অবশেষে এক বছরের জন্য তসলিমা নাসরিনের ভারতীয় ভিসার মেয়াদ বেড়েছে। তসলিমার স্বপ্নপূরণ হলো। বাংলাদেশ তাকে ফিরতে দিত কি দিত না সে ভিন্ন প্রসঙ্গ কিন্তু আদৌ তসলিমা ফিরতে চান কি না?
পুরনো এই লেখাটায় [১] একজন পাঠক, ‘সায়ন’ তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন:
“...আমি নিশ্চিত ওকে এসেসেফ নিরাপত্তা দিলেও এখন সে বাংলাদেশে আসবে না।” আমার কাছে এই মন্তব্যটা অতিশয়োক্তি মনে হয়েছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম তিনি রাগের মাথায় এটা বলেছিলেন। তাই গুরুত্বের সঙ্গে দেখার কোনও কারণ নাই!
কিন্তু কখনও-কখনও বাস্তব ফিকশনকেও ছাড়িয়ে যায়- তসলিমা নাসরিন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান! ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার পর তসলিমা সাফ-সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান না। তার মুখেই শোনা যাক:
“আমি ভারতেই থাকতে চাই। ...২০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক বন্ধু হয়েছে এই দেশে, যারা (আমার) ভাষাকে বুঝেছে। তাই এমন বন্ধু বা আত্মীয় আমি চাই না যারা আমার আবেগকে মুল্য দেয় না। ”
তসলিমা নাসরিন বিজেপির জন্য নিজের দেশকে বিকিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। ‘লজ্জা’ নামের এক আবর্জনা প্রসব করেছিলেন। এর রেশ ধরে বিজেপি তসলিমাকে মাথায় তুলে রেখেছিল। দেবীর মর্যাদায়। বিজেপি তসলিমার ছবি দিয়ে শহর বিলবোর্ডে ছেয়ে ফেলেছিল। এই ব্যবস্থা অভূতপূর্ব!
পেছনের কথা ভিন্ন! বিজেপি বাবরি মসজিদ নিয়ে যে পুরীষ গায়ে মেখেছিল তা ধোয়ার জন্য তসলিমার 'লজ্জা' নামের সাবানটার খুব প্রয়োজন ছিল। সেই মহান সুযোগটা করে দিয়েছিলেন তসলিমা। তসলিমা নাসরিন দুনিয়ার খবর রাখেন কিন্তু এটা বিস্মৃত হয়েছিলেন বিজেপি কেবল বাপীই না পাপীও। বিজেপির হাতে লেগে আছে হাজার মানুষের রক্ত। সেই রক্তের স্রোত মাড়িয়ে তসলিমা বিজেপির সঙ্গে নেচেছেন। নাচ যখন শেষ হলা তখন বিজেপি কলার খোসার ন্যায় তসলিমাকে ছুড়ে ফেলল। ভিসার মেয়াদ বাড়াতে স্রেফ অস্বীকার করল।
তখন তসলিমা নাসরিন এক চোখে জল অন্য চোখে পানি নিয়ে টুইটারে টুইট করলেন, “আমার পায়র তলায় মাটি নেই।“
পরে তসলিমা বিস্তর কান্নাকাটি একে-ওকে ধরাধরি করে অবশেষে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে সমর্থ হলেন। তসলিমাকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং হালে তসলিমা যে ক্রমশ ‘শরম’ নামের জিনিসটা প্রসব করছেন তা ‘লজ্জা’-কেও ছাড়িয়ে যাক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে লেখাটা এখানেই শেষ করছি।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গ আষাঢ় মাস। আষাঢ় মাস সবে শেষ হলো। আষাঢ় মাসে আষাঢ়ে গল্প হবে না তাই বুঝি হয়! এক অতি লাজুক মহিলা নাইন ওয়ান ওয়ান টাইপের জরুরি নাম্বারে ফোন করে কেবল ওই রাজ্যের পুলিশকেই ডাকলেন না বিশেষ ব্যবস্থায় পাশের রাজ্যের পুলিশকেও।
প্যাঁ-পোঁ সাইরেন বাজিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশ হাজির। অভিযোগ কঠিন। পুরুষেরা বড়ো পাজি, বড়ো নচ্ছার! শহরের পুরুষেরা নগ্ন গাত্রে। কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! কিন্তু শেরিফ এসেই বললেন, ‘হাউডি ম্যাম, আমি তো এমন কাউকে দেখলাম না’।
লাজুক মহিলা লজ্জার মাথা খেয়ে শেরিফকে বললেন, ‘বি...পুলিশ হয়েছেন। আসুন আমার সঙ্গে’। বলে উপরতলায় নিয়ে গিয়ে তর্জনি নাচিয়ে বললেন, ‘বা...পুলিশ আপনারা। এখন বলেন, এই সব কী’!
