এদের নিয়ে দু-লাইন লেখাও মস্ত বেওকুফি।
আনু মোহাম্মদ এটা লিখেছেন কি লেখেন নাই সেটা আমার কাছে জরুরি না। এখানে যে প্রশ্নগুলো করা হয়েছে তা আওয়ামের প্রশ্ন। অন্তত আমার প্রশ্ন তো বটেই।
আনু মোহাম্মদ এটা লিখেছেন কি লেখেন নাই সেটা আমার কাছে জরুরি না। এখানে যে প্রশ্নগুলো করা হয়েছে তা আওয়ামের প্রশ্ন। অন্তত আমার প্রশ্ন তো বটেই।
এই নির্বোধ কী অবলীলায়ই না চুতিয়া ভাষায় ড. আনু মোহাম্মদকে নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, (তার অতি কুৎসিত গালাগালিগুলো এখানে লিখে তার পর্যায়ে নেমে আসার চেষ্টা করলাম না) কয় টাকা ট্যাক্স দেয়?
গ্রে মেটারের কতটা অভাব হলে কেউ এমন প্রশ্ন করতে পারে! একজন মানুষ বেতন-ব্যবসার থেকে ট্যাক্স দেওয়ার বাইরেও ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে টিস্যু ব্যবহার থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাবার আগ পর্যন্ত পেস্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে হরদম পরোক্ষ ট্যাক্স দিয়েই যায়।
আদতেই যে আমাদের ট্যাক্সের টাকার যথার্থ প্রয়োগ হচ্ছে না এর যথার্থ উদাহরণ হচ্ছে ড. আনু মোহাম্মদকে গুম করার হুমকি দিয়েও এই মহিলা এখনও মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমরা কেউ-কেউ ক্ষিধার জ্বালায়, দায়ে পড়ে, অবস্থার শিকার হয়ে অপরাধ করি কিন্তু এর মত অতি অল্প কিছু এমন মানুষও আছে যারা ‘Born Criminal’ এদের রক্তে মিশে থাকে অপরাধ।
একে নিয়ে লেখাটা বেওকুফি কেন? আমি কোনও ক্রিমিনালের মনস্তত্ব বোঝার চেষ্টা করি। দুম করে কেন নিবরাসদের মত ব্রাইট ছেলেরা নৃশংস খুনি হয়ে যায় বা ডান হাত উড়ে গেছে রক্তে সব ভেসে যাচ্ছে কিন্তু কিশোর ছেলেটা বাঁ হাতে পানি খাবে না। এদের মস্তিষ্ক কে এলোমেলো করে দিল? আমি বোঝার চেষ্টা করি- কখনও বুঝতে পারি কখনও পারি না। নিবরাসরা চরম অপরাধ করেছিল এ সত্য কিন্তু এদের জন্য বুকের ভেতর থেকে একটা বেদনা পাক খেয়ে উঠে।
কিন্তু Born Criminal দের বেলায় এই নিয়ম খাটে না।
এই মহিলা এমন না যে এখনই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এরা কচু গাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয়। অনেক আগেও তিনি একবার এক কান্ড করেছিলেন [১]। পাকিস্তানের এক মসজিদে বোমা হামলায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে- বয়স্ক, শিশুরাও সেই নৃশংস হামলার শিকার আর এই মহিলা উল্লাস করছে। আসলে তিনি বিরাট দেশপ্রেমিক সাজার চেষ্টা করেছিলেন। উল্লাসের লেখা দেওয়ার পর অনেকে খানে এই ‘মদে’ (মহিলা দেশপ্রেমিক)-কে অনেক ‘সাবাসি’ দিয়েছিলেন!
এরা কেউ-কেউ চকচকে চামড়া (নিজের)-সাহিত্য-মুক্তিযুদ্ধ-ধর্ম চেতনার আড়ালে পশুত্ব আড়াল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পশুকে আটকাবার চেষ্টা যে বৃথা।
সেদিনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, এই মহিলার মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই। তখন একটা লেখায় আমি লিখেছিলাম, “এমনই এক দেশপ্রেমিকের(!) কথা বলি। লেখার হাত অতি কুৎসিত। তার এই ঘাটতি মিটে যেত চকচকে চামড়া দিয়ে। আফসোস…! অসম্ভব হৃদয়হীন কাজটা তিনি কেন করলেন? কারণ তিনি যে বিরাট দেশপ্রেমিক! এরপর...আমি যখনই তার মুখপানে তাকাব তখন দেখব অসংখ্য শুঁয়োপোকা। কিলবিল করছে। গা হিম করা- শরীর কেবল শিউরে শিউরে উঠবে। ইচ্ছা করবে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করলে যেন খানিকটা আরাম পাওয়া যাবে”।
আফসোস, এখন ফেসবুক নামের জায়গাটা হয়ে গেছে অতি কদর্য। এখানে এখন সাহিত্যও কপচানো হয়! কোন মৃত লেখকের সঙ্গে জড়িয়ে দুম করে একটা লেখা দিয়ে দেওয়া যায়, সেই লেখক মিয়া ছলিমুদ্দিন-কলিমুদ্দিনকে পরপর ৩বার বলে বসেন, ‘তোমার লেখায় গতি আছে…’। এখানেও থামাথামি নাই সেই লেখক তাঁর গল্প দেন এই শর্তে যে মিয়া কলিমুদ্দিন-ছলিমুদ্দিন তুমিই এটার নাট্যরূপ দিবা। ব্যস, ওখান লোকজন সেই গতিতে খানিকটা গ্রিজ লাগিয়ে দেন। তখন গাড়ি দুদ্দাড় যে গতিতে ছোটে তা আর থামার যা নেই।
কী যন্ত্রণা! এখন কোথাও ছবি উঠালে পাশের মানুষটা নিয়ম করে বলে উঠেবেন, ‘ফেসবুকে ছাড়বেন’? ফেসবুকের কল্যাণে রাতারাতি একেকজন স্টার হয়ে উঠে তখন এদের ভাষা দেখে মনে হয় এরা মাটিতে নেমে এসেছেন মাটির লোকজনকে উদ্ধার করতে।
এই মহিলা, এই বদ্ধউম্মাদের ফলোয়ার ৩০ হাজার। ভাবা যায়?
এখানে তার একটা পোস্টে অন্য এক মেয়ে মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে এই বদ্ধউম্মাদ মহিলা ওই মেয়েকে 'যা করার' জন্য মন্তব্য করেছেন এর মত উম্মাদের কাছে কোনও মেয়েও নিরাপদ না। দেশ তো দূরের কথা...।
সহায়ক সূত্র:
১. একালের যোদ্ধা: http://www.ali-mahmed.com/2014/06/blog-post_7193.html
No comments:
Post a Comment