লেখক: | Sumon Rahman |
আমাকে মারতে পারবেন না, কারণ আমি কথা
বলি না, বাসে চড়ি না, মিছিলে হাঁটি না, স্ট্যাটাস লিখি না, পেঁয়াজ খাই না,
বাঁশের কেল্লা পেইজেও যাই না। চুপচাপ বিবরবাসী হয়ে আছি। মুখে জিপার আঁটা,
তাই এই রিজাইমে যেমন সমস্যা নাই, অন্য রিজাইমেও বেঁচেবর্তে থাকবো
সহিসালামতে। খোদা উঠায়া না-নিলে এই রাজনীতির জন্য আমি ন হন্যতে!
এমনি এক জীবন-ধারণের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছি। তো, আমাকে মারবেন কী প্রকারে?
কিন্তু এইসব ফাহাদ আবরার যখন মরতে থাকে, আমার দেহকোষগুলো আমাকে কামড়াতে
থাকে। আমার ক্রিটিক্যাল চিন্তা, আমাকে চাবকাতে থাকে। আমি তবু অবিচল থাকি।
চোখ বন্ধ করে রাখি। মনে মনে বলি, এটা এক্সেপশন। র্যানডম একটা ঘটনা।
কিন্তু
কেমন হবে যদি আমার সন্তান এমনি একটা ঘটনার র্যানডম স্যামপ্লিং হয়ে ওঠে?
আমার বন্ধ চোখের সামনে এমন একটা অ্যানিমেটেড দৃশ্য হাজির হয়, যেখানে আমার
সন্তানও বিশ্ববিদ্যালয় নামক টর্চারসেলে তার সহপাঠী নামধারী কিলারদের হাতে
মরে যায়! তার লাশ রিসিভ করার জন্য আমাকে খবর দেয়া হয়। আর তখনি আমি প্রাণপণে
মরতে চাইতে শুরু করি। তাৎক্ষণিকভাবে, আমার এই সুবিধাবাদী অমরতার শেল
ভেঙ্গে মরে যেতে চাই। যাতে ওর লাশ আমাকে রিসিভ করতে না হয়। যাতে আমার বেদনা
এইসব টিভি ক্যামেরা আর সোশ্যাল মিডিয়ার ভোগ্য না হয়ে ওঠে।
ফাহাদ আবরার তো মরেছে। কিন্তু দৈত্যটাকে আবার বোতলে ভরতে পারবেন তো?"
ফাহাদ আবরার তো মরেছে। কিন্তু দৈত্যটাকে আবার বোতলে ভরতে পারবেন তো?"
No comments:
Post a Comment