সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত চিঠিটা নাকি লিখেছিলেন ভিক্টর হুগো। তাঁর 'লা মিজারেবল' বইটা প্রকাশ হওয়ার পর তিনি প্রকাশককে চিঠি লেখেন। জানার বিষয় বইটা কেমন চলছে বা কাটতি কেমন। চিঠিতে কেবল লেখা ছিল, ?।
ব্যস, এই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নই।
প্রকাশকও কম যান না, হুগোর প্রকাশক বলে কথা। তিনি উত্তরে লিখলেন, ! এই-ই। অর্থাৎ বইটার কাটতি বিস্ময়কর।
যাই হোক, জাঁ ভাঁলজা চরিত্রটি হুগোর অমর এক সৃষ্টি। কিন্তু আমাকে কম টানে না ফাদার মিরিয়েল নামের চরিত্রটি। পানির মতো টলটলে এক বাউল! জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জাঁ ভাঁলজাকে যখন কেউই খাবার-আশ্রয় দিচ্ছিল না তখন তিনি এসে হাজির হন এই ফাদারের কাছে। হড়বড় করে ফাদারাকে নিজ সম্বন্ধে একগাদা কথা বলতে থাকেন:
“See here. My name is Jean Valjean. I am a convict from the galleys. I have passed nineteen years in the galleys. I was liberated four days ago, and am on my way to Pontarlier, which is my destination. I have been walking for four days since I left Toulon. I have travelled a dozen leagues to-day on foot. This evening, when I arrived in these parts, I went to an inn, and they turned me out, because of my yellow passport, which I had shown at the town-hall. I had to do it. I went to an inn. They said to me, `Be off,' at both places. No one would take me. I went to the prison; the jailer would not admit me. I went into a dog's kennel; the dog bit me and chased me off, as though he had been a man.” (p 88)
তখন বিশপ ছোট্ট করে তাঁর সহকারীকে বলেন, জাঁ ভাঁলজার রাতে থাকার ব্যবস্থা করার জন্য।
জাঁ ভাঁলজা ভাবলেন বিশপ সম্ভবত তার কথা বুঝতে পারেননি। তিনি আবারও শুরু করলেন:
The man advanced three paces, and approached the lamp which was on the table. "Stop," he resumed, as though he had not quite understood; "that's not it. Did you hear? I am a galley-slave; a convict. I come from the galleys." He drew from his pocket a large sheet of yellow paper, which he unfolded. "Here's my passport. Yellow, as you see. This serves to expel me from every place where I go. Will you read it? I know how to read. I learned in the galleys. There is a school there for those who choose to learn. Hold, this is what they put on this passport: `Jean Valjean, discharged convict, native of'--that is nothing to you--`has been nineteen years in the galleys: five years for house-breaking and burglary; fourteen years for having attempted to escape on four occasions. He is a very dangerous man.' There! Every one has cast me out. Are you willing to receive me? Is this an inn? Will you give me something to eat and a bed? Have you a stable?”
বিশপের আবারও ছোট্ট করে উত্তর: "Madame Magloire," said the Bishop, "you will put white sheets on the bed in the alcove." ... The Bishop turned to the man. "Sit down, sir, and warm yourself. We are going to sup in a few moments, and your bed will be prepared while you are supping." (p 88)
পরদিন সকালে বিশপের সহকারী মাদাম ম্যাগলোয়ের উর্ধশ্বাসে ছুটে এসে বাগানে গাছের পরিচর্যারত বিশপকে বলেন জাঁ ভাঁলজা সমস্ত দামী জিনিস চুরি করে ভেগেছে।
The next morning at sunrise Monseigneur Bienvenu was strolling in his garden. Madame Magloire ran up to him in utter consternation. "Monseigneur, Monseigneur!" she exclaimed, "does your Grace know where the basket of silver is?"
"Yes," replied the Bishop.
"Jesus the Lord be blessed!" she resumed; "I did not know what had become of it."
The Bishop had just picked up the basket in a flower-bed. He presented it to Madame Magloire.
"Here it is."
"Well!" said she. "Nothing in it! And the silver?"
"Ah," returned the Bishop, "so it is the silver which troubles you? I don't know where it is."
