প্রতি ঈদে ঘরফেরা মানুষের যে বর্ণনাতীত কষ্ট হয় এটা ভুক্তভোগি ব্যতীত অন্য কারও বোঝার উপায় নেই। হয়তো খানিকটা আঁচ করা চলে, ব্যস, এই!
পত্রিকায় নিয়ম করে ইদের আগে-পরের এই সংশ্লিষ্ট ছবি ছাপা হয়। মানুষে উপচেপড়া লঞ্চ-ট্রেন। বহুলব্যবহৃত একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়,‘দুর্ভোগ’। এই দুর্ভোগের নমুনা খানিকটা অনুভব করলাম আজ।
‘মহানগর প্রভাতী’ নামের এই ট্রেনটায় ১৬টা বগি। এরমধ্যে ১০টাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত! আমাদের রেল কর্তৃপক্ষের কেমন কেমন করে যেন একটা ধারণা জন্মেছে এই দেশের অধিকাংশ লোকজনেরই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার প্রয়োজন। ট্রেন ঢোকামাত্র মনে হলো কেউ যেন মৌমাছির বাসায় ঢিল ছুড়েছে। সে দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। বিপাকে পড়লেন নারী যাত্রী- লজ্জার মাথা খেয়ে নিরুপায় হয়ে এরা ছাদে উঠার চেষ্টা করতে লাগলেন। এটাকে দুরাধর্ষ-দুর্ধর্ষ কাজ বললেও কম বলা হয়। কী দুঃসাধ্য এক কাজ! কী মনখারাপ করা এক দৃশ্য। অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকা ব্যতীত কিছুই করার নেই।
‘মহানগর প্রভাতী’ নামের এই ট্রেনটা ঢাকা থেকে ছাড়ে সকাল ৭টায়। দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম পৌঁছার নিয়ম। পরে আমি জানতে পেরেছিলাম ওদিন এই ট্রেনটা চট্টগ্রামে পৌঁছেছিল রাত সাড়ে নটায়! আমাদের রেলমন্ত্রী মহোদয় বিবাহ নিয়ে ব্যস্ত। নইলে বলতাম, মন্ত্রী মহোদয়, একটু চোখ বন্ধ করে ভাবার চেষ্টা করুন তো একজন মহিলা মানুষ-শিশু এই প্রখর রৌদ্রে ট্রেনের ছাদে প্রায় সারাটা দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন। কোথায় পানি, কোথায় খাওয়া, কোথায় বাথরুমের ব্যবস্থা?
ব্যাপারটা এখান পর্যন্তই চুকে গেলে আমি বেঁচে যেতাম। কিন্তু আমি হতভম্ব-হতবাক হয়ে লক্ষ করে দেখলাম এতে অনেকেই বিমল আনন্দ পাচ্ছেন। মানুষের দুর্দশায় এমন আনন্দ আসে কোত্থেকে! কারণ আমাদের তোরতরিবত-শিক্ষাদীক্ষায় ঝামেলা আছে। ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান, শারীরিকভাবে অসুবিধাসম্পন্ন মানুষকে দেখে আমরা অবজ্ঞার হাসি ছুড়ে দেই। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা মানুষদেরকে দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাই। চুতিয়া লেখক স্যাররাও পাগল নাম দিয়ে এক চরিত্র সৃষ্টি করে আমাদেরকে হাসিখুসি রাখার চেষ্টা করেন। চারদিকে আনন্দই আনন্দ!
