কখনও-কখনও আমরা যমজ মানুষ দেখে চমকে উঠি- আহা, প্রকৃতির এ কেমন খেলা! তেমনি কখনও-কখনও আমরা যমজ লেখা দেখেও চমকে উঠি- আহা, মানুষের এ কোন খেলা!
যেমনটা ডয়চে ভেলে [১] এবং প্রিয় ডট কমের [২] একটা লেখা দেখছি, “খালেদার ফোনালাপ: শিরোনামে ‘নাশকতা’ থাকলেও অডিওতে নেই।“ হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ। একটা বিন্দুরও কমতি নেই। মনে হচ্ছে ফটোকপিয়ার মেশিন আর কী! এটা অবশ্য অভূতপূর্ব না। এলেবেলে সাইটে কখনও-সখনও যে চোখে পড়ে না এমনটা না। কিন্তু এখানকার বিষয়টা ভিন্ন। কারণ ডয়চে ভেলে একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া। এদিকে হালে প্রিয় ডট কমও জাতে উঠে গেছে।
সম্প্রতি সিলিকন ভ্যালির ‘ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল‘ নামের দুঁদে এক প্রতিষ্ঠান প্রিয় ডট কমে বিনিয়োগ করেছে। সোজা বাংলায় এরা ঝুলাঝুলি খেলা খেলছে। শুনতে পাই ফেনক্সের সঙ্গে প্রিয় ডট কমের চোখ ছানাবড়া হওয়ার মত নাকি ‘ট্যাকাটুকা’ দরদস্তুর হয়েছে। বেশ তো-ভাল তো, দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে এরা।
প্রিয় ডট কম থেকে আমরা আরও জানতে পারছি: [৩]
“... অনুষ্ঠানে শুধু এই বিনিয়োগের ঘোষণাই দেওয়া হয়নি, সেই সাথে ‘প্রিয়.কম’-এর একটি নতুন সেবার উদ্বোধনও করা হয়। এই সেবাকে নাম দেওয়া হয়েছে প্রিয় আনসার। এই সেবায় যেকোনো মানুষের যেকোনো ধরণের প্রশ্নের উত্তর করা হবে।
... এ বিষয়ে প্রিয় ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সংবাদই জানাতে চাই না। মানুষের জীবনের প্রতিটা অংশ নিয়েই আমরা কাজ করতে চাই। আর এরই অংশ হিসেবে আমাদের এই নতুন সেবা’।”
এদের সেবার নমুনা এমন, ‘ফেনক্স’ প্রিয় ডট কমের মাথায় ‘ছেনেহের’ হাত রাখার কারণে কিনা কে জানে প্রিয় ডট কম এখন আমাদেরকে জ্ঞান দিচ্ছে, ‘ডগি স্টাইল সেক্স কীভাবে করে?’ (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)
এ বিষয়ে আমার স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, যৌনতা নিয়ে জানার প্রয়োজন বোধ করলে আমি এই সংক্রান্ত বইপত্র বা এই সংক্রান্ত ওয়েব ঘাঁটাঘাঁটি করব, প্রিয় ডট কম না। যেমনটা যৌনতা সম্বন্ধে জানতে চাইলে ইমদাদুল হক মিলন বা তসলিমার লেখা পড়ে জানতে চাইব না। দ্যাটস ইট।
ওয়েল, যমজ মানুষ ওরফে যমজ লেখা প্রসঙ্গে ফিরে যাই। এখানে কেউ একজন ‘উদাসীন সাধু’ অন্যজন কপট চোর। কে সে? ডয়চে ভেলে প্রিয় ডট কম থেকে লেখা হুবহু ছাপিয়ে দিয়েছে এমনটা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া চলে না। কিন্তু ওই প্রতিবেদনের একটা বাক্য এমন, “বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, চার বছর আগে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশের...”।
এইখানে এসে ধোঁয়াশা অনেকখানি কেটে যায় যে মূল প্রতিবেদনটা ডয়চে ভেলের। কারণ প্রিয় ডট কম কোন দুঃখে ডয়চে ভেলে এবং ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনারের নাম অন্তত এই লেখায় আনবে।
