা থিতু হয়ে কেবল চমৎকার খেলার বিমল আনন্দ- ভালো
খেললে ঘানা বা হ্ন্ডুরাস হতে সমস্যা কোথায়!
খেলা খেলায় ফিরে আসুক।
আ-মি-ন।
No comments:
Post a Comment