এতটা কাল আমরা জেনে এসেছি লিমন এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী! অনেকটা এমনই মনে হয়েছিল তখন, প্রশাসনযন্ত্র, দেশের সমস্ত অস্ত্র লিমনের দিকে তাক করা। এমন একজন শক্তিশালী মানুষকে সমীহ না-করার কোনও কারণ দেখি না। তাই আমি এক লেখায় লিখেছিলাম, ‘কদমবুসি করার জন্য লিমনের এক পা-ই যথেষ্ঠ' [১]!
সম্প্রতি মাননীয় আদালত সব ধরনের অভিযোগ থেকে লিমনকে অব্যহতি দেন। আজ পত্রিকায় পড়ছি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, “সাড়ে তিন বছর আগে লিমনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষযটি ছিল ‘নিছক দুর্ঘটনা’। ...একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ধরতে গিয়ে এই অ্যাক্সিডেন্টটি হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গুলিটি লিমনের পায়ে লেগে যায়। এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা”। (বিডিনিউজ এর বরাত দিয়ে এটা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৩ অক্টোবর, ২০১৪)
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই যে তিনি স্বীকার করেছেন লিমনের পায়ে যে র্যাব সদস্যরা গুলি করেছিল এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা। অবশ্য আমরা এই কুতর্কে যাব না যে মাননীয় আদালত লিমনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর লিমনকে এখন আর সন্ত্রাসী বলার উপায় নেই। বললে সেটা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদালতের মান রেখেছেন বলে তিনি একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। ধন্যবাদপর্ব শেষ হলে আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ে জনতে চাই, বেশ-বেশ, এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল আমরা না-হয় আপনার সঙ্গে একমত হলুম। তবে...? সেটা হচ্ছে, কেউ কার্ও এক পা উড়িয়ে দিয়ে আহা, এটা তো দুর্ঘটনা বলে পার পেয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। কেউ দুর্ঘটনাক্রমে কাউকে গাড়ি চাপা দিল বা ছাদ থেকে দুর্ঘটনাক্রমে নির্মাণসামগ্রী ফেলে কাউকে নীচ থেকে উপরে পাঠিয়ে দিল ব্যস, এটা নিছক দুর্ঘটনা বলে ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য দুর্ঘটনা ফ্রন্ট’।
তারপরও একটা কিন্তু, একটা কিন্তু রয়ে যায়! ভুলক্রমে গুলি করে লিটনের পা উড়িয়ে দেওয়ার পর র্যাব বুঝতে পারল এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা কিন্তু এরপর যে র্যাব লিটনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে লিটনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে একটি অস্ত্র আইনে এবং অন্যটি সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার জন্য। সাড়ে তিন বছর ধরে মামলা চলার পর আদালত গত বছর ২৯ জুলাই লিমনকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা থেকে অব্যহতি দেন এবং এ বছর (২০১৪) ১৬ অক্টোবর সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার জন্য দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এই যে দু-দুটি মামলা করেছিল র্যাব, সেটাও কী নিছক দুর্ঘটনা?
১. কদমবুসি করার জন্য লিমনের এক পা-ই যথেষ্ঠ : http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_22.html
সম্প্রতি মাননীয় আদালত সব ধরনের অভিযোগ থেকে লিমনকে অব্যহতি দেন। আজ পত্রিকায় পড়ছি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, “সাড়ে তিন বছর আগে লিমনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষযটি ছিল ‘নিছক দুর্ঘটনা’। ...একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ধরতে গিয়ে এই অ্যাক্সিডেন্টটি হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গুলিটি লিমনের পায়ে লেগে যায়। এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা”। (বিডিনিউজ এর বরাত দিয়ে এটা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৩ অক্টোবর, ২০১৪)
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই যে তিনি স্বীকার করেছেন লিমনের পায়ে যে র্যাব সদস্যরা গুলি করেছিল এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা। অবশ্য আমরা এই কুতর্কে যাব না যে মাননীয় আদালত লিমনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর লিমনকে এখন আর সন্ত্রাসী বলার উপায় নেই। বললে সেটা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদালতের মান রেখেছেন বলে তিনি একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। ধন্যবাদপর্ব শেষ হলে আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ে জনতে চাই, বেশ-বেশ, এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল আমরা না-হয় আপনার সঙ্গে একমত হলুম। তবে...? সেটা হচ্ছে, কেউ কার্ও এক পা উড়িয়ে দিয়ে আহা, এটা তো দুর্ঘটনা বলে পার পেয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। কেউ দুর্ঘটনাক্রমে কাউকে গাড়ি চাপা দিল বা ছাদ থেকে দুর্ঘটনাক্রমে নির্মাণসামগ্রী ফেলে কাউকে নীচ থেকে উপরে পাঠিয়ে দিল ব্যস, এটা নিছক দুর্ঘটনা বলে ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য দুর্ঘটনা ফ্রন্ট’।
তারপরও একটা কিন্তু, একটা কিন্তু রয়ে যায়! ভুলক্রমে গুলি করে লিটনের পা উড়িয়ে দেওয়ার পর র্যাব বুঝতে পারল এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা কিন্তু এরপর যে র্যাব লিটনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে লিটনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে একটি অস্ত্র আইনে এবং অন্যটি সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার জন্য। সাড়ে তিন বছর ধরে মামলা চলার পর আদালত গত বছর ২৯ জুলাই লিমনকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা থেকে অব্যহতি দেন এবং এ বছর (২০১৪) ১৬ অক্টোবর সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার জন্য দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এই যে দু-দুটি মামলা করেছিল র্যাব, সেটাও কী নিছক দুর্ঘটনা?
১. কদমবুসি করার জন্য লিমনের এক পা-ই যথেষ্ঠ : http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_22.html
No comments:
Post a Comment