এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড চলছে। বইয়ের কিছু সংখ্যায় আগুন দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বইটির লেখককে ডেকে কঠিন জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলছেন। বইটি নিষেধাজ্ঞার জোর বক্তব্যও কারও কারও। অনেকে আগ বাড়িয়ে এই জোরালো দাবীও তুলছেন এ কে খন্দকারকে রাষ্টদ্রোহিতার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ভাগ্যিস, এখন পর্যন্ত এ কে খন্দকারকে কেউ রাজাকার বলে বসেননি। তবে আইএসএসের চর বানিয়ে দিয়েছেন। এবং ওখান থেকে কত টাকা পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখার জন্যও বলা হচ্ছে!
এতো দিন জানতাম আন্ডার কাভার এজেন্টরা সর্ব শক্তি ব্যয় করেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে এখন দেখছি এ কে খন্দকারের মত আন্ডার কাভার এজেন্ট বিস্তর হইচই করে বলছেন, ‘মুঝে পাকড়ো, মুঝে পাকড়ো...’!
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ কে খন্দকার উপ -সেনাপ্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্য-উপাত্ত তাঁর জানা, যুদ্ধটাকে তিনি দেখেছেন অনেক কাছ থেকে। তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত কোনও বক্তব্য যখন দেবেন তখন সেটাকে খাটো করে দেখার কোনও অবকাশ নাই। এবং কোনও প্রকাশনী যখন এমন একজন মানুষের বই প্রকাশ করবে তখন অতি গুরুত্বের সঙ্গেই যে করবে এতেও সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। ‘প্রথমা প্রকাশনী’ সেটা করেনি বলেই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ভাষণের শেষ অংশে ‘জয় পাকিস্তান’ যোগ থাকাটা। কারণ এর পক্ষে জোরালো কোনও তথ্য-উপাত্ত নেই বলেই অনুমিত হচ্ছে। এই প্রকাশনীর চেলা-চামুন্ডাদের এটা অজানা থাকাটা অবিশ্বাস্য যে অকাট্য তথ্য-উপাত্ত ব্যতীত এটা ছাপা হলে এই নিয়ে কেউ-ই রা কাড়বে না!
প্রথমা প্রকাশনী যে কারখানার সেই কর্পোরেট হাউজটি সম্ভবত এটাই চাচ্ছিল বইটি বিতর্কিত হোক। আমার ধারণা এই কর্পোরেট হাউজটি আলকাতরা বিক্রিতে নামলেও লোকজন সানন্দে সেই আলকাতরাও লাইন ধরে পয়সা দিয়ে ক্রয় করবে।
বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “...কিন্তু উনি (লেখক) একটা সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং বলেছেন বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্য শেষ করেছেন জয় পাকিস্তান বলে। এটা তথ্যের প্রশ্ন। ১৯৯৮ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমান ...লিখেছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেভাবে উদ্ধৃত, সেখানে জয় বাংলা জয় পাকিস্তান আছে।...আমার মনে হয় এখানে এ কে খন্দকার জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান দুটো কথা রাখলেই ভাল হতো।“
এর অর্থ কী! আনিসুজ্জামান কী প্রকারান্তরে এটা মেনে নিচ্ছেন? তাঁর গাত্রদাহ কী এটাই তিনি জয় বাংলার সঙ্গে জয় পাকিস্তান রাখলেন না?
যাই হোক, এই প্রশ্নটা করা অবান্তর হবে না এ কে খন্দকার এতোটা বছর সবগুলো আঙ্গুল ঘিয়ে ডুবিয়ে রেখে এখন তালাশে বেরিয়েছেন ঘিয়ের উৎস গরুটার খোঁজে? আর এ কে খন্দকার তার লেখায় যে সমস্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন তা প্রমাণ করার দায়িত্ব তারই উপর বর্তায়।
হয় তিনি অকাট্য প্রমাণ দিয়ে আমাদেরকে, এই প্রজন্মকে ঋণী করবেন নইলে সোজা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। এই প্রজন্ম আপন বাপকে ছাড়ে না তিনি কোন ছার? কেউ এটা বিস্মৃত না-হলেই ভাল করবেন যে সেই দিন আর নাই। তথাকথিত ঝুলেপড়া সাদা গোঁফ, ঝুলেপড়া ইয়ের বুদ্ধিজীবীরা ফরমায়েসী বুদ্ধি দেবেন আর এই প্রজন্ম হাঁ করে গিলবে! যেখানে যেখানে পথ রুদ্ধ হয় এই প্রজন্ম কলম তুলে নেয় অনায়াস ভঙ্গিতে।
এমনিতে আমরা এ প্রজন্ম বড়ো অভাগা। দলবাজ লোকজনেরা আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেয়নি। যে যেভাবে পেরেছে এই প্রজন্মকে বোকা বানাবার চেষ্টা করেছে! কিন্তু এই প্রজন্মের উপর আমার নিজের আস্থা অগাধ। এরা ঠিকই তথ্যের মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে প্রকৃত ইতিহাস বের করে নিয়ে আসছে আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য।
বিচিত্র এই দেশের প্রায় সবই বিচিত্র। এখানে আমরা কাউকে-কাউকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যাই। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবার জন্য হাজার বছরের নীচে আমরা নামতেই পারি না! Homar sometimes nods- দেবতারাও ভুল করে কিন্তু এঁরা ভুল করেন না। এ বিচিত্র, বড়ো বিচিত্র...।
ভাগ্যিস, এখন পর্যন্ত এ কে খন্দকারকে কেউ রাজাকার বলে বসেননি। তবে আইএসএসের চর বানিয়ে দিয়েছেন। এবং ওখান থেকে কত টাকা পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখার জন্যও বলা হচ্ছে!
