ওই লেখাটায় [১] আমি লিখেছিলাম:
“...আমি দিব্যচক্ষুতে দেখতে পাচ্ছি, জনাব, জাকারিয়া স্বপন বিভিন্ন মঞ্চ আলো করে বসে আছেন। সেই আলোয় চকচক করছে তার পরনের পোশাক-আশাক। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাঁ করে আছে এই প্রজন্ম। এরা অতি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করছে জাকারিয়া স্বপনের মধুবাক্য! তিনি জলদগম্ভীর কন্ঠে বলে যাচ্ছেন বিভিন্ন নীতিবাক্যের কথা। তিনি আউড়ে যাচ্ছেন ওয়েবসংক্রান্ত বিভিন্ন ইথিকস নিয়ে, কপিরাইট নিয়ে...।”
বাস্তবে এটা দেখতে খুব একটা সময় লাগেনি! মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে আবারও পরিস্থিতি উত্তাল! জাকারিয়া স্বপন মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছেন তার লেখা সুবিশাল লেখাটায়। সেটা তিনি করতেই পারেন। খুব খেটেখুটে যে লেখাটা তিনি লিখেছেন এবং লেখাটা সুখপাঠ্যও বটে। কেউ-কেউ তাকে উকিল বলছেন আমি সেপথ মাড়াচ্ছি না। মোস্তফা জব্বরের পক্ষে যুক্তিগুলো শুনলে মন্দ হয় না কিন্তু সুখের বদলে আমার অসুখ বোধ হচ্ছে।
কারণ লেখাটা যে জাকারিয়া স্বপন লিখেছেন! ‘রিদমিক’ কেমন করে মোস্তফা জব্বারের বিজয়ের সঙ্গে মিলে যায়, প্যাটেন্ট-ট্যাটেন্ট, কপিরাইট এই সব নিয়ে। তার এই লেখাটা পড়ে আমি খ-বাষ্প, জমে গেছি কারণ তার মত একটা মানুষ কেমন করে বুক চিতিয়ে এমন একটা লেখা লিখে আমাদেরকে নসিহত দেন!
জাকারিয়া স্বপন নিজে কী করছেন। তিনি যে 'প্রিয় ডট কমের' কর্ণধার সেই প্রিয় ডট কমে প্রকাশ করছেন অন্যের লেখা হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ! কেবল অন্যের লেখা হুবহু ছাপিয়েই দিচ্ছেন না সূত্রটা পর্যন্ত উল্লেখ করছেন না। আমাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করছেন ওই লেখাগুলো তার নিজের। তিনি বা তার প্রতিনিধিরা বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর বাঘ-কুমির থেকে গা বাঁচিয়ে সেই সব দুর্ধর্ষ লেখা-প্রতিবেদন আমাদেরকে্উপহার দিচ্ছেন।
কিন্তু আমরা সবিস্ময়ে লক্ষ করেছি কিছু ছবিতে এপির ছাপও মারা। আমরা জানি, এপির মত আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে টাকা খরচ করে কিনতে হয়, আনুষ্ঠানিক চুক্তি থাকতে হয়।
এ সত্য, এই দেশের অধিকাংশ প্রিন্ট মিডিয়া একদা বিদেশী সংস্থার কনটেন্ট নিজেদের মত করে ছাপিয়ে দিত। সঙ্গে দয়া করে লিখে দিত, ‘ওযেব-সাইট অবলম্বনে’। এই নিয়ে বিস্তর হইচই হতো। পরে এদের অনেকেই সচেতন হয়েছে। এখন লেখার সোর্স উল্লেখ করেন। এও মন্দের ভাল যাক বাবা, অন্তত অন্যের ঋণ তো স্বীকার করানো গেল।
এও সত্য, অন্যের লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে দেয় এমন অনেকেই আছে সেইসব আউলা-ঝাউলা, এলেবেলে সাইটগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না কিন্তু প্রিয় ডট কম যখন কাজটা করে তখন নড়েচড়ে না-বসে উপায় থাকে না।
আর জাকারিয়া স্বপন যেটা করছেন সচরাচর সেটাকে চুরি বলারই নিয়ম। কিন্তু তিনি যে ভঙ্গিতে দিনের-পর-দিন, মাসের-পর -মাস ধরে অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন যেটাকে চুরি বলাটা অন্যায় হবে, স্রেফ ডাকাতি। কারণ দিনদুপুরে কেউ যখন অন্যের সম্পদ নিয়ে যায় তখন সেটাকে কোনও প্রকারেই চুরি বলাটা সমীচীন না।
জাকারিয়া স্বপনের ডাকাতি নিয়ে পূর্বে লিখেছিলাম [১, ২]। এমন অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেইসব উল্লেখ করাটায় আলস্য বোধ করছি এবং সেটা হবে শব্দের অপচয়! জাকারিয় স্বপন যে লেখাটা লিখেছেন [৩] সেটায় তিনি উল্লেখ করেছেন,
“...অভ্র/রিদ্মিকের উচিৎ ছিল নিজেদের মতো আগানো। এভাবে অনুমতি ছাড়া অন্যের কী-বোর্ড (যা নিয়ে এতো বিতর্ক হয়েছে) নিয়ে বিপ্লব ঘটানোর আগে আরো চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল।...
