Search

Saturday, April 18, 2015

ছেঁড়া চাদর এবং ‘মনোনীত সদস্য’।

এ বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘন্টার-পর-ঘন্টা ধরে যে ঘটনা ঘটল এটা নিয়ে গুছিয়ে লেখার ক্ষমতা আমার নাই। কেবল অল্প কথায় বলি, আমাদের দাঁড়াবার আর জায়গা রইল না।
হালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাটা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। এখানে দিনদুপুরে চরম অশ্লীলতা করা যায়, সন্তানের সামনে মাকেও অপদস্ত করা যায় । চাপাতি দিয়ে কাউকে কুপিয়ে ফালা ফালা করা তো কোনও বিষয়ই না।

কালে কালে গালকাটা রমজান, পেটকাটা আবুল হবে এখানকার আসল কারিগর। এরা এদের চেলাচামুন্ডাদেরকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে নিয়ে আসবে হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। লাউয়ের উপর ব্লেড চালিয়ে পকেটকাটা বিভাগের প্রধান পকেটমারের সর্দার বাইট্টা ছগিরও পিছিয়ে থাকবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সব এলাকাগুলো নাকি এমনিতেই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে।সিসিটিভি নামের যে চোঙ্গাগুলো লাগানো থাকে এগুলো দিয়ে নাকি কাক-পক্ষীর গতিবিধি ধারণ করা হয়। বিশেষ-বিশেষ দিনে তো এই চাদর নাকি কয়েক স্তরের হয়ে যায়। 'এই চাদর দিয়ে মাথা ঢাকতে গিয়ে পেছনটা উদোম হয়ে যায়', এটা লিখতে পারলে আরাম পাওয়া যেত কিন্তু মাথা-পেছনটার (পাছা শব্দটা আমি এখানে লিখতে চাচ্ছি না) দোষ দেওয়াটা সমীচীন হবে না। দোষ বেচারা চাদরের। আহা, বেচারা চাদর- ছেঁড়া চাদর।

অনেকে আবার দোষ চাপাবার চেষ্টা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার-হাজার শিক্ষার্থীর যিনি পিতা, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের প্রতি। এই পুরো নামটা ‘আ আ ম স’ এটা ভুলে গেছি তবে দুষ্ট ছেলেরা যেটা বলে সেটা বিচিত্র কারণে মনে আছে। এখানে এটা উল্লেখ করাটা অসমীচীন মনে করছি।)।
জনাব, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাহেবের প্রতি কারও অঙ্গুলি নির্দেশ করার প্রতি আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই, নিন্দা জ্ঞাপন করি। কারণ জনাব আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাহেবের দোষ দেওয়াটাও দোষ হবে। ওরে অবুঝ, প্রক্টর সাহেব দাবা খেলায় ব্যস্ত থাকেন কিন্তু আরেফিন সাহেব কী অবসর? বেচারা আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাহেবের কতো-কতো কাজ! যেমনটা আমরা দেখেছি তেলের খনি [১] থেকে তৈল উত্তোলনে তাঁর ব্যস্ততা। এটা তো ছোট্ট একটা উদাহরণ, এমন কত্তো কত্তো কাজ তাঁর...।

১. তেলের খনি: http://www.ali-mahmed.com/2012/04/blog-post.html

No comments: