Elias Escribano নামের ছেলেটা ২ বছর ধরে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে [১]। ইতিমধ্যে তার ৩৩টা দেশ ঘোরা শেষ। কিন্তু দেশ ঘোরার আকন্ঠ তৃষ্ণা এর এখনও শেষ হয়নি। মধ্যে কেবল ব্যাংককে অল্প সময়ের জন্য ওর বাবা-মার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওদিন ওর জন্মদিন ছিল।
বাংলাদেশে থাকতে
মায়ারমারে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল। ভিসা সংক্রান্ত কি-এক সমস্যা ছিল। আমি তার অস্থিরতা দেখে বলেছিলাম, ‘সমস্যা হলে মায়ারমারে যাওয়া বাদ দাও’।
মায়ারমারে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল। ভিসা সংক্রান্ত কি-এক সমস্যা ছিল। আমি তার অস্থিরতা দেখে বলেছিলাম, ‘সমস্যা হলে মায়ারমারে যাওয়া বাদ দাও’।
ও মাথা এপাশ-ওপাশ করে বলেছিল, ‘আরে, না-না, বল কী তুমি। ওখানে আমার যেতেই হবে। ওখানকার মানুষরা খুবই কষ্টে আছে’।
ওখানকার মানুষ মানে রোহিঙ্গারা। কিন্তু ও একবারও এ কথা বলেনি। ওর ভাষায় মানুষ। আমরা হিন্দু-মুসলমান, আস্তিক-নাস্তিক, পাহাড়ি-সেটেলার, এই দল-সেই দল এই সব বিভাজনে যখন একটা বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকি তখন বনবন করে এদের সাইকেলের চাকা ঘুরতে থাকে। তীব্র গতিতে ঘোরে পানামা, ক্রোয়েশিয়ার মত স্বল্প জনসংখ্যার দেশের ফুটবলও!
যদিও এ বাংলাদেশে এদের অবস্থা সচক্ষে দেখে গিয়েছিল তারপরও এক গোঁ! যাই হোক, ওখানকার কিছু ছবি পাঠিয়েছে। ছবিগুলো সাদাকালো কেন এটা আর জিজ্ঞেস করা হয়নি। যাদের জীবন থেকে রঙ হারিয়ে গেছে তাদের ছবি তো সাদাকালো হওয়াই সমীচীন।
©Elias Escribano |
©Elias Escribano |
©Elias Escribano |
©Elias Escribano |
©Elias Escribano |
১. পায়ের নীচে সর্ষে: http://www.ali-mahmed.com/2018/05/blog-post_8.html
No comments:
Post a Comment