লেখক: Saalim Aurnab
"'করোনা' ভাইরাস
নয়, শক্তিশালী জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র! এই বিষয়টি নিয়ে ড. ফ্রান্সিস
বয়েলের দাবির আগে থেকেই চিন্তা করেছেন অনেকে। অনেকে হাস্যকর মনে করলেও
বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্ব-অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে শয়তানের দল এই কাজটা করেছে। গুপ্তগোষ্ঠী সিরিজ এর দ্বিতীয় বই গুপ্তগোষ্ঠী ইলুমিনাতি
লিখতে গিয়ে খেয়াল করেছি সার্স, অ্যানথ্রাক্স, রুবেলা ও বসন্ত রোগের জীবানু
কিভাবে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধনকুবের রথচাইল্ড পরিবার
ও তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বিশ্ব অর্থনীতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ করতে গিয়ে এর থেকেও প্রাণঘাতী নানা কুকর্ম করেছে। কিন্তু বছরের পর রয়ে গেছে পর্দার অন্তরালে।
অন্যদিকে যদ্দুর জানা যায় 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড' ভয়ঙ্করতম করোনাভাইরাসের জন্মদাতা চীনের উহানের বায়োসেফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর। লজ্জার বিষয় হচ্ছে এই জঘন্য কথাটি আগে থেকেই জানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইও)। আন্তর্জাতিক একটি সাংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মার্কিন আইনজীবী, রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল।
ও তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বিশ্ব অর্থনীতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ করতে গিয়ে এর থেকেও প্রাণঘাতী নানা কুকর্ম করেছে। কিন্তু বছরের পর রয়ে গেছে পর্দার অন্তরালে।
অন্যদিকে যদ্দুর জানা যায় 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড' ভয়ঙ্করতম করোনাভাইরাসের জন্মদাতা চীনের উহানের বায়োসেফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর। লজ্জার বিষয় হচ্ছে এই জঘন্য কথাটি আগে থেকেই জানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইও)। আন্তর্জাতিক একটি সাংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মার্কিন আইনজীবী, রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল।
তাঁর হিসেবে, শক্তিশালী রাসায়নিক মারণাস্ত্র করোনাভাইরাস,
ছড়িয়েছে উহানের ল্যাব থেকেই। তারপর জিনের গঠন বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে
নোভেল করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে ৩৮০ বার জিন বদলেছে নোভেল করোনাভাইরাস। ফলে
সাধারণ করোনার থেকে এর বিষ অনেক বেশি যা নিছক কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ নয়
বরং ভয়ানক জীবানু অস্ত্র পরীক্ষার ফল। মূলত উহানের ইনস্টিটিউট অব
ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক
মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের
সংক্রমণ। অন্যদিকে সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার
চেষ্টা।
বিশেষ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে, উহানের এই বায়োসেফটি লেভেল
ফোর ল্যাবোরেটরিকে সুপার ল্যাবোরেটরির তকমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা। বলা হয়েছিল, এই ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি
সুরক্ষিত ও নিরাপদ। ল্যাবোরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উইং যার বাইরের
পরিবেশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু যতদূর জানা গিয়েছে সার্স ও ইবোলা
প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল এই রিচার্স ল্যাব থেকেই। সেখানে রোগ প্রতিরোধ নয় বরং
প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত রয়েছে গবেষকরা। তাদের এই অন্যায়
কর্মকাণ্ডের পরিণতি বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মৃত্যু।
লজ্জার বিষয়
হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাসের কিভাবে জিনগত বদল ঘটানো হয়েছে এবং উহানের এই
ল্যাবোরেটরি থেকেই যে ভাইরাস ছড়িয়েছে সেটাও জানেন 'ডব্লিউএইচও'র অনেক
গবেষক। মূলত কানাডার ল্যাব থেকে করোনা চুরি করেছে চীন। তারপর তারই জিনগত
বদলে তৈরি হয়েছে নোভেল করোনা যা আর কিছুই না নতুন ধাঁচের জৈব রাসায়নিক
মারণাস্ত্র। মার্কিন সিনেটর টম কটন দাবি করেছেন চীন জীবাণুযুদ্ধের জন্য
বানাচ্ছিল ওই ভাইরাস।
২০১৫ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়া তাদের রিপোর্টে
দাবি করেছিল, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ভয়ঙ্কর, প্রাণঘাতী সব ভাইরাস
নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। এর অর্থ জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে ক্রমশ
ঝুঁকছে বেইজিং। এই ফলাফল হিসেবে এর আগেও অনেক ধরণের সংক্রমণ ঘটেছে। কিন্তু
সুকৌশলে সেগুলো লুকিয়ে ফেলেছে চীন। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ চীন থেকে ঘটলেও
এখন সেখানে সংক্রমণ নেই। তার মানে তারা এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিল
আগেই। কিন্তু হঠাৎ ভাইরাস ছড়িয়ে গেলে তাদের পক্ষে তা সামাল দিতে কষ্ট হয়ে
যায় কিছুটা।
আমাদের দেশের অনেক বিশ্লেষক চীনের কর্মতৎপরতা নিয়ে
লিখছেন। হা হুতাশ করছেন আমাদের অবস্থা নিয়ে। তাদের বোঝা উচিত ভাইরাস
ছড়ানোর আগে থেকেই চীন প্রস্তুত ছিল। তাই তারা এত দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণ
করতে পেরেছে। এগুলো বোঝার জন্য পণ্ডিত হতে হয় না, চোখ-কান খোলা রাখলেই হয়।
চিন্তা করে দেখুন, এই করোনাতে কার কি হয়েছে কে জানে। সবদিক থেকে লাভবান
চীনই। কারণ তাদের দেশে বাইরের বিনিয়োগকারীদের সব কোম্পানি এখন নামমাত্র
মূলে কিনে নিচ্ছে চীন সরকার। যা এক অর্থে আগামী এক দশকে বিশ্ব অর্থনীতির
পরাশক্তির চেয়ারে বসিয়ে দেবে চীনকে।"
No comments:
Post a Comment