একজন কবি জীর্ণ ছালের আড়ালে ‘কায়কাউসের ছেলে’ নামে কেবল বিস্তর আবর্জনাই উৎপন্ন করেননি এক ধরনের সামাজিক অপরাধও করেছিলেন। কী জানি, বা হতে পারে এর মাথায় গোলমাল ছিল!
নইলে এই লোক কবিতার নামে এটা লেখে কেমন করে “…রবীন্দ্রনাথকে থাপড়াইলাম…তার ওপর মূত্র বিসর্জন করিলাম…।“ এ আবর্জনা-মাস্টারের সঙ্গে আমার মতো মানুষের জানাশোনা হতো না যদি-না প্রথম আলো ‘জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার’-এর নামে একে জন্তু থেকে মানুষের ভুবনে নিয়ে আসত।
অন্যত্র এক লেখায় যেটা আমি লিখেছিলাম:
"আচ্ছা, এই ইতর যেভাবে রবীন্দ্রনাথের নাম ব্যবহার করেছে সেই নামের স্থলে প্রথম আলোর সর্দারদের কারও নাম বসিয়ে দিলে কেমন হয়"?
এই সব স্যারদের কে বোঝাবে সব আবেগ নিয়ে খেলা করা চলে না, যা-ইচ্ছা তা লেখা যায় না। লিখলে সেটা হয় ‘কুতুয়াসাহিত্য’!
সম্প্রতি একজনের বদৌলতে আরিফ আর হোসেন নামে একজনের একটা ‘ইসটাটাস’ পড়ার দূর্ভাগ্য হয়েছে আমার। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “হাতের ঝাড়ুই হবে অস্ত্র...এখন লাগবে কিছু মুক্তিবাহিনী…।”
লেখাটায় ভাল একটা উদ্যোগের কথা তিনি লিখেছেন সে ভাল কথা কিন্তু ঝাড়ু হবে অস্ত্র…এখন লাগবে কিছু মুক্তিবাহিনী, এই সব লিখতে হবে কেন?
এখন এই একটা নতুন ফ্যাশন চালু হয়েছে প্রয়োজন থাকুক বা না-থাকুক আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে যে-কোনও প্রসঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলে লাভ নাই কারণ এদের ভাব দেখে মনে হয় সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাই কোনও-না-কোনও দলের সঙ্গে জড়িত! এর বাইরে কেউ নাই, কিচ্ছু নাই।
তো, স্যারদের বিনীত ভঙ্গিতে বলি, মুক্তিযুদ্ধ কোনও খেলা ছিল না! এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের স্বজনদের অবিরাম রক্তের স্রোত। অন্য ভুবনের সহ্যাতীত যন্ত্রণা! দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করা যায় না এমনসব কষ্ট! একটা পরিবারের ২৫ জনকে খুন করা হয়েছে ওই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে সাদী মহাম্মদ [১] নামের যে শিশুটি বেঁচে গিয়েছিল তাঁর চোখে চোখ রাখার ক্ষমতা আমাদের কোথায়?
একজন মশিহুর রহমানকে [২] পাকিস্তানিদের স্বপক্ষে সই করাবার জন্য চাবুক মেরে মেরে গায়ের চামড়া খুলে ফেলা হয়েছিল। একে-একে কেটে ফেলা হয়েছিল হাত-পা তবুও তিনি সই করেননি! আমরা, এই প্রজন্মের এই ত্যাগ বোঝার মত মগজ কোথায়?
অন্যত্র এক লেখায় যেটা আমি লিখেছিলাম:
"আচ্ছা, এই ইতর যেভাবে রবীন্দ্রনাথের নাম ব্যবহার করেছে সেই নামের স্থলে প্রথম আলোর সর্দারদের কারও নাম বসিয়ে দিলে কেমন হয়"?
এই সব স্যারদের কে বোঝাবে সব আবেগ নিয়ে খেলা করা চলে না, যা-ইচ্ছা তা লেখা যায় না। লিখলে সেটা হয় ‘কুতুয়াসাহিত্য’!
সম্প্রতি একজনের বদৌলতে আরিফ আর হোসেন নামে একজনের একটা ‘ইসটাটাস’ পড়ার দূর্ভাগ্য হয়েছে আমার। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “হাতের ঝাড়ুই হবে অস্ত্র...এখন লাগবে কিছু মুক্তিবাহিনী…।”
লেখাটায় ভাল একটা উদ্যোগের কথা তিনি লিখেছেন সে ভাল কথা কিন্তু ঝাড়ু হবে অস্ত্র…এখন লাগবে কিছু মুক্তিবাহিনী, এই সব লিখতে হবে কেন?