"Great, good God! It is stolen! That man who was here last night has stolen it." (p 108)
এই জায়গায় এসে বিশপ নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান:
“...The Bishop had just bent down, and was sighing as he examined a plant of cochlearia des Guillons, which the basket had broken as it fell across the bed”... (p 108)
জাগতিক জটিলতা পেছনে ফেলে প্রকৃতির সন্তান কেমন করে প্রকৃতির কাছে ফেরত চলে যেতে পারে তার অসাধারণ একটা উদাহরণ। বিশপের কাছে তখন পায়ের চাপে নুইয়েপড়া ফুলের চারা ঠিক করাটা সবচেয়ে জরুরি।
(যেটা ছফার মধ্যেও দেখে চমকে উঠেছিলাম। ছফা তখন জরুরি একটা কাজে ভারত গেছেন। তাঁর কেন যেন মনে হলো তাঁর লাগানো আপেলের চারাটার বিপদ, ভয়াবহ বিপদ! ছফা তাঁর লাগানো আপেলের চারার জন্য কেবল ভারত থেকে উড়েই দেশে চলে আসেননি প্লেনের টিকেট পেতে দেরি হচ্ছিল বলে অফিসারের নাকে গদাম করে ঘুসি মারাটা কেবল বাকী রেখেছিলেন।)
জাঁ ভাঁলজা মালসমেত পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর বিশপ মিথ্যা বলে ভাঁলজাকে বাঁচিয়ে দেন ঠিকই কিন্তু বিশপ ভাঁলজাকে এমনিতেই ছেড়ে দেন না। শয়তানের কাছ থেকে কিনে নেন ভাঁলজার আত্মা।
“Jean Valjean, my brother, you no longer belong to evil, but to good. It is your soul that I buy from you; I withdraw it from black thoughts and the spirit of perdition, and I give it to God.” (p 110)
ভিক্টর হুগো বইটার শেষে ভাঁলজার মৃত্যুটা দেখিয়েছেন এমন করে:
“He was dead. The night was starless and extremely dark. No doubt, in the gloom, some immense angel stood erect with wings outspread, awaiting that soul.” (p 722)
প্রকাশকও কম যান না, হুগোর প্রকাশক বলে কথা। তিনি উত্তরে লিখলেন, ! এই-ই। অর্থাৎ বইটার কাটতি বিস্ময়কর।
যাই হোক, জাঁ ভাঁলজা চরিত্রটি হুগোর অমর এক সৃষ্টি। কিন্তু আমাকে কম টানে না ফাদার মিরিয়েল নামের চরিত্রটি। পানির মতো টলটলে এক বাউল! জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জাঁ ভাঁলজাকে যখন কেউই খাবার-আশ্রয় দিচ্ছিল না তখন তিনি এসে হাজির হন এই ফাদারের কাছে। হড়বড় করে ফাদারাকে নিজ সম্বন্ধে একগাদা কথা বলতে থাকেন:
“See here. My name is Jean Valjean. I am a convict from the galleys. I have passed nineteen years in the galleys. I was liberated four days ago, and am on my way to Pontarlier, which is my destination. I have been walking for four days since I left Toulon. I have travelled a dozen leagues to-day on foot. This evening, when I arrived in these parts, I went to an inn, and they turned me out, because of my yellow passport, which I had shown at the town-hall. I had to do it. I went to an inn. They said to me, `Be off,' at both places. No one would take me. I went to the prison; the jailer would not admit me. I went into a dog's kennel; the dog bit me and chased me off, as though he had been a man.” (p 88)
তখন বিশপ ছোট্ট করে তাঁর সহকারীকে বলেন, জাঁ ভাঁলজার রাতে থাকার ব্যবস্থা করার জন্য।
জাঁ ভাঁলজা ভাবলেন বিশপ সম্ভবত তার কথা বুঝতে পারেননি। তিনি আবারও শুরু করলেন:
The man advanced three paces, and approached the lamp which was on the table. "Stop," he resumed, as though he had not quite understood; "that's not it. Did you hear? I am a galley-slave; a convict. I come from the galleys." He drew from his pocket a large sheet of yellow paper, which he unfolded. "Here's my passport. Yellow, as you see. This serves to expel me from every place where I go. Will you read it? I know how to read. I learned in the galleys. There is a school there for those who choose to learn. Hold, this is what they put on this passport: `Jean Valjean, discharged convict, native of'--that is nothing to you--`has been nineteen years in the galleys: five years for house-breaking and burglary; fourteen years for having attempted to escape on four occasions. He is a very dangerous man.' There! Every one has cast me out. Are you willing to receive me? Is this an inn? Will you give me something to eat and a bed? Have you a stable?”
