কারও গাছ থেকে যখন কেউ না-বলে লুকিয়ে ফল নিয়ে যায় তখন আমরা কেউ-কেউ উদাস দৃষ্টিতে দেখি, দেখি না? আহা-আহা, খাক, খাক না। ফলবান গাছের ফল তো কেবল গাছের মালিকই খাবে না চোর-চোট্টা, পশু-পাখিও খায়। কিন্তু ওই মানুষটাই যখন এসে নীতির কথা শোনায় তখন তাকে ডাকাতচুঞ্চু বা বিশিষ্ট ডাকাত না-বলে উপায় থাকে না।
‘কনক পুরুষ’ নামে একটা উপন্যাস আছে আমার- এটাকে নভেল বলা হবে নাকি নভেলা সেই তর্ক এখন থাক। বইটা ছাপিয়ে ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন, আমার দেখা অসাধারণ একজন মানুষ [১]!
বইটা ছাপা হয়েছিল ৯৫ সালে। রিপ্রিন্ট আর হয়নি। পরের বছর থেকেই বইটা বাজারে নেই। সহৃদয় পাঠক বইটার খোঁজ করলে দুইটা কারণে আমি ভারী বিব্রত হতাম। এক, এটার প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদটা দেখে ইচ্ছা করত উঁচু কোনও দালান থেকে দেই একটা লাফ। আফসোস, প্রচ্ছদের উপর আমার কোনও হাত ছিল না। প্রচ্ছদটা আমি দেখেছিলাম ছাপা হওয়ার পর। ভূমিষ্ট সন্তান দর্শনীয় না-হলে তাকে তো আর ফেলে দেওয়া চলে না, কপাল!
দুই, বইটার কোনও খোঁজ কাউকে দিতে পারি না। একবার ভেবেছিলাম পিডিএফ ফরম্যাটে আমার সাইটে যুক্ত করে দেব। কিন্তু আমার ‘অকাজেই’ যে সমস্ত দিন যায়- সময় কোথায়!
একজন পাঠকের অযাচিত উল্লাসভরা একটা মেইল পেলাম লিংকসহ, ‘...জিনিস পাইছি’। এই লিংক [২] ধরে গিয়ে দেখি ওয়াল্লা, এখানে যে বাজার জমে গেছে। আর আস্ত বইটা এরা পিডিএফ করে ফেলেছে। ওখান থেকে লোকজনরা ডাউনলোড করে পড়ছেও। পূর্বেই উল্লেখ করেছি অনেক বছর ধরে বইটা বাজারে নেই তাই ভাবলাম লোকজনরা পড়ছে যখন তা পড়ুক না। কিন্তু ডাউনলেোড করার পদ্ধতি দেখে আমি বিরক্ত হলাম। ‘হিডেন কনটেন্ট’ তখনই দৃশ্যমান হবে যখন ‘লাইক’ দেওয়া হবে নইলে কোনও প্রকারেই ডাউনলোড করা যাবে না। যেন গান পয়েন্টে রেখে- এক ধরনের বাধ্য করা। এই বাধ্যতামুলক লাইক দেওয়ার বিষয়টা আমার মোটেও ভাল লাগল না।
এই এক চুতিয়াগিরি শুরু হয়েছে এখন, লাইক ভিক্ষা। আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিকগুলো যখন লাইক-ভিক্ষা [৩] করে তা এরা কোন ছার! যাই হোক, মন্তব্য করতে গিয়ে দেখা গেল এদের এখানে ‘সাইন আপ’ করতে হয়। কী যন্ত্রণা! এই ঝামেলা চুকিয়ে আমি ওখানে মন্তব্য করলাম,
“পরে আর ছাপা না-হওয়ার কারণে প্রজাপতির এই বইটি অনেক বছর ধরেই পাঠকের নাগালে নেই! বইটি এখনও পাঠকের ভাল লাগে জেনে মনটা অন্য রকম হয়ে। সলাজে বলি, এই ভাল লাগার তীব্রতা আমাকে স্পর্শ করে...। তবে বিষাদের সঙ্গে এ-ও বলি, বই ডাউনলোড করার জন্য 'লাইক' বাধ্যতামূলক করাটা ভাল লাগল না!”