... হয়তো বিজয় অন্য কোনও কি-বোর্ড থেকে কিছু সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু সরকার তো বিজয়কে নিজস্ব একটি লে-আউট হিসেবে কপিরাইট দিয়েছে। আমরা কেন সেটাকে মানতে চাইছি না?...”
যে মানুষটা নিজেই অন্যের কন্টেন্ট, লেখা-ছবি, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ডাকাতির ব্যবসা করছেন সেই মানুষটাই বলছেন কপিরাইটের কথা! কী শেখাচ্ছেন এই প্রজন্মকে? ভূতের মুখে...!
সূত্র:
১. priyo.com: ডিয়ার, তোমাকে কি ডাকাত বলতে পারি?: http://www.ali-mahmed.com/2015/02/priyocom.html
২. ডয়চে ভেলে বনাম প্রিয় ডট কম...: http://www.ali-mahmed.com/2015/02/blog-post_5.html
৩. আবারো বিজয় বিতর্ক, কিছু প্রশ্ন-উত্তর: http://www.priyo.com/blog/2015/03/06/137233.html
“...আমি দিব্যচক্ষুতে দেখতে পাচ্ছি, জনাব, জাকারিয়া স্বপন বিভিন্ন মঞ্চ আলো করে বসে আছেন। সেই আলোয় চকচক করছে তার পরনের পোশাক-আশাক। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাঁ করে আছে এই প্রজন্ম। এরা অতি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করছে জাকারিয়া স্বপনের মধুবাক্য! তিনি জলদগম্ভীর কন্ঠে বলে যাচ্ছেন বিভিন্ন নীতিবাক্যের কথা। তিনি আউড়ে যাচ্ছেন ওয়েবসংক্রান্ত বিভিন্ন ইথিকস নিয়ে, কপিরাইট নিয়ে...।”
বাস্তবে এটা দেখতে খুব একটা সময় লাগেনি! মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে আবারও পরিস্থিতি উত্তাল! জাকারিয়া স্বপন মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছেন তার লেখা সুবিশাল লেখাটায়। সেটা তিনি করতেই পারেন। খুব খেটেখুটে যে লেখাটা তিনি লিখেছেন এবং লেখাটা সুখপাঠ্যও বটে। কেউ-কেউ তাকে উকিল বলছেন আমি সেপথ মাড়াচ্ছি না। মোস্তফা জব্বরের পক্ষে যুক্তিগুলো শুনলে মন্দ হয় না কিন্তু সুখের বদলে আমার অসুখ বোধ হচ্ছে।
কারণ লেখাটা যে জাকারিয়া স্বপন লিখেছেন! ‘রিদমিক’ কেমন করে মোস্তফা জব্বারের বিজয়ের সঙ্গে মিলে যায়, প্যাটেন্ট-ট্যাটেন্ট, কপিরাইট এই সব নিয়ে। তার এই লেখাটা পড়ে আমি খ-বাষ্প, জমে গেছি কারণ তার মত একটা মানুষ কেমন করে বুক চিতিয়ে এমন একটা লেখা লিখে আমাদেরকে নসিহত দেন!