এখন এই একটা নতুন ফ্যাশন চালু হয়েছে প্রয়োজন থাকুক বা না-থাকুক আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে যে-কোনও প্রসঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলে লাভ নাই কারণ এদের ভাব দেখে মনে হয় সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাই কোনও-না-কোনও দলের সঙ্গে জড়িত! এর বাইরে কেউ নাই, কিচ্ছু নাই।
তো, স্যারদের বিনীত ভঙ্গিতে বলি, মুক্তিযুদ্ধ কোনও খেলা ছিল না! এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের স্বজনদের অবিরাম রক্তের স্রোত। অন্য ভুবনের সহ্যাতীত যন্ত্রণা! দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করা যায় না এমনসব কষ্ট! একটা পরিবারের ২৫ জনকে খুন করা হয়েছে ওই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে সাদী মহাম্মদ [১] নামের যে শিশুটি বেঁচে গিয়েছিল তাঁর চোখে চোখ রাখার ক্ষমতা আমাদের কোথায়?
একজন মশিহুর রহমানকে [২] পাকিস্তানিদের স্বপক্ষে সই করাবার জন্য চাবুক মেরে মেরে গায়ের চামড়া খুলে ফেলা হয়েছিল। একে-একে কেটে ফেলা হয়েছিল হাত-পা তবুও তিনি সই করেননি! আমরা, এই প্রজন্মের এই ত্যাগ বোঝার মত মগজ কোথায়?
ঠিক ১৬ ডিসেম্বরেই মুক্তিযোদ্ধা সুরুয মিয়া [৩] আত্মহত্যা করেছিলেন, কেন? এটা জানার আগ্রহ কোথায় আমাদের!
একজন উক্য চিং [৪]। যিনি ১৯৭১ সালে পাকআর্মির দ্বারা আমাদের নারীদের সম্ভ্রমহানীর প্রতিবাদে পাক-কমান্ডারসহ তার সহযোগীদের পুরুষাঙ্গ কেটে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন। এমন বীরকে আমাদের শিশুদের সামনে উপস্থাপন করার সদিচ্ছাই বা কোথায় আমাদের?
ইতিহাসের পাতায় বড়ো ম্লান ভাগিরথী [৫], রীনা [৬], প্রিনছা খেঁ [৭]। একজন দুলা মিয়ার [৮] শেষশয্যার খোঁজও আমরা পাই না। এমন কতশত উদাহরণ লিখে শেষ করাও যে যো নেই।
অথচ এখন এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযোদ্ধা যেন একটা খেলার বিষয় হয়ে গেছে। যে যেমন করে পারছে, ইচ্ছা করছে...। এরা এটা বুঝতে চাইছে না যে-সমস্ত আবেগে আমরা থরথর করে কাঁপি সেই সমস্ত আবেগ নিয়ে খেলা করা চলে না।
আজ কেউ খেলাচ্ছলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ঝাড়ু ধরিয়ে দিচ্ছে কাল অন্য কেউ দু-চার জন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কাঠের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের ডামি ধরিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। সাহেবসুবোরা দেদারসে লাল পানি গিলে এসে উল্লাসভরে সেই প্রদর্শনী দেখবেন। হলুদ দাঁত বের করে পেটকাঁপানো হাসির উল্লাসে বলবেন, "ওয়াও, হোয়াড আ মুক্টিজুড্ডা..."।
একজন উক্য চিং [৪]। যিনি ১৯৭১ সালে পাকআর্মির দ্বারা আমাদের নারীদের সম্ভ্রমহানীর প্রতিবাদে পাক-কমান্ডারসহ তার সহযোগীদের পুরুষাঙ্গ কেটে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন। এমন বীরকে আমাদের শিশুদের সামনে উপস্থাপন করার সদিচ্ছাই বা কোথায় আমাদের?
ইতিহাসের পাতায় বড়ো ম্লান ভাগিরথী [৫], রীনা [৬], প্রিনছা খেঁ [৭]। একজন দুলা মিয়ার [৮] শেষশয্যার খোঁজও আমরা পাই না। এমন কতশত উদাহরণ লিখে শেষ করাও যে যো নেই।
অথচ এখন এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযোদ্ধা যেন একটা খেলার বিষয় হয়ে গেছে। যে যেমন করে পারছে, ইচ্ছা করছে...। এরা এটা বুঝতে চাইছে না যে-সমস্ত আবেগে আমরা থরথর করে কাঁপি সেই সমস্ত আবেগ নিয়ে খেলা করা চলে না।
আজ কেউ খেলাচ্ছলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ঝাড়ু ধরিয়ে দিচ্ছে কাল অন্য কেউ দু-চার জন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কাঠের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের ডামি ধরিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। সাহেবসুবোরা দেদারসে লাল পানি গিলে এসে উল্লাসভরে সেই প্রদর্শনী দেখবেন। হলুদ দাঁত বের করে পেটকাঁপানো হাসির উল্লাসে বলবেন, "ওয়াও, হোয়াড আ মুক্টিজুড্ডা..."।
সহায়ক সূত্র:
১. সাদী মহাম্মদ: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/1971.html
২. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_06.html
৩. সুরুয মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_28.html
৪. উক্য চিং: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_8752.html
৫. ভাগিরথী: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_6057.html
৬. রীনা: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_7644.html
৭. প্রিনছা খেঁ: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_27.html
৮. দুলা মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_08.html
No comments:
Post a Comment