'আপনার মন্তব্যটি বিবেচনার অপেক্ষায় আছে'। বেশ, আমি অপেক্ষায় থাকলাম। কিন্তু মন্তব্যটা পাবলিশ করা হলো না। আমার মনে হলো এই সব ভূমিকুষ্মান্ডদের সত্য শোনার বিন্দুমাত্র সহনশীলতা নেই। তাই এদের এই সমস্ত হালকামি অনেকটা ‘হালকা দেহের জন্য বলকা দুধ’। আমি আবারও মন্তব্যে লিখলাম,
"প্রিয় মহোদয়, গতকালের এই মন্তব্য পাবলিশ করেন নাই কেন দয়া করে এটা কি একটু জানাবেন?" এরপর মন্তব্যে লিখলাম, "লেখকের অনুমতি ব্যতীত আস্ত বইটা যে পাবলিশ করে দিলেন বিষয়টা কী অনৈতিক না?! "
‘মুর্দা বলে না, বলে তো কাফান ফাড়কে বলে’, প্রিয় মহোদয় ওরফে এডমিন একেবারে কাঁপিয়ে দিলেন। তিনি লিখলেন,
“নৈতিক অনৈতিকতার কাদা ছুড়াছুড়ি না করে, মুল কথায় আসুন। আপনি কি চান না বইটি সাইটে থাকুক? আপনি যদি কোনভাবে লেখক বা প্রকাশনার সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে উপযুক্ত প্রমানসহ আমাকে মেসেজ করুন, সাথে সাথে লিঙ্ক রিমুভ করা হবে। পূর্বেও এমন বহু লিঙ্ক রিমুভ করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।
### একটা কথা না বলে পারছি না, আপনার এই বই নীলখেতে সেকেন্ডহ্যন্ড পাওয়া যাচ্ছে। যার বিক্রির ১ পয়সাও আপনি পাবেন না। আশা করি এই বিষয়ে কোন একটা ব্যাবস্থা নিবেন। যদিও কিছু করতে পারবেন কিনা বা করবেন কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। আজ পর্যন্ত কাউকে তো করতে দেখলাম না। সবাই খালি অনলাইন সাইট গুলার পিছনেই লেগে থাকতে ব্যস্ত।“
ওরে ‘সূর্যের চেয়ে যে বালির উত্তাপ বেশি’ কথাটা শুনেছিলাম, শুনেছিলাম ‘দারোগার নায়ের (নৌকার) মাঝির শালা'র কথা। ‘চোরের মার বড়ো গলা’, এটা আমাদের ভাষায় বহুল ব্যবহারে জীর্ণ বিধায় এর কথা এখানে উল্লেখ করলাম না। এমনিতে আমি এদের জন্য একটা কথা ব্যবহার করি, ‘এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি'।
জাকারিয়া স্বপনের মত প্রতিভাবান মানুষ যখন ‘দিন দাহাড়ে’ লেখা চুরি-চামারি করেন [৪] তখন এই সমস্ত ‘জুম্মা জুম্মা সাতদিন’ টাইপের লোকজনকে অল্প কথাই বলি…।
‘নৈতিক অনৈতিকতার কাদা ছুড়াছুড়ি না করে, মুল কথায় আসুন…’।
জ্বী, মূল কথাতেই আসছি। আমার অনুমতি ব্যতীত বইটা পাবলিশ করে আপনি অপরাধ করেছেন তাই আপনি একজন অপরাধী।
‘আপনি যদি কোনভাবে লেখক বা প্রকাশনার সাথে জড়িত থাকেন…’।
প্রকাশনার বিষয়টা আমার কাছে গুরুত্বহীন কারণ বই-এ পরিষ্কার করে লেখা আছে, ‘গ্রন্থস্বত্ব লেখকের’।
'তাহলে উপযুক্ত প্রমানসহ আমাকে মেসেজ করুন, সাথে সাথে লিঙ্ক রিমুভ করা হবে...’।
আপনি একজন অপরাধী- একজন অপরাধীর কাছে প্রমাণ দিতে আমার বয়েই গেছে।
‘পূর্বেও এমন বহু লিঙ্ক রিমুভ করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে...’। বাহ, কী-সোন্দর কথা! পূর্বেও চুরি করে বমাল ধরা পড়ার পর মাল ফেরত দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও চুরি করা হবে ধরা পড়লে তখনও মাল ফেরত দেওয়া হবে।
‘### একটা কথা না বলে পারছি না...’।
আমিও একটা কথা না-বলে পারছি না সেটা হচ্ছে একজন অপরাধীর সঙ্গে আর বাতচিত করাটা আমার কাছে কেবল ক্লান্তিকরই না শব্দের অপচয়ও বটে।
সহায়ক সূত্র:
১. কাজীদা: একজন লেখক বানাবার মেশিন!: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_13.html
২. http://banglapdf.net/threads/kanok-purush%E0%A5%A4%E0%A5%A4ali-mahmed-sheba-uponyas.2771/
৩. জাতীয় ফকির: আল্লার ওয়াস্তে একটা পইসা...: http://www.ali-mahmed.com/2014/07/blog-post_22.html
৪. priyo.com: ডিয়ার, তোমাকে কি ডাকাত বলতে পারি?: http://www.ali-mahmed.com/2015_02_16_archive.html
‘কনক পুরুষ’ নামে একটা উপন্যাস আছে আমার- এটাকে নভেল বলা হবে নাকি নভেলা সেই তর্ক এখন থাক। বইটা ছাপিয়ে ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন, আমার দেখা অসাধারণ একজন মানুষ [১]!
