আজকের অতিথি-লেখক Aminul Islam, লিখেছেন বিচিত্র এক খুন নিয়ে। তিনি লিখেছেন:
“প্রথম ছবিতে দেখুন এপোলো হাসপাতালের মেডিসিন কন্সালটেন্ট, Sharad Dayadhan Sonawane (ভারত থেকে আসা Specialist) কর্তৃক এমারত হোসেন নামের এক বয়স্ক রোগীকে দেয়া পেপটিক আলসারের প্রেসক্রিপশন । পরের ছবিটিতে দেখুন একই ব্যাক্তিকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate)। সময়ের ব্যবধান মাত্র চার দিন ।
এই ৫৮ বছর বয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীটি এপোলোতে গিয়েছিলেন পেটের উপরি অংশে জ্বালাপোড়া নিয়ে- যা কোনও গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধেই কমছিল না। এমতাবস্থায় যে-কোনও জুনিয়র চিকিৎসকও তাকে একটা ECG করাতেন, সেটাই নিয়ম । কিন্ত হাজার টাকা ফিসের বিদেশী ডাক্তার, জৌলুষময় কর্পোরেট হাসপাতাল এসব কিছুই তার হার্ট-আট্যাকটা সময়মত diagnosis করে দিতে পারলো না শুধু একটা ECG না-করানোর কারণে। পরে যখন কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না তখন সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ECG করালে তার গুরুতর হার্ট-আট্যাক (Myocardial Infarction) ধরা পড়ে । কিন্তু ততক্ষণে অনেক মহামুল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে । অবশেষে হৃদরোগ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হার্ট আট্যাকের বেলায় ’Minute means Muscle’ যার অর্থ এক মিনিট আগেও যদি চিকিৎসা শুরু হয় তবে বেঁচে যায় কিছু heart muscle। যত মিনিট বিলম্ব তত বেশী হৃৎপেশীর মৃত্যু। এক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা শুরুর বিলম্ব করা মানে গুরুতর অপরাধ করা। সেই অপরাধটুকুই করেছেন এপোলোর কথিত এই বিশেষজ্ঞ। নাকি Dayadhan সাহেবও আমাদের খোরশেদ স্যারের মতো ইন্ডিয়ায় ধাওয়া খাওয়া কোন ওয়ার্ডবয়? ওখানে ধরা খেয়ে এদেশে তসরীফ এনেছেন!
প্রেসক্রিপশনটাতেও বানিজ্যিক শোষণ প্রক্রিয়াও লক্ষনীয়। বুকপেট ব্যথার রোগীকে অযথাই কিছু ভিটামিন দিয়ে দেয়া হয়েছে যার প্রতিটা ট্যাবলেটের মুল্য ৮০ টাকা। ১৯০০ টাকার প্রেসক্রিপশনে ১৬০০ টাকাই ভিটামিন। ডাক্তার যেহেতু বিদেশী বিশেষজ্ঞ তাই পরম বিশ্বাসে সব কিনে নেওয়া হয়েছে। যে বড় হাসাতালের বড় ডাক্তারকে তিনি আরাধ্য মানলেন । হার্ট-আট্যাকের রোগী হয়ে গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে শেষমেষ তার হাতেই তিনি খুন হলেন।“ Aminul Islam
এপোলো হাসপাতাল নিয়ে ভিন্ন এক লেখা লিখেছিলেন, Rukhsana Tajin, ‘এ-তে এপোলো, বি-তে বুচার...’। লেখাটা তিনি লিখেছিলেন নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে- যখন এই হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন, অনাগত সন্তান তাঁর পেটে [১]।
১. এ-তে এপোলো: http://www.ali-mahmed.com/2014/01/blog-post_504.html
“প্রথম ছবিতে দেখুন এপোলো হাসপাতালের মেডিসিন কন্সালটেন্ট, Sharad Dayadhan Sonawane (ভারত থেকে আসা Specialist) কর্তৃক এমারত হোসেন নামের এক বয়স্ক রোগীকে দেয়া পেপটিক আলসারের প্রেসক্রিপশন । পরের ছবিটিতে দেখুন একই ব্যাক্তিকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate)। সময়ের ব্যবধান মাত্র চার দিন ।