হাতের নাগালে মুখভরানো হাসিতে হাসতে থাকা এক জন্তুকে পেলাম। কিছু বাতচিত হলো। এই বাতচিতের বিশদ বর্ণনা এখানে জরুরি না। আহা, যাদের এমন বদ্ধমূল ধারণা আছে আমি সর্বদাই ‘ছাপার অক্ষরে’ কথা বলি তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করার কী দায় পড়েছে আমার। কেবল বলি, জঙ্গলে চলে জঙ্গলের আইন- জন্তুর সঙ্গে বলতে হয় জন্তুর ভাষা...।
পত্রিকায় নিয়ম করে ইদের আগে-পরের এই সংশ্লিষ্ট ছবি ছাপা হয়। মানুষে উপচেপড়া লঞ্চ-ট্রেন। বহুলব্যবহৃত একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়,‘দুর্ভোগ’। এই দুর্ভোগের নমুনা খানিকটা অনুভব করলাম আজ।
‘মহানগর প্রভাতী’ নামের এই ট্রেনটায় ১৬টা বগি। এরমধ্যে ১০টাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত! আমাদের রেল কর্তৃপক্ষের কেমন কেমন করে যেন একটা ধারণা জন্মেছে এই দেশের অধিকাংশ লোকজনেরই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার প্রয়োজন। ট্রেন ঢোকামাত্র মনে হলো কেউ যেন মৌমাছির বাসায় ঢিল ছুড়েছে। সে দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। বিপাকে পড়লেন নারী যাত্রী- লজ্জার মাথা খেয়ে নিরুপায় হয়ে এরা ছাদে উঠার চেষ্টা করতে লাগলেন। এটাকে দুরাধর্ষ-দুর্ধর্ষ কাজ বললেও কম বলা হয়। কী দুঃসাধ্য এক কাজ! কী মনখারাপ করা এক দৃশ্য। অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকা ব্যতীত কিছুই করার নেই।
‘মহানগর প্রভাতী’ নামের এই ট্রেনটা ঢাকা থেকে ছাড়ে সকাল ৭টায়। দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম পৌঁছার নিয়ম। পরে আমি জানতে পেরেছিলাম ওদিন এই ট্রেনটা চট্টগ্রামে পৌঁছেছিল রাত সাড়ে নটায়! আমাদের রেলমন্ত্রী মহোদয় বিবাহ নিয়ে ব্যস্ত। নইলে বলতাম, মন্ত্রী মহোদয়, একটু চোখ বন্ধ করে ভাবার চেষ্টা করুন তো একজন মহিলা মানুষ-শিশু এই প্রখর রৌদ্রে ট্রেনের ছাদে প্রায় সারাটা দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন। কোথায় পানি, কোথায় খাওয়া, কোথায় বাথরুমের ব্যবস্থা?
ব্যাপারটা এখান পর্যন্তই চুকে গেলে আমি বেঁচে যেতাম। কিন্তু আমি হতভম্ব-হতবাক হয়ে লক্ষ করে দেখলাম এতে অনেকেই বিমল আনন্দ পাচ্ছেন। মানুষের দুর্দশায় এমন আনন্দ আসে কোত্থেকে! কারণ আমাদের তোরতরিবত-শিক্ষাদীক্ষায় ঝামেলা আছে। ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান, শারীরিকভাবে অসুবিধাসম্পন্ন মানুষকে দেখে আমরা অবজ্ঞার হাসি ছুড়ে দেই। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা মানুষদেরকে দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাই। চুতিয়া লেখক স্যাররাও পাগল নাম দিয়ে এক চরিত্র সৃষ্টি করে আমাদেরকে হাসিখুসি রাখার চেষ্টা করেন। চারদিকে আনন্দই আনন্দ!
হাতের নাগালে মুখভরানো হাসিতে হাসতে থাকা এক জন্তুকে পেলাম। কিছু বাতচিত হলো। এই বাতচিতের বিশদ বর্ণনা এখানে জরুরি না। আহা, যাদের এমন বদ্ধমূল ধারণা আছে আমি সর্বদাই ‘ছাপার অক্ষরে’ কথা বলি তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করার কী দায় পড়েছে আমার। কেবল বলি, জঙ্গলে চলে জঙ্গলের আইন- জন্তুর সঙ্গে বলতে হয় জন্তুর ভাষা...।
No comments:
Post a Comment