বইটা ছাপা হয়েছিল ৯৫ সালে। রিপ্রিন্ট আর হয়নি। পরের বছর থেকেই বইটা বাজারে নেই। সহৃদয় পাঠক বইটার খোঁজ করলে দুইটা কারণে আমি ভারী বিব্রত হতাম। এক, এটার প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদটা দেখে ইচ্ছা করত উঁচু কোনও দালান থেকে দেই একটা লাফ। আফসোস, প্রচ্ছদের উপর আমার কোনও হাত ছিল না। প্রচ্ছদটা আমি দেখেছিলাম ছাপা হওয়ার পর। ভূমিষ্ট সন্তান দর্শনীয় না-হলে তাকে তো আর ফেলে দেওয়া চলে না, কপাল!
দুই, বইটার কোনও খোঁজ কাউকে দিতে পারি না। একবার ভেবেছিলাম পিডিএফ ফরম্যাটে আমার সাইটে যুক্ত করে দেব। কিন্তু আমার ‘অকাজেই’ যে সমস্ত দিন যায়- সময় কোথায়!
একজন পাঠকের অযাচিত উল্লাসভরা একটা মেইল পেলাম লিংকসহ, ‘...জিনিস পাইছি’। এই লিংক [২] ধরে গিয়ে দেখি ওয়াল্লা, এখানে যে বাজার জমে গেছে। আর আস্ত বইটা এরা পিডিএফ করে ফেলেছে। ওখান থেকে লোকজনরা ডাউনলোড করে পড়ছেও। পূর্বেই উল্লেখ করেছি অনেক বছর ধরে বইটা বাজারে নেই তাই ভাবলাম লোকজনরা পড়ছে যখন তা পড়ুক না। কিন্তু ডাউনলেোড করার পদ্ধতি দেখে আমি বিরক্ত হলাম। ‘হিডেন কনটেন্ট’ তখনই দৃশ্যমান হবে যখন ‘লাইক’ দেওয়া হবে নইলে কোনও প্রকারেই ডাউনলোড করা যাবে না। যেন গান পয়েন্টে রেখে- এক ধরনের বাধ্য করা। এই বাধ্যতামুলক লাইক দেওয়ার বিষয়টা আমার মোটেও ভাল লাগল না।
এই এক চুতিয়াগিরি শুরু হয়েছে এখন, লাইক ভিক্ষা। আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিকগুলো যখন লাইক-ভিক্ষা [৩] করে তা এরা কোন ছার! যাই হোক, মন্তব্য করতে গিয়ে দেখা গেল এদের এখানে ‘সাইন আপ’ করতে হয়। কী যন্ত্রণা! এই ঝামেলা চুকিয়ে আমি ওখানে মন্তব্য করলাম,
“পরে আর ছাপা না-হওয়ার কারণে প্রজাপতির এই বইটি অনেক বছর ধরেই পাঠকের নাগালে নেই! বইটি এখনও পাঠকের ভাল লাগে জেনে মনটা অন্য রকম হয়ে। সলাজে বলি, এই ভাল লাগার তীব্রতা আমাকে স্পর্শ করে...। তবে বিষাদের সঙ্গে এ-ও বলি, বই ডাউনলোড করার জন্য 'লাইক' বাধ্যতামূলক করাটা ভাল লাগল না!”
