'কাঠগড়ায় দাঁড়াও, লালন-নজরুল!' [১], নিজের অজান্তেই অসতর্কতার কারণে এই লেখাটায় ভয়াবহ একটা ভুল হয়ে গেল! একজন ভুলটা ধরিয়ে না-দিলে হয়তো চোখের আড়ালেই থেকে যেত। যতটা না বিব্রত হয়েছি তারচেয়ে বিরক্ত হয়েছি নিজের উপর। বিরক্ত হওয়ার কারণটা বলছি।
'কাঠগড়ায় দাঁড়াও, লালন-নজরুল!' লেখাটা যখন লিখছিলাম তখন স্থির করেছিলাম যে-বিষয়টা সামনে নিয়ে আসব অথচ লেখার সময় সেটা বেমালুম ভুলে গেলাম। বিষয়টা এমন:
একজনের করা অন্যায়ের কারণে যারা অন্য ধর্মের লোকজনের উপাসনালয়ে আগুন দেন, ভাংচুর চালান এদের প্রকৃত পড়াশোনা, সহনশীলতার যথেষ্ট ঘাটতি আছে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আমার দৃষ্টিতে এরা এক পাল পশু। এরা বুঝতে চান না কোনও একজনের জন্য সবাইকে দায়ী করা চলে না, যেমনটা চলে না একজনের দোষে অন্যের উপাসনালয় গুড়িয়ে দেওয়া।
এদের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়, ধর্ম যেন একটা কাঁচের বাসন এটা হাত থেকে পড়ামাত্র খানখান হয়ে যাবে। এই যদি হয় নিজ ধর্মের প্রতি আস্থা তাহলে তো সর্বনাশ!
কিন্তু এই একপাল পশুর চেয়েও এককাঠি সরেস লোকজনও আছেন। এরা শিক্ষাদীক্ষায় অনেককে ছাড়িয়ে যান। প্রভাবিত করা যায় এমন অনেক স্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। যথারীতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। আইডিও বাছেন বিচিত্র, কখনও ‘সাধু’ নামে আবার কখনও ‘পাজি’ নামে! এদের অন্য আর কোনও কাজ নেই। খুঁজে খুঁজে এমন সব ঘটনা বের করবেন এবং লেখার মাধ্যমে চিবিয়ে চিবিয়ে বলবেন, তো , মুসলিম ভাইলোগ, দেখলেন, এই হচ্ছে আপনাদের ইসলাম ধর্ম, ছ্যা-ছ্যা-ছ্যা। বা, এই হচ্ছে হিন্দু ধর্ম, ছি-ছি-ছি!
দেবাশীষের ঘটনার পর মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এর রেশ ধরে একজন তো বাংলাদেশে আলাদা হিন্দুস্থান পয়দা করার স্বপ্নও দেখা শুরু করে দিলেন। সাবাশ স্বপ্নপুরুষ! স্বপ্ন দেখে দেখে আপনার না-আবার স্বপ্ন... হয়ে যায়! বুঝলেন মশায়, ঝামেলা হয়ে যাবে শেষে।
আমার স্পষ্ট বক্তব্য, কোনও জাতি একটা নিরেট পাথরখন্ডকে ঈশ্বর জ্ঞান করলে ওই পাথরখন্ডে পদাঘাত করার প্রয়োজন কী? এই গ্রহে কী লাত্থালাত্থি করার জন্য পাথরের অভাব পড়েছে নাকি! নাকি ফুটবল চারকোনা হয়ে গেছে!
কেউ অন্য ধর্মে বিশ্বাসী বা কারও ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই, বেশ। তা থাকুন না তিনি তার মত করে, সমস্যা কোথায়। ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষের পেছন অনবরত লেগে থাকা কেন! আর ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষগুলোরই বা কী সমস্যা যে ঈশ্বরঅবিশ্বাসী মানুষের পেছনে গন্ধ শুঁকে বেড়ানো?
