আমাদের রেলমন্ত্রী মহোদয় বিবাহ করছেন। ফরয কাজ-শুভ কাজ, আলহামদুলিল্লাহ। এমনিতে এখন অবশ্য রেলওয়ের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন মহিলা-শিশুরাও রেলের ছাদে হাওয়া-বাতাস-রোদ খেতে খেতে ভ্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছে। রেলমন্ত্রী মহোদয়ের বিবাহের পর রেলওয়েতে আরও গতি আসবে এতে কোনও সন্দেহ নেই।
পত্রিকা পড়ে জানলাম, রেলমন্ত্রী মহোদয় মাটির মানুষ। তিনি রাজনীতি নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলেন যে বিবাহ করার আর সুযোগ হয়নি! আমদের দেশের রাজনীতিবিদগণ বড়ই মাটির মানুষ। কেউ বিবাহ করার সময় পান না তো কেউ সংসদে, সভা-সমিতিতে মুখ হাঁ করে চোখ বন্ধ করে রাখেন। কী রহস্য? চোখ খুলে তিনি রহস্য ফাঁস করেন! তিনি নাকি ঘুমাননি ঘুমের ভান ধরে দেশ-জাতির কথা চিন্তা করছিলেন। শোনো কথা, আমরা আবার কখন বললাম তিনি ঘুমিয়ে পড়েন? কেবল এটাই তো বললাম, তিনি মুখ হাঁ-মুখ ব্যাদান করে চোখ বন্ধ করে রাখেন।
যাই হোক, রেলমন্ত্রী মহোদয় ৫০০ বরযাত্রী নিয়ে নিয়ে যাবেন এবং কনের বাড়িতে উভয় দিক মিলিয়ে ১২০০ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের হলে ৩৫০০ হাজার এবং চৌদ্দগ্রামের অনুষ্ঠানে ৩০০০০ মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“বিদ্যমান অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১০০ জনের বেশি অতিথি হলে জনপ্রতি ২৫ টাকা করে সরকারী কোষাগারে কর দিতে হবে। তবে অতিথি অতিরিক্ত ৪শ’ জনের বেশি হওয়া চলবে না।“
ছ্যা, মাত্র ২৫ টাকা- এটা কত সালের আইন কে জানে! তখন সম্ভবত চাউলের কেজি ছিল ১০ টাকা! তারপরও জনপ্রতি ২৫ টাকা করে হলে রেলমন্ত্রী মহোদয়ের বিবাহ উপলক্ষে সরকারের কোষাগারে ৯ লক্ষ টাকা জমা হবে। এ ভারী আনন্দের খবর নিঃসন্দেহে।
কিন্তু ৪০০ জনের বেশি অতিথি হওয়া চলবে না আইনের এই প্যাঁচ, এটা খানিকটা ঝামেলায় ফেলে দেবে। যাক গে, আমাদের দুঁদে আইনমন্ত্রী মহোদয় আছেন যখন এটারও একটা গতি হবে- আইন সংশোধন করে নিলেই হবে।
পত্রিকার মাধ্যমে আরো জানা যাচ্ছে, কনের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে ঠিকাদার আশা প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী কনের বাড়িতে যাবেন টমটমে করে। এটা একটা কথা হলো! রেলমন্ত্রী মহোদয়ের টাকায় কী টান পড়েছে যে কেবল রাস্তাই সংস্কার করছেন! টমটমে কেন, রেলমন্ত্রী যাবেন রেলগাড়িতে চড়ে। কনের বাড়ি পর্যন্ত রেললাইন বসাবার জোর দাবী জানাই...।
পত্রিকা পড়ে জানলাম, রেলমন্ত্রী মহোদয় মাটির মানুষ। তিনি রাজনীতি নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলেন যে বিবাহ করার আর সুযোগ হয়নি! আমদের দেশের রাজনীতিবিদগণ বড়ই মাটির মানুষ। কেউ বিবাহ করার সময় পান না তো কেউ সংসদে, সভা-সমিতিতে মুখ হাঁ করে চোখ বন্ধ করে রাখেন। কী রহস্য? চোখ খুলে তিনি রহস্য ফাঁস করেন! তিনি নাকি ঘুমাননি ঘুমের ভান ধরে দেশ-জাতির কথা চিন্তা করছিলেন। শোনো কথা, আমরা আবার কখন বললাম তিনি ঘুমিয়ে পড়েন? কেবল এটাই তো বললাম, তিনি মুখ হাঁ-মুখ ব্যাদান করে চোখ বন্ধ করে রাখেন।
যাই হোক, রেলমন্ত্রী মহোদয় ৫০০ বরযাত্রী নিয়ে নিয়ে যাবেন এবং কনের বাড়িতে উভয় দিক মিলিয়ে ১২০০ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের হলে ৩৫০০ হাজার এবং চৌদ্দগ্রামের অনুষ্ঠানে ৩০০০০ মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“বিদ্যমান অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১০০ জনের বেশি অতিথি হলে জনপ্রতি ২৫ টাকা করে সরকারী কোষাগারে কর দিতে হবে। তবে অতিথি অতিরিক্ত ৪শ’ জনের বেশি হওয়া চলবে না।“
ছ্যা, মাত্র ২৫ টাকা- এটা কত সালের আইন কে জানে! তখন সম্ভবত চাউলের কেজি ছিল ১০ টাকা! তারপরও জনপ্রতি ২৫ টাকা করে হলে রেলমন্ত্রী মহোদয়ের বিবাহ উপলক্ষে সরকারের কোষাগারে ৯ লক্ষ টাকা জমা হবে। এ ভারী আনন্দের খবর নিঃসন্দেহে।
কিন্তু ৪০০ জনের বেশি অতিথি হওয়া চলবে না আইনের এই প্যাঁচ, এটা খানিকটা ঝামেলায় ফেলে দেবে। যাক গে, আমাদের দুঁদে আইনমন্ত্রী মহোদয় আছেন যখন এটারও একটা গতি হবে- আইন সংশোধন করে নিলেই হবে।
পত্রিকার মাধ্যমে আরো জানা যাচ্ছে, কনের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে ঠিকাদার আশা প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী কনের বাড়িতে যাবেন টমটমে করে। এটা একটা কথা হলো! রেলমন্ত্রী মহোদয়ের টাকায় কী টান পড়েছে যে কেবল রাস্তাই সংস্কার করছেন! টমটমে কেন, রেলমন্ত্রী যাবেন রেলগাড়িতে চড়ে। কনের বাড়ি পর্যন্ত রেললাইন বসাবার জোর দাবী জানাই...।
No comments:
Post a Comment