'আপনার মন্তব্যটি বিবেচনার অপেক্ষায় আছে'। বেশ, আমি অপেক্ষায় থাকলাম। কিন্তু মন্তব্যটা পাবলিশ করা হলো না। আমার মনে হলো এই সব ভূমিকুষ্মান্ডদের সত্য শোনার বিন্দুমাত্র সহনশীলতা নেই। তাই এদের এই সমস্ত হালকামি অনেকটা ‘হালকা দেহের জন্য বলকা দুধ’। আমি আবারও মন্তব্যে লিখলাম,
"প্রিয় মহোদয়, গতকালের এই মন্তব্য পাবলিশ করেন নাই কেন দয়া করে এটা কি একটু জানাবেন?" এরপর মন্তব্যে লিখলাম, "লেখকের অনুমতি ব্যতীত আস্ত বইটা যে পাবলিশ করে দিলেন বিষয়টা কী অনৈতিক না?! "
‘মুর্দা বলে না, বলে তো কাফান ফাড়কে বলে’, প্রিয় মহোদয় ওরফে এডমিন একেবারে কাঁপিয়ে দিলেন। তিনি লিখলেন,
“নৈতিক অনৈতিকতার কাদা ছুড়াছুড়ি না করে, মুল কথায় আসুন। আপনি কি চান না বইটি সাইটে থাকুক? আপনি যদি কোনভাবে লেখক বা প্রকাশনার সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে উপযুক্ত প্রমানসহ আমাকে মেসেজ করুন, সাথে সাথে লিঙ্ক রিমুভ করা হবে। পূর্বেও এমন বহু লিঙ্ক রিমুভ করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।
### একটা কথা না বলে পারছি না, আপনার এই বই নীলখেতে সেকেন্ডহ্যন্ড পাওয়া যাচ্ছে। যার বিক্রির ১ পয়সাও আপনি পাবেন না। আশা করি এই বিষয়ে কোন একটা ব্যাবস্থা নিবেন। যদিও কিছু করতে পারবেন কিনা বা করবেন কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। আজ পর্যন্ত কাউকে তো করতে দেখলাম না। সবাই খালি অনলাইন সাইট গুলার পিছনেই লেগে থাকতে ব্যস্ত।“
ওরে ‘সূর্যের চেয়ে যে বালির উত্তাপ বেশি’ কথাটা শুনেছিলাম, শুনেছিলাম ‘দারোগার নায়ের (নৌকার) মাঝির শালা'র কথা। ‘চোরের মার বড়ো গলা’, এটা আমাদের ভাষায় বহুল ব্যবহারে জীর্ণ বিধায় এর কথা এখানে উল্লেখ করলাম না। এমনিতে আমি এদের জন্য একটা কথা ব্যবহার করি, ‘এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি'।
জাকারিয়া স্বপনের মত প্রতিভাবান মানুষ যখন ‘দিন দাহাড়ে’ লেখা চুরি-চামারি করেন [৪] তখন এই সমস্ত ‘জুম্মা জুম্মা সাতদিন’ টাইপের লোকজনকে অল্প কথাই বলি…।
‘নৈতিক অনৈতিকতার কাদা ছুড়াছুড়ি না করে, মুল কথায় আসুন…’।
জ্বী, মূল কথাতেই আসছি। আমার অনুমতি ব্যতীত বইটা পাবলিশ করে আপনি অপরাধ করেছেন তাই আপনি একজন অপরাধী।
‘আপনি যদি কোনভাবে লেখক বা প্রকাশনার সাথে জড়িত থাকেন…’।
প্রকাশনার বিষয়টা আমার কাছে গুরুত্বহীন কারণ বই-এ পরিষ্কার করে লেখা আছে, ‘গ্রন্থস্বত্ব লেখকের’।
'তাহলে উপযুক্ত প্রমানসহ আমাকে মেসেজ করুন, সাথে সাথে লিঙ্ক রিমুভ করা হবে...’।
আপনি একজন অপরাধী- একজন অপরাধীর কাছে প্রমাণ দিতে আমার বয়েই গেছে।
‘পূর্বেও এমন বহু লিঙ্ক রিমুভ করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে...’। বাহ, কী-সোন্দর কথা! পূর্বেও চুরি করে বমাল ধরা পড়ার পর মাল ফেরত দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও চুরি করা হবে ধরা পড়লে তখনও মাল ফেরত দেওয়া হবে।
‘### একটা কথা না বলে পারছি না...’।
আমিও একটা কথা না-বলে পারছি না সেটা হচ্ছে একজন অপরাধীর সঙ্গে আর বাতচিত করাটা আমার কাছে কেবল ক্লান্তিকরই না শব্দের অপচয়ও বটে।
সহায়ক সূত্র:
১. কাজীদা: একজন লেখক বানাবার মেশিন!: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_13.html
২. http://banglapdf.net/threads/kanok-purush%E0%A5%A4%E0%A5%A4ali-mahmed-sheba-uponyas.2771/
৩. জাতীয় ফকির: আল্লার ওয়াস্তে একটা পইসা...: http://www.ali-mahmed.com/2014/07/blog-post_22.html
৪. priyo.com: ডিয়ার, তোমাকে কি ডাকাত বলতে পারি?: http://www.ali-mahmed.com/2015_02_16_archive.html