ঘটনাটা মাছি মারা কেরানির বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। প্রিয় ডট কমের দুর্ধর্ষ লোকজনেরা কপি-পেস্ট করতে গিয়ে এটাও ছাপিয়ে দিয়েছে। আমি এটাও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, যে প্রিয় ডট কম এই প্রতিবেদনের কোথাও এই লেখাটা যে ডয়চে ভেলের এর উল্লেখ করেনি।
যাই হোক, প্রিয় ডট কমকে ডয়চে ভেলে লেখাটা হুবহু প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছে কিনা এটা আমার জানা নাই বিধায় আমি নিশ্চিত মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম। কিন্তু একজন পাঠক হিসাবে আমার কিছু বক্তব্য আছে। কে অনুমতি দিল, কি দিল না এতে আমার বয়েই গেছে। একজন পাঠক হিসাবে আমি কোনও প্রকারেই চাইব না হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ কোনও লেখা আলাদা আলাদা মিডিয়ায় পড়তে।
এটা সত্য মিডিয়ারা তাদের প্রয়োজনে ‘টংকা’ খরচ করে অনুমতি সাপেক্ষে নিজেদের মধ্যে ‘কনটেন্ট’ চালাচালি করে। তারপর নিজেদের মত করে লেখাটা সাজায় কিন্তু দাঁড়ি-কমাসহ ছাপিয়ে দেয় এমনটা অন্ততত আমার জানা নেই। তারপরও কথা থেকে যায়, উদ্বৃতির প্রয়োজনে অনুমতি না-নিয়ে হুবহু খানিক অংশ ছাপানো যাবে না এমনটা না। কিন্তু যেখান থেকে লেখাটা নেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং হাইপার-লিংক দিতে হবে।
যেমনটা আমি করেছি কেবল যথাযথ কারণে ডগি-স্টাইলের লিংকটা আমি এড়িয়ে গেছি।
এই ভুবনে কার সঙ্গে কার কেমন যোগসূত্র বা পূর্বে যেটা বলেছি অনুমতির বিষয়টা যেহেতু আমার জানা নেই তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ডয়চে ভেলে এবং প্রিয় ডট কমের মধ্যে কোনও একটি প্রতিষ্ঠান অনৈতিক কাজটা করেছে। অনৈতিক কাজটা যে করেছে তাকে সোজা বাংলায় আমরা বলি, চোর, লেখা চোর। ‘কৌন হে উয়ো মারদুদ, না ফাতেহা না দরুদ’?
এখানে এসে পর্যবেক্ষণে আরেকটা পালক যোগ করি। ডয়চে ভেলে লেখাটা ছাপিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ আর প্রিয় ডট কম ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। অন্তত এখানে এসে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ডয়চে ভেলের লেখাই প্রিয় ডট কম ছাপিয়েছে।
এটা আমার একটা পর্যবেক্ষণ মাত্র বাকীটা আমি বুদ্ধিমান পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।
সহায়ক সূত্র:
১. ডয়চে ভেলে, খালেদার ফোনালাপ...: http://tinyurl.com/pgrpjhl
২. প্রিয় ডট কম, খালেদার ফোনালাপ...: http://www.priyo.com/2015/02/03/131530.html
৩. প্রিয়.কমে বিনিয়োগ করছে সিলিকন ভ্যালির...: http://www.priyo.com/2014/11/24/1203102.html