শেরিফ দেখলেন আশেপাশের দেওয়ালঘেরা বাড়িগুলোর সুইমিংপুলে কেউ-কেউ জলকেলি করছে এটা সত্য।
শেরিফ চিঁ চি করে বললেন, ‘কিন্তু এরা সবাই তো পানির নীচে। মগ্ন না নগ্ন তাও তো বুঝতে পারছি না’? আর হলোই বা’।
লাজুক মহিলা কথা কেড়ে নিয়ে ক্ষেপে গিয়ে বললেন, ‘আপনি ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে দেখুন না ওরা পানি থেকে বের হলে তখন ঠিক দেখবেন...’।
অন্য রাজ্যের শেরিফের মেজাজ ভাল নেই কারণ তিনি ঝড়ের গতিতে চার ঘন্টার ড্রাইভ করে এসেছেন। তিনি মুখ লম্বা করে বললেন, ‘তো ম্যাম, সে যাই হোক। ইয়ে, এটা তো আর আমার এলাকা না। তা আমাকে ডেকেছেন কেন'!
লাজুক মহিলা এবার চিল চিৎকার করে বললেন, ‘আমি কি আপনার সঙ্গে ইয়ে...করতে ডেকেছি’!
বলেই তিনি অন্য রাজ্যের শেরিফের হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে ছাদে নিয়ে গেলেন। ছাদে ইয়া বড়ো এক টেলিস্কোপ। তিনি এদিক-ওদিক, ওপর-নীচ বিস্তর সময় ব্যয় করে টেলিস্কোপটা দূর-দূরান্তে স্থির করে বললেন, ‘দেখুন, এবার দেখে বলুন। আপনার রাজ্যের পুরুষেরা যে গোসল করছে এদের গায়ে কী একটা সুতোও আছে- হা, বলুন, আছে...’?
*১. একালের দেবী, তসলিমা নাসরিন: http://www.ali-mahmed.com/2012/08/blog-post.html
পুরনো এই লেখাটায় [১] একজন পাঠক, ‘সায়ন’ তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন:
“...আমি নিশ্চিত ওকে এসেসেফ নিরাপত্তা দিলেও এখন সে বাংলাদেশে আসবে না।” আমার কাছে এই মন্তব্যটা অতিশয়োক্তি মনে হয়েছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম তিনি রাগের মাথায় এটা বলেছিলেন। তাই গুরুত্বের সঙ্গে দেখার কোনও কারণ নাই!
কিন্তু কখনও-কখনও বাস্তব ফিকশনকেও ছাড়িয়ে যায়- তসলিমা নাসরিন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান! ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার পর তসলিমা সাফ-সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান না। তার মুখেই শোনা যাক:
“আমি ভারতেই থাকতে চাই। ...২০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক বন্ধু হয়েছে এই দেশে, যারা (আমার) ভাষাকে বুঝেছে। তাই এমন বন্ধু বা আত্মীয় আমি চাই না যারা আমার আবেগকে মুল্য দেয় না। ”
তসলিমা নাসরিন বিজেপির জন্য নিজের দেশকে বিকিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। ‘লজ্জা’ নামের এক আবর্জনা প্রসব করেছিলেন। এর রেশ ধরে বিজেপি তসলিমাকে মাথায় তুলে রেখেছিল। দেবীর মর্যাদায়। বিজেপি তসলিমার ছবি দিয়ে শহর বিলবোর্ডে ছেয়ে ফেলেছিল। এই ব্যবস্থা অভূতপূর্ব!