জাকারিয়া স্বপন নিজে কী করছেন। তিনি যে 'প্রিয় ডট কমের' কর্ণধার সেই প্রিয় ডট কমে প্রকাশ করছেন অন্যের লেখা হুবহু, দাঁড়ি-কমাসহ! কেবল অন্যের লেখা হুবহু ছাপিয়েই দিচ্ছেন না সূত্রটা পর্যন্ত উল্লেখ করছেন না। আমাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করছেন ওই লেখাগুলো তার নিজের। তিনি বা তার প্রতিনিধিরা বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর বাঘ-কুমির থেকে গা বাঁচিয়ে সেই সব দুর্ধর্ষ লেখা-প্রতিবেদন আমাদেরকে্উপহার দিচ্ছেন।
কিন্তু আমরা সবিস্ময়ে লক্ষ করেছি কিছু ছবিতে এপির ছাপও মারা। আমরা জানি, এপির মত আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে টাকা খরচ করে কিনতে হয়, আনুষ্ঠানিক চুক্তি থাকতে হয়।
এ সত্য, এই দেশের অধিকাংশ প্রিন্ট মিডিয়া একদা বিদেশী সংস্থার কনটেন্ট নিজেদের মত করে ছাপিয়ে দিত। সঙ্গে দয়া করে লিখে দিত, ‘ওযেব-সাইট অবলম্বনে’। এই নিয়ে বিস্তর হইচই হতো। পরে এদের অনেকেই সচেতন হয়েছে। এখন লেখার সোর্স উল্লেখ করেন। এও মন্দের ভাল যাক বাবা, অন্তত অন্যের ঋণ তো স্বীকার করানো গেল।
এও সত্য, অন্যের লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে দেয় এমন অনেকেই আছে সেইসব আউলা-ঝাউলা, এলেবেলে সাইটগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না কিন্তু প্রিয় ডট কম যখন কাজটা করে তখন নড়েচড়ে না-বসে উপায় থাকে না।
আর জাকারিয়া স্বপন যেটা করছেন সচরাচর সেটাকে চুরি বলারই নিয়ম। কিন্তু তিনি যে ভঙ্গিতে দিনের-পর-দিন, মাসের-পর -মাস ধরে অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন যেটাকে চুরি বলাটা অন্যায় হবে, স্রেফ ডাকাতি। কারণ দিনদুপুরে কেউ যখন অন্যের সম্পদ নিয়ে যায় তখন সেটাকে কোনও প্রকারেই চুরি বলাটা সমীচীন না।
জাকারিয়া স্বপনের ডাকাতি নিয়ে পূর্বে লিখেছিলাম [১, ২]। এমন অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেইসব উল্লেখ করাটায় আলস্য বোধ করছি এবং সেটা হবে শব্দের অপচয়! জাকারিয় স্বপন যে লেখাটা লিখেছেন [৩] সেটায় তিনি উল্লেখ করেছেন,
“...অভ্র/রিদ্মিকের উচিৎ ছিল নিজেদের মতো আগানো। এভাবে অনুমতি ছাড়া অন্যের কী-বোর্ড (যা নিয়ে এতো বিতর্ক হয়েছে) নিয়ে বিপ্লব ঘটানোর আগে আরো চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল।...
... হয়তো বিজয় অন্য কোনও কি-বোর্ড থেকে কিছু সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু সরকার তো বিজয়কে নিজস্ব একটি লে-আউট হিসেবে কপিরাইট দিয়েছে। আমরা কেন সেটাকে মানতে চাইছি না?...”
যে মানুষটা নিজেই অন্যের কন্টেন্ট, লেখা-ছবি, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ডাকাতির ব্যবসা করছেন সেই মানুষটাই বলছেন কপিরাইটের কথা! কী শেখাচ্ছেন এই প্রজন্মকে? ভূতের মুখে...!
সূত্র:
১. priyo.com: ডিয়ার, তোমাকে কি ডাকাত বলতে পারি?: http://www.ali-mahmed.com/2015/02/priyocom.html
২. ডয়চে ভেলে বনাম প্রিয় ডট কম...: http://www.ali-mahmed.com/2015/02/blog-post_5.html
৩. আবারো বিজয় বিতর্ক, কিছু প্রশ্ন-উত্তর: http://www.priyo.com/blog/2015/03/06/137233.html
No comments:
Post a Comment