যেমনটা ডয়চে ভেলে [১] এবং প্রিয় ডট কমের [২] একটা লেখা দেখছি, “খালেদার ফোনালাপ: শিরোনামে ‘নাশকতা’ থাকলেও অডিওতে নেই।“ হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ। একটা বিন্দুরও কমতি নেই। মনে হচ্ছে ফটোকপিয়ার মেশিন আর কী! এটা অবশ্য অভূতপূর্ব না। এলেবেলে সাইটে কখনও-সখনও যে চোখে পড়ে না এমনটা না। কিন্তু এখানকার বিষয়টা ভিন্ন। কারণ ডয়চে ভেলে একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া। এদিকে হালে প্রিয় ডট কমও জাতে উঠে গেছে।
সম্প্রতি সিলিকন ভ্যালির ‘ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল‘ নামের দুঁদে এক প্রতিষ্ঠান প্রিয় ডট কমে বিনিয়োগ করেছে। সোজা বাংলায় এরা ঝুলাঝুলি খেলা খেলছে। শুনতে পাই ফেনক্সের সঙ্গে প্রিয় ডট কমের চোখ ছানাবড়া হওয়ার মত নাকি ‘ট্যাকাটুকা’ দরদস্তুর হয়েছে। বেশ তো-ভাল তো, দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে এরা।
প্রিয় ডট কম থেকে আমরা আরও জানতে পারছি: [৩]
“... অনুষ্ঠানে শুধু এই বিনিয়োগের ঘোষণাই দেওয়া হয়নি, সেই সাথে ‘প্রিয়.কম’-এর একটি নতুন সেবার উদ্বোধনও করা হয়। এই সেবাকে নাম দেওয়া হয়েছে প্রিয় আনসার। এই সেবায় যেকোনো মানুষের যেকোনো ধরণের প্রশ্নের উত্তর করা হবে।
... এ বিষয়ে প্রিয় ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সংবাদই জানাতে চাই না। মানুষের জীবনের প্রতিটা অংশ নিয়েই আমরা কাজ করতে চাই। আর এরই অংশ হিসেবে আমাদের এই নতুন সেবা’।”
এদের সেবার নমুনা এমন, ‘ফেনক্স’ প্রিয় ডট কমের মাথায় ‘ছেনেহের’ হাত রাখার কারণে কিনা কে জানে প্রিয় ডট কম এখন আমাদেরকে জ্ঞান দিচ্ছে, ‘ডগি স্টাইল সেক্স কীভাবে করে?’ (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)
এ বিষয়ে আমার স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, যৌনতা নিয়ে জানার প্রয়োজন বোধ করলে আমি এই সংক্রান্ত বইপত্র বা এই সংক্রান্ত ওয়েব ঘাঁটাঘাঁটি করব, প্রিয় ডট কম না। যেমনটা যৌনতা সম্বন্ধে জানতে চাইলে ইমদাদুল হক মিলন বা তসলিমার লেখা পড়ে জানতে চাইব না। দ্যাটস ইট।
ওয়েল, যমজ মানুষ ওরফে যমজ লেখা প্রসঙ্গে ফিরে যাই। এখানে কেউ একজন ‘উদাসীন সাধু’ অন্যজন কপট চোর। কে সে? ডয়চে ভেলে প্রিয় ডট কম থেকে লেখা হুবহু ছাপিয়ে দিয়েছে এমনটা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া চলে না। কিন্তু ওই প্রতিবেদনের একটা বাক্য এমন, “বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, চার বছর আগে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশের...”।
এইখানে এসে ধোঁয়াশা অনেকখানি কেটে যায় যে মূল প্রতিবেদনটা ডয়চে ভেলের। কারণ প্রিয় ডট কম কোন দুঃখে ডয়চে ভেলে এবং ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনারের নাম অন্তত এই লেখায় আনবে।
ঘটনাটা মাছি মারা কেরানির বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। প্রিয় ডট কমের দুর্ধর্ষ লোকজনেরা কপি-পেস্ট করতে গিয়ে এটাও ছাপিয়ে দিয়েছে। আমি এটাও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, যে প্রিয় ডট কম এই প্রতিবেদনের কোথাও এই লেখাটা যে ডয়চে ভেলের এর উল্লেখ করেনি।
