তিনি কেবল কবিবরই না শিকারিবরও বটে। তিনি সমকামী সেটা তাঁর সমস্যা কিন্তু যখন সদর্পে বলেন, ‘আগে আমি শিকার ছিলাম পরে শিকারি হয়েছি’, তখন ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি, কারণ…? ভাগ্যিস, গুণদাদা কেবল এটা জানিয়েই ক্ষান্ত দিয়েছেন অন্য শিকারিদের মত (আহা, এমন পোজ তো আমরা বিস্তর দেখেছি বাঘ শিকার করে বাঘের উপর একটা ঠ্যাং তুলে দিয়ে শিকারি সাহেব ক্যামেরার সামনে গোঁফ উচিয়ে দাঁড়ান) ওমন ভঙ্গিতে একটা ফটো তুলে জাতির উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেননি!
এমনিতে বড় অভিমানী এই কবি! একবার গণভবনে দাওয়াত না পেয়ে কবি সাহেব শিশুর ন্যায় গাল ফুলিয়ে রাখলেন। আহা, কী মায়াই না হয়েছিল শ্রীপদপঙ্কজ শ্রীনির্মলেন্দু গুণকে দেখে। আহারে-আহারে…! তখন বাবুর চোখে চোখ রাখাই দায়।
আহা, কবির চোখে চোখ রাখি কেমন করে? ছি-ছি-ছি, কবিসম্রাটকে এহেন অপমান! কবিসম্রাট হওয়ার জন্য কত ত্যাগই না স্বীকার করতে হয়েছে এই মানুষটাকে। আহা, আহা- এক চোখে জল এক চোখে পানি চলে আসে। আমেরিকান কবি গ্রেগরী করসো যখন আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের মৃত মানুষদের নিয়ে অতি কুৎসিত কথা বলেন, জঘন্য আচরণ করেন তখন কবিসম্রাট গায়ের সঙ্গে মাথাও দোলান [১]।
এই তো সেদিন, স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার পূর্বে কবিবর হইচই শুরু করলেন। আমি আরো ভাবলুম কবিবরকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আর তিনি কেন এই পুরষ্কারটাই শর্ষীনার পিরকে বা র্যাবকে দেওয়া হয়েছে এই নিয়ে ফেসবুক মাতাচ্ছেন। ওয়াল্লা, ঘটনা তো এটা না। এমনিতে আমাদের কবিবর কেবল ফেসবুক দাপিয়ে বেড়ান এমনই না তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেন আদর করে তাকে বলা চলে নোংরা 'শব্দশেল’! ‘খা…পোলা’ টাইপের [২] এই সমস্ত অতি কুৎসিত শব্দ প্রয়োগের পূর্বে অপদার্থ বখা ছেলেও দ্বিতীয়বার ভাববে।
তো, ফেসবুকের বরপুত্র একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ওখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে উপেক্ষা করার বা কবি হিসাবে সামান্য ভাবার সাহস যার হয়, তাকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার ভেতরে অনেক আগে থেকেই ছিল, এখনো রয়েছে। পারলে ভুল সংশোধন করুন। অথবা পরে একসময় আমাকে এই পদকটি দেওয়া যাবে, এই ধারণা চিরতরে পরিত্যাগ করুন’।
এরপরই পদকদাতাদের চোখ খুলে গেল। তাঁরা তাঁদের ভুলটা বুঝতে পারলেন এবং কবিবর ‘পদকবর’ মানে পদকপ্রাপ্ত হলেন, এমনটা বলা হচ্ছে বটে কিন্তু সত্যটা হচ্ছে কবিবর স্বাধীনতা পদক ছিনিয়ে আনলেন।
কোবি, আমাগো কোবি বলে কথা…!
সহায়ক সূত্র:
১. চালবাজ: http://www.ali-mahmed.com/2012/10/blog-post_16.html
২. গুণবান গুণ!: http://www.ali-mahmed.com/2012/11/blog-post_28.html
এমনিতে বড় অভিমানী এই কবি! একবার গণভবনে দাওয়াত না পেয়ে কবি সাহেব শিশুর ন্যায় গাল ফুলিয়ে রাখলেন। আহা, কী মায়াই না হয়েছিল শ্রীপদপঙ্কজ শ্রীনির্মলেন্দু গুণকে দেখে। আহারে-আহারে…! তখন বাবুর চোখে চোখ রাখাই দায়।
আহা, কবির চোখে চোখ রাখি কেমন করে? ছি-ছি-ছি, কবিসম্রাটকে এহেন অপমান! কবিসম্রাট হওয়ার জন্য কত ত্যাগই না স্বীকার করতে হয়েছে এই মানুষটাকে। আহা, আহা- এক চোখে জল এক চোখে পানি চলে আসে। আমেরিকান কবি গ্রেগরী করসো যখন আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের মৃত মানুষদের নিয়ে অতি কুৎসিত কথা বলেন, জঘন্য আচরণ করেন তখন কবিসম্রাট গায়ের সঙ্গে মাথাও দোলান [১]।
এই তো সেদিন, স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার পূর্বে কবিবর হইচই শুরু করলেন। আমি আরো ভাবলুম কবিবরকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আর তিনি কেন এই পুরষ্কারটাই শর্ষীনার পিরকে বা র্যাবকে দেওয়া হয়েছে এই নিয়ে ফেসবুক মাতাচ্ছেন। ওয়াল্লা, ঘটনা তো এটা না। এমনিতে আমাদের কবিবর কেবল ফেসবুক দাপিয়ে বেড়ান এমনই না তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেন আদর করে তাকে বলা চলে নোংরা 'শব্দশেল’! ‘খা…পোলা’ টাইপের [২] এই সমস্ত অতি কুৎসিত শব্দ প্রয়োগের পূর্বে অপদার্থ বখা ছেলেও দ্বিতীয়বার ভাববে।
তো, ফেসবুকের বরপুত্র একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ওখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে উপেক্ষা করার বা কবি হিসাবে সামান্য ভাবার সাহস যার হয়, তাকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার ভেতরে অনেক আগে থেকেই ছিল, এখনো রয়েছে। পারলে ভুল সংশোধন করুন। অথবা পরে একসময় আমাকে এই পদকটি দেওয়া যাবে, এই ধারণা চিরতরে পরিত্যাগ করুন’।
এরপরই পদকদাতাদের চোখ খুলে গেল। তাঁরা তাঁদের ভুলটা বুঝতে পারলেন এবং কবিবর ‘পদকবর’ মানে পদকপ্রাপ্ত হলেন, এমনটা বলা হচ্ছে বটে কিন্তু সত্যটা হচ্ছে কবিবর স্বাধীনতা পদক ছিনিয়ে আনলেন।
কোবি, আমাগো কোবি বলে কথা…!
১. চালবাজ: http://www.ali-mahmed.com/2012/10/blog-post_16.html
২. গুণবান গুণ!: http://www.ali-mahmed.com/2012/11/blog-post_28.html
No comments:
Post a Comment