Search

Friday, July 26, 2019

আপনাদের সো-কল্ড ক...ওরফে একজন ডাক্তার বলছি-।

লেখক: মনোয়ার হোসেন ফয়সল
"আমি একজন সাধারন মানুষ,পেশায় চিকিৎসক। নিজেকে সাধারণ দাবি করার কারণ হচ্ছে আমি দেখতে সাধারণ আমার ক্যারিয়ারও সাধারণ। এখনও বড় ডাক্তার হই নাই আবার একদম জুনিয়রও নই। আমি মফস্বলের মানুষ স্কুল-কলেজ সবই ছোট্ট এক জেলা শহরের। মেডিকেলের পড়া পড়েছি ছোট-এক বিভাগীয় শহরের পুরনো এক মেডিকেল কলেজে। বাবাও একজন সাধারণ মানুষ, স্কুল শিক্ষক।

Saturday, July 20, 2019

আমাদের বাবুটা!

লেখক: Chand Sultana Chy

"আমাদের ফুটফুটে, দূরন্ত, নিস্পাপ বাচ্চা মো: ইরতিজা শাহাদ (প্রত্যয়)! আগামী ২৩ জুলাই যার ৭ বছর পূর্ণ হত। গত ০৫/০৭/২০১৯ ইং তারিখে স্কয়ার হাসপাতালে PICU (Paediatric Intensive Care unit)-এ ডেংগু জ্বরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় PICU-এর consultant Dr. Ahmed Syed-এর চরম অবহেলা, জরুরি সময়ে অনুপস্থিতি এবং Unskilled Duty Doctor-এর ডেঙ্গু জ্বরের একমাত্র চিকিৎসা Fluid Management-

Friday, July 19, 2019

মনে রেখ, স্রেব্রেনিৎসা!

লেখক: Nadia Islam
১৯৯৫ সালের ১১ জুলাইয়ের এক সকালে স্রেব্রেনিৎসার পতোচারি গ্রামের সকল পুরুষরে পিছমোড়া কইরা হাত বাইন্ধা এক লাইনে দাঁড় করায়ে গুলি কইরা হত্যা করা হয়। উনাদের কারো চোখ বাঁধা হয় না। উনাদের চোখ খোলা রাখা হইছিলো যেন উনারা নিজেদের হত্যাকারীরে চোখ দিয়া দেখতে পারেন, যেন বুঝতে পারেন কী অপরাধে উনাদের হত্যা করা হইতেছে! উনাদের হত্যা করা হইছে, কারণ উনাদের অপরাধ ছিলো, উনারা সবাই ধর্মীয় বিশ্বাসে মুসলিম ছিলেন।

৮ বছরের শিশু থিকা ৮০ বছরের বৃদ্ধ সহ প্রায় ২০,০০০ মুসলিম পুরুষরে মাত্র এক দিনে, ১৯৯৫ সালের ১১ জুলাইয়ের এক সকালে পিছমোড়া কইরা হাত বাইন্ধা এক লাইনে দাঁড় করায়ে হত্যা করে মিলোসোভিচের সার্বিয়ান অর্থোডক্স আর্মি। শুধুমাত্র উনারা সবাই ধর্মীয় বিশ্বাসে মুসলিম ছিলেন বইলা!

এই বছরের ১১ জুলাই আমি স্রেব্রেনিৎসাতে গেছিলাম। স্রেব্রেনিৎসার ৬ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পতোচারি গ্রাম। গ্রীষ্মের সকালে পাহাড়ের ঢালে দাঁড়ায়ে আমি যেইদিকেই তাকাইলাম, সেইদিকেই দেখলাম হাজার হাজার কবরের হাজার হাজার সাদা পাথরের টুম্বস্টোন দেখা যায়।

সেই টুম্বস্টোনের নিচে লাশ নাই, কারণ গণহত্যা শেষে উনাদের লাশ বেয়নেট দিয়া খোঁচায়ে ক্ষতবিক্ষত কইরা দেওয়া হয়, কুকুর এবং শেয়ালদের খাওয়ার জন্য সেই লাশ ফালায়ে রাখা হয় পাহাড়ের ঢাল জুইড়। তাই টুম্বস্টোনের নিচে লাশ নাই একটাও। আমি দেখলাম, একটা টুম্বস্টোনের পাশে হেলান দিয়া একজন ভদ্রমহিলা বইসা বইসা একমনে সুরা ইয়াসিন পড়তেছেন। উনার চোখভর্তি পানি। আমি তাকায়ে দেখলাম টুম্বস্টোনের গায়ে তারিখ লেখা। ১৯৮০-১৯৯৫। ভদ্রমহিলা আমার দিকে শূন্যদৃষ্টিতে তাকাইলেন। আমি কথা না বাড়ায়ে দ্রুত হাঁইটা গেলাম সামনে। দুপুরবেলা জানাজা নামাজ হইল।