এরা দুই-ই, একটা বৃত্তে আটকা পড়ে অনবরত ঘুরপাক খান। এরা অবলীলায় বিস্মৃত হন, একই বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়াটা জ্ঞানের পরিচায়ক হতে পারে না। জ্ঞান হচ্ছে সরলরেখা- কেবল এগিয়ে যাওয়া...।
১. কাঠগড়ায় দাঁড়াও, লালন-নজরুল!: http://www.ali-mahmed.com/2014/11/blog-post_78.html
'কাঠগড়ায় দাঁড়াও, লালন-নজরুল!' লেখাটা যখন লিখছিলাম তখন স্থির করেছিলাম যে-বিষয়টা সামনে নিয়ে আসব অথচ লেখার সময় সেটা বেমালুম ভুলে গেলাম। বিষয়টা এমন:
একজনের করা অন্যায়ের কারণে যারা অন্য ধর্মের লোকজনের উপাসনালয়ে আগুন দেন, ভাংচুর চালান এদের প্রকৃত পড়াশোনা, সহনশীলতার যথেষ্ট ঘাটতি আছে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আমার দৃষ্টিতে এরা এক পাল পশু। এরা বুঝতে চান না কোনও একজনের জন্য সবাইকে দায়ী করা চলে না, যেমনটা চলে না একজনের দোষে অন্যের উপাসনালয় গুড়িয়ে দেওয়া।
এদের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়, ধর্ম যেন একটা কাঁচের বাসন এটা হাত থেকে পড়ামাত্র খানখান হয়ে যাবে। এই যদি হয় নিজ ধর্মের প্রতি আস্থা তাহলে তো সর্বনাশ!
কিন্তু এই একপাল পশুর চেয়েও এককাঠি সরেস লোকজনও আছেন। এরা শিক্ষাদীক্ষায় অনেককে ছাড়িয়ে যান। প্রভাবিত করা যায় এমন অনেক স্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। যথারীতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। আইডিও বাছেন বিচিত্র, কখনও ‘সাধু’ নামে আবার কখনও ‘পাজি’ নামে! এদের অন্য আর কোনও কাজ নেই। খুঁজে খুঁজে এমন সব ঘটনা বের করবেন এবং লেখার মাধ্যমে চিবিয়ে চিবিয়ে বলবেন, তো , মুসলিম ভাইলোগ, দেখলেন, এই হচ্ছে আপনাদের ইসলাম ধর্ম, ছ্যা-ছ্যা-ছ্যা। বা, এই হচ্ছে হিন্দু ধর্ম, ছি-ছি-ছি!
দেবাশীষের ঘটনার পর মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এর রেশ ধরে একজন তো বাংলাদেশে আলাদা হিন্দুস্থান পয়দা করার স্বপ্নও দেখা শুরু করে দিলেন। সাবাশ স্বপ্নপুরুষ! স্বপ্ন দেখে দেখে আপনার না-আবার স্বপ্ন... হয়ে যায়! বুঝলেন মশায়, ঝামেলা হয়ে যাবে শেষে।
আমার স্পষ্ট বক্তব্য, কোনও জাতি একটা নিরেট পাথরখন্ডকে ঈশ্বর জ্ঞান করলে ওই পাথরখন্ডে পদাঘাত করার প্রয়োজন কী? এই গ্রহে কী লাত্থালাত্থি করার জন্য পাথরের অভাব পড়েছে নাকি! নাকি ফুটবল চারকোনা হয়ে গেছে!
কেউ অন্য ধর্মে বিশ্বাসী বা কারও ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই, বেশ। তা থাকুন না তিনি তার মত করে, সমস্যা কোথায়। ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষের পেছন অনবরত লেগে থাকা কেন! আর ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষগুলোরই বা কী সমস্যা যে ঈশ্বরঅবিশ্বাসী মানুষের পেছনে গন্ধ শুঁকে বেড়ানো?
এরা দুই-ই, একটা বৃত্তে আটকা পড়ে অনবরত ঘুরপাক খান। এরা অবলীলায় বিস্মৃত হন, একই বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়াটা জ্ঞানের পরিচায়ক হতে পারে না। জ্ঞান হচ্ছে সরলরেখা- কেবল এগিয়ে যাওয়া...।
১. কাঠগড়ায় দাঁড়াও, লালন-নজরুল!: http://www.ali-mahmed.com/2014/11/blog-post_78.html
No comments:
Post a Comment