এক নয়নে বাস তাঁদের, অন্য নয়নে আমার- বড় কাছাকাছি, তবুও কেউ কাউকে দেখতে পায় না!
নয়ন প্রসঙ্গে পরে আসছি। একটু মামার কথা বলি। আমাদের এক কমন মামা আছেন। গুগলমামা! ভাগিনাদের প্রতি তিনি বড়ই উদারহস্ত, না-হক পক্ষপাতিত্ব তার। কিন্তু কখনও কখনও গুগলমামা বিকট ভজকটও করে ফেলেন। তিনি আমার মত নিরীহ মানুষকে গালও খাওয়ান। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলি। কেউ কেউ গুগলে রগরগে লেখা দিয়ে সার্চ দেন। দুধ লিখে কেউ সার্চ দিলেন। মানে কেবল দুধ না এর আগেপিছনে আরও কিছু শব্দ যুক্ত থাকে। পাঠককে আমি আমার চেয়েও বুদ্ধিমান মনে করি বিধায় আপাতত ‘...দুধ’ লিখেই কাজ সারছি।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার একটা লেখা আছে। জনাব, দুলা মিয়াকে নিয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে দুলা মিয়ার মত অসমসাহসী আগুনমানুষ খুব একটা আছেন বলে আমার মনে হয় না। তাঁর সাহসের কথা রূপকথাকেও হার মানায়! অথচ এমন একজন মানুষের শেষশয্যা যেখানটায় হয়েছিল তার চিহ্ণও আমরা রাখিনি। অথচ দুলা মিয়ার কবরের পাশেই একজন অখ্যাত ফকিরের সমাধিকে পারলে আমরা মখমল দিয়ে মুড়িয়ে রাখি! এই নিয়ে একটা লেখা ছিল আমার, ‘আমরা দুধ বিক্রি করে শুটকি খাওয়া জাতি’ [১]।
তো, গুগলমামা, বদ-মামা সোজা আমার এই লেখাটা দেখিয়ে দেন। এখন চিন্তা করে দেখুন, বিশেষ কারণে উত্তেজিত লোকজন যখন ‘ইয়ের দুধ’ লিখে সার্চ দিয়ে এই লেখাটা পড়া শুরু করল তখন সে তো আর আমাকে গালি না দিয়ে ‘শাবাসি’ দেবে না। মামার কারণে নিরীহ ভাগিনা বিনাদোষে গালি খায়। কী আর করা, কপাল! মামা বলে কথা!
আমি যে ওয়েব সাইটটাতে লিখি (ali-mahmed.com) গুটিগুটি পায়ে সেটার পেজ-ভিউ ৪ লক্ষ ছাড়াল।
অনেকে তাচ্ছিল্যের দেখনহাসি হাসবেন। হয়তো-বা এদের কাছে বিষয়টা হাসিকা। এদের দোষ দেই না কারণ এখন সময়টা বড় অস্থির, সব কিছুই বড়ো দ্রুত। আমার মত মানুষের পক্ষে তাল মেলানো বড়ো কঠিন। উদাহরণ দেই, এখন ফেসবুকের কল্যাণে কারও কারও ফলোয়ারের সংখ্যা লাখের উপর! অনুগত বাহিনী লেলিয়ে দিলে এরা মাত্র চার দিনেই ৪ লক্ষ পেজ-ভিউয়ের কাজটা করে ফেলতে পারবেন এতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু আমার কাছে যে ‘সির আঁখো পে’। আঁজলাভরা শিউলি ফুল কোথায় রাখি!