যাই হোক, প্রিয় ডট কমকে ডয়চে ভেলে লেখাটা হুবহু প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছে কিনা এটা আমার জানা নাই বিধায় আমি নিশ্চিত মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম। কিন্তু একজন পাঠক হিসাবে আমার কিছু বক্তব্য আছে। কে অনুমতি দিল, কি দিল না এতে আমার বয়েই গেছে। একজন পাঠক হিসাবে আমি কোনও প্রকারেই চাইব না হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ কোনও লেখা আলাদা আলাদা মিডিয়ায় পড়তে।
এটা সত্য মিডিয়ারা তাদের প্রয়োজনে ‘টংকা’ খরচ করে অনুমতি সাপেক্ষে নিজেদের মধ্যে ‘কনটেন্ট’ চালাচালি করে। তারপর নিজেদের মত করে লেখাটা সাজায় কিন্তু দাঁড়ি-কমাসহ ছাপিয়ে দেয় এমনটা অন্ততত আমার জানা নেই। তারপরও কথা থেকে যায়, উদ্বৃতির প্রয়োজনে অনুমতি না-নিয়ে হুবহু খানিক অংশ ছাপানো যাবে না এমনটা না। কিন্তু যেখান থেকে লেখাটা নেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং হাইপার-লিংক দিতে হবে।
যেমনটা আমি করেছি কেবল যথাযথ কারণে ডগি-স্টাইলের লিংকটা আমি এড়িয়ে গেছি।
এই ভুবনে কার সঙ্গে কার কেমন যোগসূত্র বা পূর্বে যেটা বলেছি অনুমতির বিষয়টা যেহেতু আমার জানা নেই তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ডয়চে ভেলে এবং প্রিয় ডট কমের মধ্যে কোনও একটি প্রতিষ্ঠান অনৈতিক কাজটা করেছে। অনৈতিক কাজটা যে করেছে তাকে সোজা বাংলায় আমরা বলি, চোর, লেখা চোর। ‘কৌন হে উয়ো মারদুদ, না ফাতেহা না দরুদ’?
এখানে এসে পর্যবেক্ষণে আরেকটা পালক যোগ করি। ডয়চে ভেলে লেখাটা ছাপিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ আর প্রিয় ডট কম ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। অন্তত এখানে এসে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ডয়চে ভেলের লেখাই প্রিয় ডট কম ছাপিয়েছে।
এটা আমার একটা পর্যবেক্ষণ মাত্র বাকীটা আমি বুদ্ধিমান পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।
সহায়ক সূত্র:
১. ডয়চে ভেলে, খালেদার ফোনালাপ...: http://tinyurl.com/pgrpjhl
২. প্রিয় ডট কম, খালেদার ফোনালাপ...: http://www.priyo.com/2015/02/03/131530.html
৩. প্রিয়.কমে বিনিয়োগ করছে সিলিকন ভ্যালির...: http://www.priyo.com/2014/11/24/1203102.html
5 comments:
পাঠকের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন যখন তখন আমার রায় প্রিয়.কম একটা চোর।
শুভ ভাই, প্রিয় ব্যাটাদের যে বাশটা দিলেন এটাকে কি বলে? আনক্লিনড ব্যাম্বু
ওহ এটা বলতে ভূলে গেসি মজার বিষয় কি জানেন? প্রিয় ব্যাটারা বাশও খাবে কিন্তু বলতেও পারবে না দুক্কু পেয়েছি। হাহাপগে
এতে করে মোটেও প্রমানিত হয় না প্রিয়.কম সাইটটি ডয়শে ভ্যালের অনুমতি না নিয়েই লেখাটা প্রকাশিত করেছে,,,,।
হুম, কথা সত্য!
কিন্তু...। 'চোর কা দাড়ি মে তিনকা'- এটার বাংলা করলে অনেকটা দাঁড়ায় এমন, চোরের মন পুলিশ-পুলিশ। @Anonymous
Post a Comment