বিশপের আবারও ছোট্ট করে উত্তর: "Madame Magloire," said the Bishop, "you will put white sheets on the bed in the alcove." ... The Bishop turned to the man. "Sit down, sir, and warm yourself. We are going to sup in a few moments, and your bed will be prepared while you are supping." (p 88)
পরদিন সকালে বিশপের সহকারী মাদাম ম্যাগলোয়ের উর্ধশ্বাসে ছুটে এসে বাগানে গাছের পরিচর্যারত বিশপকে বলেন জাঁ ভাঁলজা সমস্ত দামী জিনিস চুরি করে ভেগেছে।
The next morning at sunrise Monseigneur Bienvenu was strolling in his garden. Madame Magloire ran up to him in utter consternation. "Monseigneur, Monseigneur!" she exclaimed, "does your Grace know where the basket of silver is?"
"Yes," replied the Bishop.
"Jesus the Lord be blessed!" she resumed; "I did not know what had become of it."
The Bishop had just picked up the basket in a flower-bed. He presented it to Madame Magloire.
"Here it is."
"Well!" said she. "Nothing in it! And the silver?"
"Ah," returned the Bishop, "so it is the silver which troubles you? I don't know where it is."
"Great, good God! It is stolen! That man who was here last night has stolen it." (p 108)
এই জায়গায় এসে বিশপ নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান:
“...The Bishop had just bent down, and was sighing as he examined a plant of cochlearia des Guillons, which the basket had broken as it fell across the bed”... (p 108)
জাগতিক জটিলতা পেছনে ফেলে প্রকৃতির সন্তান কেমন করে প্রকৃতির কাছে ফেরত চলে যেতে পারে তার অসাধারণ একটা উদাহরণ। বিশপের কাছে তখন পায়ের চাপে নুইয়েপড়া ফুলের চারা ঠিক করাটা সবচেয়ে জরুরি।
(যেটা ছফার মধ্যেও দেখে চমকে উঠেছিলাম। ছফা তখন জরুরি একটা কাজে ভারত গেছেন। তাঁর কেন যেন মনে হলো তাঁর লাগানো আপেলের চারাটার বিপদ, ভয়াবহ বিপদ! ছফা তাঁর লাগানো আপেলের চারার জন্য কেবল ভারত থেকে উড়েই দেশে চলে আসেননি প্লেনের টিকেট পেতে দেরি হচ্ছিল বলে অফিসারের নাকে গদাম করে ঘুসি মারাটা কেবল বাকী রেখেছিলেন।)
জাঁ ভাঁলজা মালসমেত পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর বিশপ মিথ্যা বলে ভাঁলজাকে বাঁচিয়ে দেন ঠিকই কিন্তু বিশপ ভাঁলজাকে এমনিতেই ছেড়ে দেন না। শয়তানের কাছ থেকে কিনে নেন ভাঁলজার আত্মা।
“Jean Valjean, my brother, you no longer belong to evil, but to good. It is your soul that I buy from you; I withdraw it from black thoughts and the spirit of perdition, and I give it to God.” (p 110)
ভিক্টর হুগো বইটার শেষে ভাঁলজার মৃত্যুটা দেখিয়েছেন এমন করে:
“He was dead. The night was starless and extremely dark. No doubt, in the gloom, some immense angel stood erect with wings outspread, awaiting that soul.” (p 722)
2 comments:
আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কিংবা অন্য কোথাও থেকে বইটার বাংলা সংস্করণ পড়েছিলাম স্কুলে থাকতে। ভেতরটাকে খুব নাড়িয়ে গিয়েছিল বইটা, পরে আবার পড়ার জন্য ডাউনলোড করলাম, দেখি মূল বইটা বিশাল। আর পড়া হয়নি, হবেওনা মনে হয় :(
“…দেখি মূল বইটা বিশাল। আর পড়া হয়নি, হবেও না মনে হয় :( “
হুঁ, আসলেই বিশাল! একটা কুবুদ্ধি দেই, একেবারে না-পড়ার চেয়ে ফাঁকে-ফাঁকে যেখান থেকে যতটুকু ভাল লাগে পড়ার চেষ্টা করতে পারেন। একেবারেই না-পড়ার চেয়ে অন্তত এটা মন্দের ভালো :) @মাহবুবুল হাসান
Post a Comment