এমনিতে কখনও কখনও আমি আমার নিজের লেখা নিয়ে বড়ো হতাশ হই। প্রায়শ একটা ভাবনা কাবু করে, কী লিখি, ছাই! কী হয় এই সব লেখালেখি করে, ঘন্টা। এমন মুহূর্তে আয়নার সামনে দুই নয়নের চোখাচোখি হয়। রে, নয়ন চকোর...।
১. আমরা দুধ বিক্রি করে শুটকি খাওয়া জাতি: http://www.ali-mahmed.com/2009/08/blog-post_05.html
নয়ন প্রসঙ্গে পরে আসছি। একটু মামার কথা বলি। আমাদের এক কমন মামা আছেন। গুগলমামা! ভাগিনাদের প্রতি তিনি বড়ই উদারহস্ত, না-হক পক্ষপাতিত্ব তার। কিন্তু কখনও কখনও গুগলমামা বিকট ভজকটও করে ফেলেন। তিনি আমার মত নিরীহ মানুষকে গালও খাওয়ান। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলি। কেউ কেউ গুগলে রগরগে লেখা দিয়ে সার্চ দেন। দুধ লিখে কেউ সার্চ দিলেন। মানে কেবল দুধ না এর আগেপিছনে আরও কিছু শব্দ যুক্ত থাকে। পাঠককে আমি আমার চেয়েও বুদ্ধিমান মনে করি বিধায় আপাতত ‘...দুধ’ লিখেই কাজ সারছি।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার একটা লেখা আছে। জনাব, দুলা মিয়াকে নিয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে দুলা মিয়ার মত অসমসাহসী আগুনমানুষ খুব একটা আছেন বলে আমার মনে হয় না। তাঁর সাহসের কথা রূপকথাকেও হার মানায়! অথচ এমন একজন মানুষের শেষশয্যা যেখানটায় হয়েছিল তার চিহ্ণও আমরা রাখিনি। অথচ দুলা মিয়ার কবরের পাশেই একজন অখ্যাত ফকিরের সমাধিকে পারলে আমরা মখমল দিয়ে মুড়িয়ে রাখি! এই নিয়ে একটা লেখা ছিল আমার, ‘আমরা দুধ বিক্রি করে শুটকি খাওয়া জাতি’ [১]।
তো, গুগলমামা, বদ-মামা সোজা আমার এই লেখাটা দেখিয়ে দেন। এখন চিন্তা করে দেখুন, বিশেষ কারণে উত্তেজিত লোকজন যখন ‘ইয়ের দুধ’ লিখে সার্চ দিয়ে এই লেখাটা পড়া শুরু করল তখন সে তো আর আমাকে গালি না দিয়ে ‘শাবাসি’ দেবে না। মামার কারণে নিরীহ ভাগিনা বিনাদোষে গালি খায়। কী আর করা, কপাল! মামা বলে কথা!
আমি যে ওয়েব সাইটটাতে লিখি (ali-mahmed.com) গুটিগুটি পায়ে সেটার পেজ-ভিউ ৪ লক্ষ ছাড়াল।
অনেকে তাচ্ছিল্যের দেখনহাসি হাসবেন। হয়তো-বা এদের কাছে বিষয়টা হাসিকা। এদের দোষ দেই না কারণ এখন সময়টা বড় অস্থির, সব কিছুই বড়ো দ্রুত। আমার মত মানুষের পক্ষে তাল মেলানো বড়ো কঠিন। উদাহরণ দেই, এখন ফেসবুকের কল্যাণে কারও কারও ফলোয়ারের সংখ্যা লাখের উপর! অনুগত বাহিনী লেলিয়ে দিলে এরা মাত্র চার দিনেই ৪ লক্ষ পেজ-ভিউয়ের কাজটা করে ফেলতে পারবেন এতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু আমার কাছে যে ‘সির আঁখো পে’। আঁজলাভরা শিউলি ফুল কোথায় রাখি!
এমনিতে কখনও কখনও আমি আমার নিজের লেখা নিয়ে বড়ো হতাশ হই। প্রায়শ একটা ভাবনা কাবু করে, কী লিখি, ছাই! কী হয় এই সব লেখালেখি করে, ঘন্টা। এমন মুহূর্তে আয়নার সামনে দুই নয়নের চোখাচোখি হয়। রে, নয়ন চকোর...।
১. আমরা দুধ বিক্রি করে শুটকি খাওয়া জাতি: http://www.ali-mahmed.com/2009/08/blog-post_05.html
No comments:
Post a Comment