ঝাড়ুদারচুঞ্চু বা বিশিষ্ট ঝাড়ুদারের বড়ো আকাল এখন! তাই অনেক যন্ত্রণা করে গুচ্ছের টাকা কবুল করে এদের জড়ো করা হয়। আগামীকাল এরই এক নমুনা দেখব আমরা। ‘ঢাকা ক্লিন’ ওরফে ঢাকা সাফ করার জন্য ‘ক্লিন ঢাকা কনসার্টের’ নামে কারিনা কাপুররা আসছেন। এটা জেনে যারপর নাই আনন্দিত গোটা ঢাকাবাসী। ঢাক বাজে ঢাকডুম-ঢাকডুম।
গোটা আয়োজনটার পেছনে আছে ‘ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন’।
আফসোস, অন্য আর কোনও উপায় ছিল না। সচেনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে একটা করে বিন-ডাস্টবিন দিলে বা স্কুলের রাস্তায় একটা ইট রেখে লুকানো ক্যামেরায় কোন শিশুটা ইটটা সরালো এটা নিশ্চিত হওয়ামাত্র সেদিন গোটা স্কুলে ওই শিশুটিই হলো নায়ক। এই নিয়ে একটা বিষম হুল্লোড় করা হলো- পত্রিকাওয়ালারা ঢাউস আকারের ছবি ছাপালো এমন কতশত উপায় করা যায়। ওরে, এই সব যে হাবড়াহাটি-আজেবাজে কথা!
উহুঁ, এইসবে হবে না। আমাদের দেশে সমস্যা শিশুদের নিয়ে না, সমস্যা বুড়ো-হাবড়াদের নিয়ে। বুড়ো হাবড়াদের সচেতন করার জন্য প্রয়োজন বিশিষ্ট ঝাড়ুদারের। কনসার্টে এই সমস্ত কলাকৌশল শেখার জন্য আবার ১৫০০/৩০০০ টাকা খরচও করতে হবে! বসার জায়গা না-পেলে ‘হাপ্পা’-উপুড় হয়ে মেঝেতে বসে পড়তেও কোনও সমস্যা নাই আমাদের, এমনকি মন্ত্রী হলেও।
এই একটা চল হয়েছে। গরিব-গুরবাদের জন্য ‘কুমিরকান্না’ পায় তো চলো গরিবদের মত স্বল্প-অল্প পোশাকের একটা কনসার্টের আয়োজন করি। আচ্ছা, কাল এরা কীভাবে আমাদেরকে শেখাবেন? কারিনা কাপুর কী লেহেংগার ঝুল ঝুলিয়ে আবর্জনা সাফ করবেন? আহা, এই সাফ করতে গিয়ে শরীর আগুপিছু হলে সেটাকে তো দোষ দেওয়া চলে না। এমনিতে এখানে আমাদের কৌতুক অভিনেতা অনন্ত জলিল ভাইয়ার কাজ কি? যতটুকু জানি কৌতুক অভিনেতাদের লেহেংগা পরার চল নাই। তাহলে আমাদের ঝাড়ু দেওয়ার কী হবে এটা ভেবে একচোখে জল অন্য চোখে পানি চলে আসে।
ওহো, বুঝেছি ঘটনাটা এবার। ‘বেলবটম’ বাহে, বেলবটম। আগেকার আমলের বেলবটম প্যান্টের ঘের আড়াই ফিটের কম হতো না। অনন্ত জলিল ভাইয়া বেলবটম প্যান্ট পরে হাঁটাহাঁটি করলেই তো সব জঞ্জাল সাফ।
আহা, এরা যেটা পারবেন সেটা সুপরম্যানেরও পারার যো নেই কারণ সুপারম্যান লেহেংগাও পরে না বেলবটমও না, পরে কেবল প্যান্টের উপর আন্ডারওয়্যার…।
গোটা আয়োজনটার পেছনে আছে ‘ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন’।
আফসোস, অন্য আর কোনও উপায় ছিল না। সচেনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে একটা করে বিন-ডাস্টবিন দিলে বা স্কুলের রাস্তায় একটা ইট রেখে লুকানো ক্যামেরায় কোন শিশুটা ইটটা সরালো এটা নিশ্চিত হওয়ামাত্র সেদিন গোটা স্কুলে ওই শিশুটিই হলো নায়ক। এই নিয়ে একটা বিষম হুল্লোড় করা হলো- পত্রিকাওয়ালারা ঢাউস আকারের ছবি ছাপালো এমন কতশত উপায় করা যায়। ওরে, এই সব যে হাবড়াহাটি-আজেবাজে কথা!
উহুঁ, এইসবে হবে না। আমাদের দেশে সমস্যা শিশুদের নিয়ে না, সমস্যা বুড়ো-হাবড়াদের নিয়ে। বুড়ো হাবড়াদের সচেতন করার জন্য প্রয়োজন বিশিষ্ট ঝাড়ুদারের। কনসার্টে এই সমস্ত কলাকৌশল শেখার জন্য আবার ১৫০০/৩০০০ টাকা খরচও করতে হবে! বসার জায়গা না-পেলে ‘হাপ্পা’-উপুড় হয়ে মেঝেতে বসে পড়তেও কোনও সমস্যা নাই আমাদের, এমনকি মন্ত্রী হলেও।
এই একটা চল হয়েছে। গরিব-গুরবাদের জন্য ‘কুমিরকান্না’ পায় তো চলো গরিবদের মত স্বল্প-অল্প পোশাকের একটা কনসার্টের আয়োজন করি। আচ্ছা, কাল এরা কীভাবে আমাদেরকে শেখাবেন? কারিনা কাপুর কী লেহেংগার ঝুল ঝুলিয়ে আবর্জনা সাফ করবেন? আহা, এই সাফ করতে গিয়ে শরীর আগুপিছু হলে সেটাকে তো দোষ দেওয়া চলে না। এমনিতে এখানে আমাদের কৌতুক অভিনেতা অনন্ত জলিল ভাইয়ার কাজ কি? যতটুকু জানি কৌতুক অভিনেতাদের লেহেংগা পরার চল নাই। তাহলে আমাদের ঝাড়ু দেওয়ার কী হবে এটা ভেবে একচোখে জল অন্য চোখে পানি চলে আসে।
ওহো, বুঝেছি ঘটনাটা এবার। ‘বেলবটম’ বাহে, বেলবটম। আগেকার আমলের বেলবটম প্যান্টের ঘের আড়াই ফিটের কম হতো না। অনন্ত জলিল ভাইয়া বেলবটম প্যান্ট পরে হাঁটাহাঁটি করলেই তো সব জঞ্জাল সাফ।
আহা, এরা যেটা পারবেন সেটা সুপরম্যানেরও পারার যো নেই কারণ সুপারম্যান লেহেংগাও পরে না বেলবটমও না, পরে কেবল প্যান্টের উপর আন্ডারওয়্যার…।
No comments:
Post a Comment