চালু এই দৈনিকটির দাবী, ‘চোখ খুললেই প্রথম আলো’। এটা উচুমার্গের লোকজনের জন্য হতে পারে কিন্তু আমার মত সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই বাণীটির বিশেষ যোগ নাই কারণ চোখ খুলেই আমার মত অতি সাধারণ মানুষ দৌড়াঝাঁপ শুরু করি লাগোয়া টাট্টিখানা হালের ওয়শরুমে। অতঃপর কি হয় সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না।
২০১৩ সালে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘খবরের পেছনের খবর’ [১] শিরোনামে। অনেকটা
ওরকমই একটা ছবি ছেপেছে প্রথম আলো ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ সালে। এমন একটা ছবি যখন প্রথম আলোর মত পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয় তখন এটাকে হালকা করে দেখার কোনও সুযোগ থাকে না। গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়। গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার পূর্বে আমার কিছু ‘কুশ্চেন’ ছিল।
মতিউর রহমান ওরফে মতি ভাইয়ার কাছে কিছু সওয়াল এমন:
১. যে পুলিশ স্যার বন্দুক উঁচিয়ে রেখেছেন তারা কি এভাবে বন্দুক উঁচিয়েই রওয়ানা হন? গন্তব্যস্থলে না-পৌঁছা পর্যন্ত কি বন্দুক নামাবেন না?
২. পুরো যাত্রাপথে ভঙ্গি কি অদল-বদল হয় নাকি একই, এমনই থাকে?
৩. সর্বক্ষণ কি বন্দুক সেফটি-ক্যাচ অফ করা অবস্থাতেই থাকবে?
৪. গুলি করার পূর্বে সতর্ক করার জন্য কেমনতরো হুমকি দেওয়া হয়, ‘নড়োছো কি মরেছো’? বা 'হবরদার, মাথায় আলু বানিয়ে দেব কিন্তু...'।
৫. ছবিতে বোঝা যাচ্ছে না বিধায় জানার প্রবল আগ্রহ, এটা কি ব্রিটিশ আমলের অত্যাধুনিক (!) থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল, যেটা দিয়ে আদৌ গুলি বের হয় কিনা এটা একটা জটিল গবেষণার বিষয় (সরকার নিলামে তুললে যেটা এন্টিক হিসাবে সংগ্রহ করার গোপন ইচ্ছা আছে আমার)।
৬. পুলিশ স্যারের খাওয়া-দাওয়ার উপায় কি? নাকি অন্য কেউ খাইয়ে দেন?
৭. বাথরুম সমস্যার সমাধান কি? নাকি অন্য কেউ করিয়ে দেন?
মতি ভাইয়া সওয়াল-জবাব পর্ব সমাপ্ত করলে আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে তখন সেটা করা যাবেখন।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লোকোমটিভের পাইলট ওরফে ড্রাইভার সাহেবকে। তেমন উল্লেযেযোগ্য বিশেষত্ব নেই। ছবিতে আলোর কারসাজির কারণে ভেতরটায় তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এমনতরো ছবিকে সাবানপানিতে ধোয়ার নিয়ম নেই বিধায় খানিকটা ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দেয়া যাক।
এখন দেখা যাচ্ছে লোকোমোটিভের ভেতরে লোকজনের অভাব নেই। আরও লোকজন উঠার জন্য অপেক্ষায়মান। ঘটনা কী? বিশেষ কিছু না! এরা ড্রাইভার ওরফে পাইলট সাহেবকে মাথাপিছু টাকা দিয়েছে বিনা টিকেটে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে।
রেলওয়েতে কঠিন নিরাপত্তা চলছে বটে! এদের কেউ যদি ‘ডেরাইভার’ সাহেবের চাঁদিতে দু-চার ঘা বসিয়ে অজ্ঞান করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় তাহলে আটকাচ্ছে কে! বা লোকেমেটিভের আগুন ধরিয়ে দেয়, ট্রেনটার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেয় অথবা ট্রেনটা দুর্ঘটনায় ফেলতে চায় তবে তাদের জন্য সেটা হবে জলবৎতরলং- পানির মত সোজা।
সহায়ক সূত্র
১. খবরের পেছনের খবর: http://www.ali-mahmed.com/2013/04/blog-post_14.html
২০১৩ সালে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘খবরের পেছনের খবর’ [১] শিরোনামে। অনেকটা
ছবি সূত্র: প্রথম আলো, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ |
১. যে পুলিশ স্যার বন্দুক উঁচিয়ে রেখেছেন তারা কি এভাবে বন্দুক উঁচিয়েই রওয়ানা হন? গন্তব্যস্থলে না-পৌঁছা পর্যন্ত কি বন্দুক নামাবেন না?
২. পুরো যাত্রাপথে ভঙ্গি কি অদল-বদল হয় নাকি একই, এমনই থাকে?
৩. সর্বক্ষণ কি বন্দুক সেফটি-ক্যাচ অফ করা অবস্থাতেই থাকবে?
৪. গুলি করার পূর্বে সতর্ক করার জন্য কেমনতরো হুমকি দেওয়া হয়, ‘নড়োছো কি মরেছো’? বা 'হবরদার, মাথায় আলু বানিয়ে দেব কিন্তু...'।
৫. ছবিতে বোঝা যাচ্ছে না বিধায় জানার প্রবল আগ্রহ, এটা কি ব্রিটিশ আমলের অত্যাধুনিক (!) থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল, যেটা দিয়ে আদৌ গুলি বের হয় কিনা এটা একটা জটিল গবেষণার বিষয় (সরকার নিলামে তুললে যেটা এন্টিক হিসাবে সংগ্রহ করার গোপন ইচ্ছা আছে আমার)।
৬. পুলিশ স্যারের খাওয়া-দাওয়ার উপায় কি? নাকি অন্য কেউ খাইয়ে দেন?
৭. বাথরুম সমস্যার সমাধান কি? নাকি অন্য কেউ করিয়ে দেন?
মতি ভাইয়া সওয়াল-জবাব পর্ব সমাপ্ত করলে আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে তখন সেটা করা যাবেখন।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লোকোমটিভের পাইলট ওরফে ড্রাইভার সাহেবকে। তেমন উল্লেযেযোগ্য বিশেষত্ব নেই। ছবিতে আলোর কারসাজির কারণে ভেতরটায় তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এমনতরো ছবিকে সাবানপানিতে ধোয়ার নিয়ম নেই বিধায় খানিকটা ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দেয়া যাক।
এখন দেখা যাচ্ছে লোকোমোটিভের ভেতরে লোকজনের অভাব নেই। আরও লোকজন উঠার জন্য অপেক্ষায়মান। ঘটনা কী? বিশেষ কিছু না! এরা ড্রাইভার ওরফে পাইলট সাহেবকে মাথাপিছু টাকা দিয়েছে বিনা টিকেটে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে।
রেলওয়েতে কঠিন নিরাপত্তা চলছে বটে! এদের কেউ যদি ‘ডেরাইভার’ সাহেবের চাঁদিতে দু-চার ঘা বসিয়ে অজ্ঞান করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় তাহলে আটকাচ্ছে কে! বা লোকেমেটিভের আগুন ধরিয়ে দেয়, ট্রেনটার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেয় অথবা ট্রেনটা দুর্ঘটনায় ফেলতে চায় তবে তাদের জন্য সেটা হবে জলবৎতরলং- পানির মত সোজা।
সহায়ক সূত্র
১. খবরের পেছনের খবর: http://www.ali-mahmed.com/2013/04/blog-post_14.html
No comments:
Post a Comment