রাষ্ট্র যার আরেক নাম পিতা, কেমন করে অন্যায় করে এর একটা উদাহরণ হতে পারে এটা। গত মাসের
২৩শে মার্চ তৈরি পোশাক কারখানায় ছুটি হবে কি না- জানতে চাইলে মূখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস
বলেন, “পোশাক কারখানায় যারা কাজ করেন, তারা কারখানা ও তাদের জায়গায় থাকেন, যেটি নিবিড়
পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা জানিয়ে তিনি
বলেন, সে ক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে”।
শুয়োররা দেখুক, কীভাবে এঁরা ঢাকায় এসেছে!
একটা দেশ সম্বন্ধে জানার জন্য সেই দেশের এয়ারপোর্ট-বুদ্ধিজীবীদের-চালবাজির পানে তাকানোটাও জরুরি। যেমন, আমাদের বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবাল সাহেব হরতাল নিয়ে একবার বলেছিলেন, 'হরতালে আমি শিক্ষা বিভাগ মুক্ত চাই'।
অতি উত্তম কিন্তু এই বুদ্ধিজীবী মহোদয় খানিকটা বুদ্ধি খরচ করলেন না যে হরতালে ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা থেকে সিলেটে যাবে কেমন করে!
তো, এখনও আমাদের বুদ্ধিওয়ালারা মাথা ঘামাননি যেখানে গণপরিবহণ বন্ধ সেখানে এই গার্মেন্টসকর্মীরা শত-শত মাইল দূরে যাবে কেমন করে?
এই যেমন ল্যাকক আনিসুল হক বলছেন, '...এরা কীভাবে ঢাকা চলে এল...আমি তো এই বিষয়ে বলার কেউ না...' ব্লা-ব্লা-ব্লা।
খোকা কবে বড় হবে!
আহারে খোকাবাবু,
মেয়র সাইদ খোকন স্পেসস্যুট লাগিয়ে বলছেন, '...শ্রমিকরা যে ঢাকা চলে আসছে কতটুকু ইতিবাচক হতে পারে আর নেতিবাচক প্রভাব যদি পড়েই...'। লুকটা ইতিবাচক-নেতিবাচক চেনেন না।
আহারে, স্পেসস্যুটবাবু!
আবার কিছু চুতিয়া মিডিয়া বলছে, ঢাকাগামি মানুষকে আটকানো যাচ্ছে না। ওহে, তুমি ডুডু খাও, জান না এঁরা কেমন শখে ঢাকা আসছে!
শ্লা...!
পোকাপড়া শরীরে কিছু পোকা মরে এই সমস্ত দৃশ্য দেখলে। আহারে-আহারে...
সেদিনই আমাদের
কফিনে ঠুকে দেওয়া হলো।
এরপর ১০দিনের ছুটি ঘোষণা হলো। লগডাইন, না ছুটি? আমাদের সাব-কনশাস মাইন্ডে ঢুকে গেল, ছুটি, গরম গরম রুটি…। অনেকে গাদাগাদি করে ঢাকা থেকে যার যার বাড়িতে চলে এলেন। কিন্তু গার্মেন্টসের বিষয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়ে গেল। এঁরা অনেকে বাড়ি গেলেন। বাড়ি থেকে আবার অনেক গার্মেন্টসের লোকজন তলব পেয়ে আবারও ঢাকায় ছুটলেন। এঁরা একটা গিনিপিগের মতো পরীক্ষা-নিরিক্ষার মধ্যে দিয়ে এঁরা গেলেন। ৪০ লাখ গিনিপিগ!
এরপর ১০দিনের ছুটি ঘোষণা হলো। লগডাইন, না ছুটি? আমাদের সাব-কনশাস মাইন্ডে ঢুকে গেল, ছুটি, গরম গরম রুটি…। অনেকে গাদাগাদি করে ঢাকা থেকে যার যার বাড়িতে চলে এলেন। কিন্তু গার্মেন্টসের বিষয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়ে গেল। এঁরা অনেকে বাড়ি গেলেন। বাড়ি থেকে আবার অনেক গার্মেন্টসের লোকজন তলব পেয়ে আবারও ঢাকায় ছুটলেন। এঁরা একটা গিনিপিগের মতো পরীক্ষা-নিরিক্ষার মধ্যে দিয়ে এঁরা গেলেন। ৪০ লাখ গিনিপিগ!
কাল থেকে
আবারও তলব। গণপরিবহন সব বন্ধ। একটু চোখ বন্ধ করে আমি নিজেকে এদের জায়গায় একটু কল্পনা
করছি। চোখ খুলে আমি নিজেই নিজেকেই অভিশাপ দেই, পোকা পড়ুক শরীরে।
এখন বিজিএমই-এর
সভাপতি গার্মেন্টস সরকারী ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে গর্মেন্টস বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি
অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি সম্ভবত ‘হাইবারড্রাইভে’ ছিলেন, মাত্র জেগেছেন। ইতিমধ্যে লক্ষ-লক্ষ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকা
চলে গেছেন।টিভিতে নামকরা লোকজনেরা এখন যখন বলছেন, আপনারা ছয় ফিট দূরে থাকুন…টিভির
উপর বমি করে দিতে ইচ্ছা করছে।
একটা দেশ সম্বন্ধে জানার জন্য সেই দেশের এয়ারপোর্ট-বুদ্ধিজীবীদের-চালবাজির পানে তাকানোটাও জরুরি। যেমন, আমাদের বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবাল সাহেব হরতাল নিয়ে একবার বলেছিলেন, 'হরতালে আমি শিক্ষা বিভাগ মুক্ত চাই'।
অতি উত্তম কিন্তু এই বুদ্ধিজীবী মহোদয় খানিকটা বুদ্ধি খরচ করলেন না যে হরতালে ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা থেকে সিলেটে যাবে কেমন করে!
তো, এখনও আমাদের বুদ্ধিওয়ালারা মাথা ঘামাননি যেখানে গণপরিবহণ বন্ধ সেখানে এই গার্মেন্টসকর্মীরা শত-শত মাইল দূরে যাবে কেমন করে?
এই যেমন ল্যাকক আনিসুল হক বলছেন, '...এরা কীভাবে ঢাকা চলে এল...আমি তো এই বিষয়ে বলার কেউ না...' ব্লা-ব্লা-ব্লা।
খোকা কবে বড় হবে!
আহারে খোকাবাবু,
মেয়র সাইদ খোকন স্পেসস্যুট লাগিয়ে বলছেন, '...শ্রমিকরা যে ঢাকা চলে আসছে কতটুকু ইতিবাচক হতে পারে আর নেতিবাচক প্রভাব যদি পড়েই...'। লুকটা ইতিবাচক-নেতিবাচক চেনেন না।
আহারে, স্পেসস্যুটবাবু!
আবার কিছু চুতিয়া মিডিয়া বলছে, ঢাকাগামি মানুষকে আটকানো যাচ্ছে না। ওহে, তুমি ডুডু খাও, জান না এঁরা কেমন শখে ঢাকা আসছে!
শ্লা...!
পোকাপড়া শরীরে কিছু পোকা মরে এই সমস্ত দৃশ্য দেখলে। আহারে-আহারে...
1 comment:
Post a Comment