মাহবুবকে হুইল -চেয়ার [১], [২] দেওয়ার পর-পরই একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহৃদয় মানুষ, মাহবুব এবং তার বোন তানিয়ার জন্য এক বছরের পড়ার খরচ পাঠিয়েছিলেন। অতি সুখের বিষয় আজকাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে :) ।
তানিয়ার ঘটনাটা পূর্বের লেখায় বলেছিলাম ওর এক ক্লাস উপরে থাকার কথা কিন্তু ভাইয়ের জন্য সে একই ক্লাসে রয়ে গেছে!
যাই হোক, ওই সহৃদয় মানুষের কাছে আমি বড়ই সরমিন্দা কারণ পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ করতে সময় লেগে গেল। আমি টাকাটা এই পরিবারের হাতে দিতে চাচ্ছিলাম না কারণ এদের অভাবের সংসার, দেখা গেল টাকাটা খরচ হয়ে গেল। এদিকে স্কুলের আবার নিয়ম বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে এরা সমস্ত হিসেব-নিকেষ করতে বসে। ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করা ব্যতীত উপায় রইল না। তো, এই ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে স্কুলের যাবতীয় খরচ পরিশোধ করার পর মাহবুব এবং তানিয়ার আর পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা রইল না। পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সুখের বিষয় মাহবুব এবং তানিয়া পরীক্ষা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই মানুষটার প্রতি কেমন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি?
‘হ্যাপি ফ্যামেলি’ নামটা সম্ভবত ঠিক মানানসই হলো না। কারণ ছবিতে এই পরিবারের বাবাটাকে দেখে মনে হবে ভারী বিষণ্ণ, বুকে পাথর চেপে আছেন। বা ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারছে এটা তার কাছে বড়ই নিরানন্দ ঘটনা! খবরের পেছনে যেমন খবর থাকে তেমনি ঘটনার পেছনে ঘটনা। সেই ঘটনাটা বলাটা আমার জন্য খানিকটা বিব্রতকর। অসমীচীন ও অন্যায়ও বটে। জীবনে কতো বড়-বড় অন্যায় করে ফেলেছি ছোট্ট একটা অন্যায় নাহয় করলামই।
ভদ্রলোকের সামনের পাটির দাঁত নাই...।
সহায়ক সূত্র:
১. ডানা-ভাঙ্গা পাখি: http://www.ali-mahmed.com/2014/09/blog-post_20.html
২. আলোর পথে গুহামানব: http://www.ali-mahmed.com/2014/09/blog-post_24.html
তানিয়ার ঘটনাটা পূর্বের লেখায় বলেছিলাম ওর এক ক্লাস উপরে থাকার কথা কিন্তু ভাইয়ের জন্য সে একই ক্লাসে রয়ে গেছে!
যাই হোক, ওই সহৃদয় মানুষের কাছে আমি বড়ই সরমিন্দা কারণ পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ করতে সময় লেগে গেল। আমি টাকাটা এই পরিবারের হাতে দিতে চাচ্ছিলাম না কারণ এদের অভাবের সংসার, দেখা গেল টাকাটা খরচ হয়ে গেল। এদিকে স্কুলের আবার নিয়ম বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে এরা সমস্ত হিসেব-নিকেষ করতে বসে। ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করা ব্যতীত উপায় রইল না। তো, এই ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে স্কুলের যাবতীয় খরচ পরিশোধ করার পর মাহবুব এবং তানিয়ার আর পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা রইল না। পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সুখের বিষয় মাহবুব এবং তানিয়া পরীক্ষা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই মানুষটার প্রতি কেমন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি?
‘হ্যাপি ফ্যামেলি’ নামটা সম্ভবত ঠিক মানানসই হলো না। কারণ ছবিতে এই পরিবারের বাবাটাকে দেখে মনে হবে ভারী বিষণ্ণ, বুকে পাথর চেপে আছেন। বা ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারছে এটা তার কাছে বড়ই নিরানন্দ ঘটনা! খবরের পেছনে যেমন খবর থাকে তেমনি ঘটনার পেছনে ঘটনা। সেই ঘটনাটা বলাটা আমার জন্য খানিকটা বিব্রতকর। অসমীচীন ও অন্যায়ও বটে। জীবনে কতো বড়-বড় অন্যায় করে ফেলেছি ছোট্ট একটা অন্যায় নাহয় করলামই।
ভদ্রলোকের সামনের পাটির দাঁত নাই...।
সহায়ক সূত্র:
১. ডানা-ভাঙ্গা পাখি: http://www.ali-mahmed.com/2014/09/blog-post_20.html
২. আলোর পথে গুহামানব: http://www.ali-mahmed.com/2014/09/blog-post_24.html
No comments:
Post a Comment