এইরকম জানাজা নামাজ আমি এর আগে দেখি নাই। মুসলিম এবং দাড়ি টুপি হিজাবধারী থিকা শুরু কইরা অর্থোডক্স খ্রিশ্চান এবং ইহুদি ও শর্টস পরা, ট্যাটু করা সকল মানুষ একসাথে পাহাড়ের ঢালে বুকে হাত বাইন্ধা দাঁড়াইলেন। কেউ কইতে আসলেন না, মেয়েরা জানাজা নামাজ পড়তে পারবেন না, কেউ কইতে আসলেন না, মেয়েরা পুরুষদের আগে লাইনে দাঁড়াইতে পারবেন না, কেউ কইতে আসলেন না, ইহুদীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে সেজদা দিতে পারবেন না।

আমি শুনলাম, মৃত্যু উপতক্যার মাঝখানে পাহাড়ের দেয়ালে দেয়ালে ইমামের গলার স্বর প্রতিধ্বনিত হইতেছে, উনি বলতেছেন, “অন্যায়ভাবে হত্যা হওয়া পৃথিবীর সকল মানুষকে তুমি তোমার পাশে আসন দিও, আল্লাহ!”

আমি নিজের অজান্তে আমার অস্ত্বিত্বহীন ঈশ্বরের অস্তিত্বের বাসনায় হাত উঠাইলাম আকাশে! ভাবতে চাইলাম এই পৃথিবী ভালোবাসায় সৃষ্টি হওয়া পৃথিবী, ১৫ বছরের কিশোরের লাশহীন কবরের পাশে বইসা থাকা মায়েদের শূণ্যদৃষ্টির জন্য, পুরুষশূণ্য বিধবাদের গ্রামের জন্য, মর্টারে উইড়া যাওয়া কনসেনট্রেশান ক্যাম্পের রক্তের দাগে আঁকা আজকের মৃতদের হিসাবের জন্য, ধর্ম আর রাজনীতি আর সীমানা আর ক্ষমতার যুদ্ধে কংকালসার জীবন্ত লাশের সারির জন্য নিশ্চই এই পৃথিবীর সৃষ্টি হয় নাই!

আমি চোখ তুইলা দেখলাম, বার্চ গাছের আড়ালে দাঁড়ায়ে পনেরো বছরের একজন কিশোর কী জানি এক আপেল না কীসে কামড় দিতে দিতে আমার দিকে তাকায়ে মুচকি মুচকি হাসতেছেন।

Monday, July 15, 2019

ফ্রিডম অভ স্পিচ: সেকাল-একাল

লেখক: মোয়াজ্জেম হোসেন, বিবিসি বাংলা, লন্ডন।
'"আপনার কবিতা পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপানোর জন্য কী কোন নির্দেশ আছে'?
নয় বছরের শাসনামলে সেনাশাসক জেনারেল এরশাদকে কোন সংবাদ সম্মেলনে এরকম বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি সম্ভবত আর হতে হয়নি।

Tuesday, July 2, 2019

Gracias, Escribano!

Elias Escribano, ভারী অবাক হয়েছিল আমি তার অতি প্রিয় লেখক সারভান্তিসকে নিয়ে লিখেছে বলে [] কিন্তু সে তারচেয়েও বেশি অবাক করে দিল আমাকে হাবিজাবি এই সাক্ষাৎকারের লিংক খুঁজে দিয়ে। সেই কবে, 'গ্লোবাল ভয়েসেস' আমাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমি তো আর তখন (চুপিচুপি বলি, এখনও!) জানতাম না যে কেমন করে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। মাথায় যা এসেছিল তাই বলেছিলাম। শোনো কথা, ওটা আবার নাকি স্পেনিশ ভাষায় Juan Manzioni অনুবাদও করেছেন!