হানিফ সংকেত নামের মানুষটা ফজলে লোহানির হাত ধরে এই আলোকিত ভুবনে এসেছিলেন। ফজলে লোহানি অজানার দেশে চলে যাওয়ার পর এই মানুষটাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রমশ একলা-একলি এক আলোকচ্ছটায় রূপান্তরিত হয়েছিলেন। এরপর তো ইতিহাস!
কায়দাদুরস্ত হানিফ সংকেত তাঁর ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে বছরের-পর-বছর ধরে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, এখনও! কালে-কালে তিনি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠলেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ অভূতপূর্ব! এই প্রজন্মের একটা স্যালুট তিনি পাওনা হন এতে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু এই করে করে বছরের-পর-বছর কেমন করে পার করে দিলেন এটা দেখে স্যালুটটা ফিরিয়ে নেওয়াটা দোষের হবে বলে মনে করি না।
এমনিতে হেন কোনও অসঙ্গতি নেই যা নিয়ে কটাক্ষ করা তাঁর অনুষ্ঠানে উঠে আসে না। এন্তার অসঙ্গতি নিয়ে তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দেন। ফাঁকে-ফাঁকে নাচ-গান তো আছেই। এটা ফ্রি, ডাল ফ্রি (আগের আমলের)।
এমনিতে হেন কোনও অসঙ্গতি নেই যা নিয়ে কটাক্ষ করা তাঁর অনুষ্ঠানে উঠে আসে না। এন্তার অসঙ্গতি নিয়ে তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দেন। ফাঁকে-ফাঁকে নাচ-গান তো আছেই। এটা ফ্রি, ডাল ফ্রি (আগের আমলের)।
কত বছর পূর্বে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ‘হোটেল সালাদিয়া’ নামের এই গানটা শোনা হয়েছিল মনে নেই। বহু বছর পর Download Free24-এর কল্যাণে গানটির খোঁজ পাওয়া গেল, কৃতজ্ঞতা।
যথারীতি হানিফ সংকেত জানাচ্ছেন গানটা লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং গেয়েছেন সান্টু। রিন্টু-সান্টু, সান্টু-রিন্টু, সান্টু-সান্টু-সান্টু, রিন্টু-রিন্টু-রিন্টু 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে আমরা রিন্টু এবং সান্টুর নামই শুনে এসেছি। ভাগ্যিস এই ধরায় সান্টু-রিন্টু এসেছিল নইলে সর্বনাশ হয়ে যেত!
এ আরেক একলসেঁড়ে-অসামাজিক ভাবনা! হানিফ সংকেতের অভিধানে এই দেশে রিন্টু এবং সান্টু ব্যতীত গায়ক, গীতিকার নাই! সবাই বানের জলে ভেসে গেছে? বা হিমালয় পর্বতে চলে গেছে বাথরুম করার জন্য। আফসোস, বড়ই আফসোস- এই দেশ কবে পরিবারতন্ত্র-স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসবে কে জানে! যাই হোক, আমরা হোটেল সালাদিয়া গানটা শুনি:
যথারীতি হানিফ সংকেত জানাচ্ছেন গানটা লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং গেয়েছেন সান্টু। রিন্টু-সান্টু, সান্টু-রিন্টু, সান্টু-সান্টু-সান্টু, রিন্টু-রিন্টু-রিন্টু 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে আমরা রিন্টু এবং সান্টুর নামই শুনে এসেছি। ভাগ্যিস এই ধরায় সান্টু-রিন্টু এসেছিল নইলে সর্বনাশ হয়ে যেত!
এ আরেক একলসেঁড়ে-অসামাজিক ভাবনা! হানিফ সংকেতের অভিধানে এই দেশে রিন্টু এবং সান্টু ব্যতীত গায়ক, গীতিকার নাই! সবাই বানের জলে ভেসে গেছে? বা হিমালয় পর্বতে চলে গেছে বাথরুম করার জন্য। আফসোস, বড়ই আফসোস- এই দেশ কবে পরিবারতন্ত্র-স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসবে কে জানে! যাই হোক, আমরা হোটেল সালাদিয়া গানটা শুনি:
সূত্র: Download Free24 (https://www.youtube.com/watch?v=yzMzyWzIGCo)
বেশ-বেশ, কেটে গেলে মুগ্ধতার রেশ, এখন আমরা তাহলে ইগলসের অসাধারণ অসম্ভব বিখ্যাত ‘হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া’ গানটার কথা আলোচনায় নিয়ে আসি। যে-গানটি কোটি-কোটি শ্রোতাকে এমনই আলোড়িত করেছিল যে এই গান নিয়ে গুজবের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা এমন ডালই না মেলেছিল যে সেখানে রোদ ঢোকারও উপায় ছিল না। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। তারচেয়ে বরং গানটা শোনা যাক:
হায়, এরা তো ভাল করে চুরি করাও শেখেনি! বটে রে, এহেন চৌর্যবৃত্তির জন্য আবার সুরকার গায়কেরও প্রয়োজন দেখা দেয়? যে মানুষটা ক্ষণে ক্ষণে নীতিকথা কপচান সেই মানুষটাই যখন ‘দিন দাহাড়ে’, এর বাংলা হবে দিন-দুপুরে চোখ ধাঁধানো আলোয় আয়োজন করে বছরের-পর-বছর ধরে এমনতরো কর্মকান্ড চালিয়ে যান তখন বুকের গভীর থেকে বেদনা পাক খেয়ে উঠে, এই দেশে আমাদের দাঁড়াবার জায়গার বড়ো অভাব...!
*কেবল হানিফ সংকেতই না এমনতরো ‘চুরি-চামারি’ চলেই আসছে এমন না। যেমন আরেকজন জাকারিয়া স্বপন [১]।
হানিফ সংকেত, জাকারিয়া স্বপন এরা যে
বিষবৃক্ষ রোপণ করেন যথারীতি সেই গাছে ফল ধরে পেকে টসটস করে। এরাই তৈরি করছেন নষ্ট
এক প্রজন্ম। তখন আর চুরির বালাই থাকে না জন্ম নেয় একেকটা আস্ত ডাকাত। কচু গাছ কাটতে-কাটতে ডাকাত!
অন্যদের কাছে কালো-কালো,
দুবলাপাতলা-লিকলিকে হলেও আমার লেখা আমার কাছে সন্তানসম। আমার নিজের সন্তানদের পরিচয় দিতে
হবে এই চোর-ডাকাতদের কাছে [২]? মরণ!
সহায়ক সূত্র:
সহায়ক সূত্র:
১. ডিয়ার, তোমাকে কী ডাকাত বলতে পারি: https://www.ali-mahmed.com/2015/02/priyocom.html