পেছনের কথা ভিন্ন! বিজেপি বাবরি মসজিদ নিয়ে যে পুরীষ গায়ে মেখেছিল তা ধোয়ার জন্য তসলিমার 'লজ্জা' নামের সাবানটার খুব প্রয়োজন ছিল। সেই মহান সুযোগটা করে দিয়েছিলেন তসলিমা। তসলিমা নাসরিন দুনিয়ার খবর রাখেন কিন্তু এটা বিস্মৃত হয়েছিলেন বিজেপি কেবল বাপীই না পাপীও। বিজেপির হাতে লেগে আছে হাজার মানুষের রক্ত। সেই রক্তের স্রোত মাড়িয়ে তসলিমা বিজেপির সঙ্গে নেচেছেন। নাচ যখন শেষ হলা তখন বিজেপি কলার খোসার ন্যায় তসলিমাকে ছুড়ে ফেলল। ভিসার মেয়াদ বাড়াতে স্রেফ অস্বীকার করল।
তখন তসলিমা নাসরিন এক চোখে জল অন্য চোখে পানি নিয়ে টুইটারে টুইট করলেন, “আমার পায়র তলায় মাটি নেই।“
পরে তসলিমা বিস্তর কান্নাকাটি একে-ওকে ধরাধরি করে অবশেষে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে সমর্থ হলেন। তসলিমাকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং হালে তসলিমা যে ক্রমশ ‘শরম’ নামের জিনিসটা প্রসব করছেন তা ‘লজ্জা’-কেও ছাড়িয়ে যাক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে লেখাটা এখানেই শেষ করছি।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গ আষাঢ় মাস। আষাঢ় মাস সবে শেষ হলো। আষাঢ় মাসে আষাঢ়ে গল্প হবে না তাই বুঝি হয়! এক অতি লাজুক মহিলা নাইন ওয়ান ওয়ান টাইপের জরুরি নাম্বারে ফোন করে কেবল ওই রাজ্যের পুলিশকেই ডাকলেন না বিশেষ ব্যবস্থায় পাশের রাজ্যের পুলিশকেও।
প্যাঁ-পোঁ সাইরেন বাজিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশ হাজির। অভিযোগ কঠিন। পুরুষেরা বড়ো পাজি, বড়ো নচ্ছার! শহরের পুরুষেরা নগ্ন গাত্রে। কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! কিন্তু শেরিফ এসেই বললেন, ‘হাউডি ম্যাম, আমি তো এমন কাউকে দেখলাম না’।
লাজুক মহিলা লজ্জার মাথা খেয়ে শেরিফকে বললেন, ‘বি...পুলিশ হয়েছেন। আসুন আমার সঙ্গে’। বলে উপরতলায় নিয়ে গিয়ে তর্জনি নাচিয়ে বললেন, ‘বা...পুলিশ আপনারা। এখন বলেন, এই সব কী’!
শেরিফ দেখলেন আশেপাশের দেওয়ালঘেরা বাড়িগুলোর সুইমিংপুলে কেউ-কেউ জলকেলি করছে এটা সত্য।
শেরিফ চিঁ চি করে বললেন, ‘কিন্তু এরা সবাই তো পানির নীচে। মগ্ন না নগ্ন তাও তো বুঝতে পারছি না’? আর হলোই বা’।
লাজুক মহিলা কথা কেড়ে নিয়ে ক্ষেপে গিয়ে বললেন, ‘আপনি ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে দেখুন না ওরা পানি থেকে বের হলে তখন ঠিক দেখবেন...’।
অন্য রাজ্যের শেরিফের মেজাজ ভাল নেই কারণ তিনি ঝড়ের গতিতে চার ঘন্টার ড্রাইভ করে এসেছেন। তিনি মুখ লম্বা করে বললেন, ‘তো ম্যাম, সে যাই হোক। ইয়ে, এটা তো আর আমার এলাকা না। তা আমাকে ডেকেছেন কেন'!
লাজুক মহিলা এবার চিল চিৎকার করে বললেন, ‘আমি কি আপনার সঙ্গে ইয়ে...করতে ডেকেছি’!
বলেই তিনি অন্য রাজ্যের শেরিফের হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে ছাদে নিয়ে গেলেন। ছাদে ইয়া বড়ো এক টেলিস্কোপ। তিনি এদিক-ওদিক, ওপর-নীচ বিস্তর সময় ব্যয় করে টেলিস্কোপটা দূর-দূরান্তে স্থির করে বললেন, ‘দেখুন, এবার দেখে বলুন। আপনার রাজ্যের পুরুষেরা যে গোসল করছে এদের গায়ে কী একটা সুতোও আছে- হা, বলুন, আছে...’?
*১. একালের দেবী, তসলিমা নাসরিন: http://www.ali-mahmed.com/2012/08/blog-post.html
No comments:
Post a Comment