এতো দিন জানতাম আন্ডার কাভার এজেন্টরা সর্ব শক্তি ব্যয় করেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে এখন দেখছি এ কে খন্দকারের মত আন্ডার কাভার এজেন্ট বিস্তর হইচই করে বলছেন, ‘মুঝে পাকড়ো, মুঝে পাকড়ো...’!
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ কে খন্দকার উপ -সেনাপ্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্য-উপাত্ত তাঁর জানা, যুদ্ধটাকে তিনি দেখেছেন অনেক কাছ থেকে। তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত কোনও বক্তব্য যখন দেবেন তখন সেটাকে খাটো করে দেখার কোনও অবকাশ নাই। এবং কোনও প্রকাশনী যখন এমন একজন মানুষের বই প্রকাশ করবে তখন অতি গুরুত্বের সঙ্গেই যে করবে এতেও সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। ‘প্রথমা প্রকাশনী’ সেটা করেনি বলেই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ভাষণের শেষ অংশে ‘জয় পাকিস্তান’ যোগ থাকাটা। কারণ এর পক্ষে জোরালো কোনও তথ্য-উপাত্ত নেই বলেই অনুমিত হচ্ছে। এই প্রকাশনীর চেলা-চামুন্ডাদের এটা অজানা থাকাটা অবিশ্বাস্য যে অকাট্য তথ্য-উপাত্ত ব্যতীত এটা ছাপা হলে এই নিয়ে কেউ-ই রা কাড়বে না!
প্রথমা প্রকাশনী যে কারখানার সেই কর্পোরেট হাউজটি সম্ভবত এটাই চাচ্ছিল বইটি বিতর্কিত হোক। আমার ধারণা এই কর্পোরেট হাউজটি আলকাতরা বিক্রিতে নামলেও লোকজন সানন্দে সেই আলকাতরাও লাইন ধরে পয়সা দিয়ে ক্রয় করবে।
বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “...কিন্তু উনি (লেখক) একটা সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং বলেছেন বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্য শেষ করেছেন জয় পাকিস্তান বলে। এটা তথ্যের প্রশ্ন। ১৯৯৮ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমান ...লিখেছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেভাবে উদ্ধৃত, সেখানে জয় বাংলা জয় পাকিস্তান আছে।...আমার মনে হয় এখানে এ কে খন্দকার জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান দুটো কথা রাখলেই ভাল হতো।“
এর অর্থ কী! আনিসুজ্জামান কী প্রকারান্তরে এটা মেনে নিচ্ছেন? তাঁর গাত্রদাহ কী এটাই তিনি জয় বাংলার সঙ্গে জয় পাকিস্তান রাখলেন না?
যাই হোক, এই প্রশ্নটা করা অবান্তর হবে না এ কে খন্দকার এতোটা বছর সবগুলো আঙ্গুল ঘিয়ে ডুবিয়ে রেখে এখন তালাশে বেরিয়েছেন ঘিয়ের উৎস গরুটার খোঁজে? আর এ কে খন্দকার তার লেখায় যে সমস্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন তা প্রমাণ করার দায়িত্ব তারই উপর বর্তায়।
হয় তিনি অকাট্য প্রমাণ দিয়ে আমাদেরকে, এই প্রজন্মকে ঋণী করবেন নইলে সোজা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। এই প্রজন্ম আপন বাপকে ছাড়ে না তিনি কোন ছার? কেউ এটা বিস্মৃত না-হলেই ভাল করবেন যে সেই দিন আর নাই। তথাকথিত ঝুলেপড়া সাদা গোঁফ, ঝুলেপড়া ইয়ের বুদ্ধিজীবীরা ফরমায়েসী বুদ্ধি দেবেন আর এই প্রজন্ম হাঁ করে গিলবে! যেখানে যেখানে পথ রুদ্ধ হয় এই প্রজন্ম কলম তুলে নেয় অনায়াস ভঙ্গিতে।
এমনিতে আমরা এ প্রজন্ম বড়ো অভাগা। দলবাজ লোকজনেরা আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেয়নি। যে যেভাবে পেরেছে এই প্রজন্মকে বোকা বানাবার চেষ্টা করেছে! কিন্তু এই প্রজন্মের উপর আমার নিজের আস্থা অগাধ। এরা ঠিকই তথ্যের মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে প্রকৃত ইতিহাস বের করে নিয়ে আসছে আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য।
বিচিত্র এই দেশের প্রায় সবই বিচিত্র। এখানে আমরা কাউকে-কাউকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যাই। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবার জন্য হাজার বছরের নীচে আমরা নামতেই পারি না! Homar sometimes nods- দেবতারাও ভুল করে কিন্তু এঁরা ভুল করেন না। এ বিচিত্র, বড়ো বিচিত্র...।
No comments:
Post a Comment