এই ৫৮ বছর বয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীটি এপোলোতে গিয়েছিলেন পেটের উপরি অংশে জ্বালাপোড়া নিয়ে- যা কোনও গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধেই কমছিল না। এমতাবস্থায় যে-কোনও জুনিয়র চিকিৎসকও তাকে একটা ECG করাতেন, সেটাই নিয়ম । কিন্ত হাজার টাকা ফিসের বিদেশী ডাক্তার, জৌলুষময় কর্পোরেট হাসপাতাল এসব কিছুই তার হার্ট-আট্যাকটা সময়মত diagnosis করে দিতে পারলো না শুধু একটা ECG না-করানোর কারণে। পরে যখন কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না তখন সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ECG করালে তার গুরুতর হার্ট-আট্যাক (Myocardial Infarction) ধরা পড়ে । কিন্তু ততক্ষণে অনেক মহামুল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে । অবশেষে হৃদরোগ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হার্ট আট্যাকের বেলায় ’Minute means Muscle’ যার অর্থ এক মিনিট আগেও যদি চিকিৎসা শুরু হয় তবে বেঁচে যায় কিছু heart muscle। যত মিনিট বিলম্ব তত বেশী হৃৎপেশীর মৃত্যু। এক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা শুরুর বিলম্ব করা মানে গুরুতর অপরাধ করা। সেই অপরাধটুকুই করেছেন এপোলোর কথিত এই বিশেষজ্ঞ। নাকি Dayadhan সাহেবও আমাদের খোরশেদ স্যারের মতো ইন্ডিয়ায় ধাওয়া খাওয়া কোন ওয়ার্ডবয়? ওখানে ধরা খেয়ে এদেশে তসরীফ এনেছেন!
প্রেসক্রিপশনটাতেও বানিজ্যিক শোষণ প্রক্রিয়াও লক্ষনীয়। বুকপেট ব্যথার রোগীকে অযথাই কিছু ভিটামিন দিয়ে দেয়া হয়েছে যার প্রতিটা ট্যাবলেটের মুল্য ৮০ টাকা। ১৯০০ টাকার প্রেসক্রিপশনে ১৬০০ টাকাই ভিটামিন। ডাক্তার যেহেতু বিদেশী বিশেষজ্ঞ তাই পরম বিশ্বাসে সব কিনে নেওয়া হয়েছে। যে বড় হাসাতালের বড় ডাক্তারকে তিনি আরাধ্য মানলেন । হার্ট-আট্যাকের রোগী হয়ে গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে শেষমেষ তার হাতেই তিনি খুন হলেন।“ Aminul Islam
এপোলো হাসপাতাল নিয়ে ভিন্ন এক লেখা লিখেছিলেন, Rukhsana Tajin, ‘এ-তে এপোলো, বি-তে বুচার...’। লেখাটা তিনি লিখেছিলেন নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে- যখন এই হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন, অনাগত সন্তান তাঁর পেটে [১]।
১. এ-তে এপোলো: http://www.ali-mahmed.com/2014/01/blog-post_504.html
4 comments:
খুনীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট মামলা করতে হবে।
শালার এই খুনীদের ধরার কোনো হ্যাডেম কারও নেই!!!
আমিনুল ভাইকে ধন্যবাদ,্ই হাসপাতাল নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আছে।
before blaming doctor can you please recheck what is the case.just easy to blacklist doctor.dyspepsia can mimic like gastritis and advised to do take medicines.if unfortunate she had heart attack..had you ever tried to correct .had full sympathy towards patient..u mean what will doctor get out of all this...just google dyspepsia...and heart attack before blaming any innocent doctors
Post a Comment