আগে চোরাবেটা চুরি করত, ভয়ে-ভয়ে। আদুল গায়ে বিস্তর তেল-টেল মেখে। ধরা পড়লে খালি গা চুপচুপে তেলের কল্যাণে যদি বাঁচা যায়। ডাকাতরা অবশ্য এইসবের ধার ধারত না তবে লোকজন হারে-রেরে-রে-রেরে করে তেড়ে আসলে 'উক্কা দৌড়'। যারা খানদানি তাদের কথা সামান্য আলাদা। মানির মান বলে কথা-তারা পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে দু-চারটা ফাঁকা গুলি ফুটিয়ে যেত।
সেসব সেকালের কথা। এখনকার নিয়ম অনেকখানি আলাদা।
বৈদেশের চালু লোকজনেরা গ্রে-হাউন্ডের নাম শোনেননি এমনটা যেমন বিরল তেমনি বৈদেশ প্লাস আমাদের দেশের চালু লোকজনেরা গ্রে এডভারটাইজিং-এর নাম শোনেননি এমনটাও বিরল।
গ্রে-বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার এবং কান্ট্রি হেড, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন। ইনি কেবল সৈয়দ 'ভংশের' লোকই না একজন তুখোড় লিডারও। লিডারশিপ কেমন করে শিখতে হয় এটা তিনি শেখান।
সোশ্যাল মানুষদের এখন স্যোশাল মিডিয়ায় থাকার নিয়ম তাই যথারীতি তিনি আছেন এখানেও। ৩৫৭১৭ জন মানুষ ওনার ফলোয়ার! অগা-বগা না দেশের অধিকাংশ নামকরা লোকজনেরা।
বৈদেশের চালু লোকজনেরা গ্রে-হাউন্ডের নাম শোনেননি এমনটা যেমন বিরল তেমনি বৈদেশ প্লাস আমাদের দেশের চালু লোকজনেরা গ্রে এডভারটাইজিং-এর নাম শোনেননি এমনটাও বিরল।
গ্রে-বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার এবং কান্ট্রি হেড, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন। ইনি কেবল সৈয়দ 'ভংশের' লোকই না একজন তুখোড় লিডারও। লিডারশিপ কেমন করে শিখতে হয় এটা তিনি শেখান।
সোশ্যাল মানুষদের এখন স্যোশাল মিডিয়ায় থাকার নিয়ম তাই যথারীতি তিনি আছেন এখানেও। ৩৫৭১৭ জন মানুষ ওনার ফলোয়ার! অগা-বগা না দেশের অধিকাংশ নামকরা লোকজনেরা।
সৈয়দ গাউসুল আলম একটা লেখা প্রসব করলেন। এই লেখায় প্রায় ৮২১জন মানুষ লাইক-লুইক দিলেন এবং ১৭৮জন মানুষ লেখাটা শেয়ার করলেন। কেন না? এমন চমৎকার একটা লেখা পড়ে আমারও এক চোখে পানি অন্য চোখে জল চলে এলো। লেখাটা আসলেই অসাধারণ।
ঘটনাটা হচ্ছে মার্চ ২৮, ২০২০ করোনাকালে!
কিন্তু...।
ওই যে বললাম কিন্তু। একটা কিন্তু রয়ে গেল। সালেকিন নামের এই ভদ্রলোক এখানে মন্তব্য করে জানালেন তাঁর লেখাটা কপি-পেস্ট করে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুমতি তো দূরের কথা কোথাও মূল লেখক জনাব, সালেকিনের নামও উল্লেখ করা হয়নি।
এখানে জনাব, সালেকিনের মূল লেখা। এই লেখাটা তিনি লিখেছিলেন সৈয়দ সাহেব মানে সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের ৪ দিন পূর্বে! ২৪ মার্চ, ২০২০ করোনাকাল!
ভয়ংকর তথ্যটা হচ্ছে সৈয়দ সাহেব জাস্ট নিজের নামে পুরো লেখাটা চালিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য এমন ঘটনা পূর্বে ঘটেনি এমন না আমরা যারা ব্লগস্ফিয়ারে পুরনো তারা এটা বিলক্ষণ জানি।
কিন্তু...। আবারও কিন্তু!
পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম সৈয়দ সাহেব বন্ধু-ফলোয়াররা হচ্ছেন, 'হোমড়া-চোমড়া, চোমড়া-হোমড়া' টাইপের লোকজন। এঁদের একজন জনাব নবনীতা চৌধুরি। ইনি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পরিচিত মুখ- রাজকাহন ইত্যাদি ইত্যাদি। হরদম ন্যায়-অন্যায় কপচে বেড়ান। শুনতে ভাল লাগে। আমোদিত হই।
যেখানে লেখাটার মূল লেখক জনাব, সালেকিন এর প্রতিবাদ করেছেন ঠিক তার নীচেই চৌধুরি ম্যাম নবনীতা চৌধুরি সৈয়দ সাহেব সৈয়দ গাউসুল আলমের সঙ্গে এখানে বিস্তর মন্তব্য চালাচালি করছেন, তারা নাকি মেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু আসলে একই মায়ের পেটের ভাই-ভইন। কিন্তু ভুলেও এই শিল্পিত কর্মকান্ড নিয়ে মুখ খোলা দূরের কথা হাঁ-ও করেননি!
এরপর আরও অনেকেই এখানে বিভিন্ন মন্তব্য চালিয়ে গেছেন কিন্তু মুখ সামান্য ফাঁকও করেননি যাতে অন্তত ছোট্ট একটা মাছিও গলে!
শম্পা নামের একজন অতি বিনয়ে বলছেন, 'ক্যান আই শেয়ার দিস'? অনেকটা এই রকম আপনার বাবুটারে একটু বাইরে ঘুরাইয়া নিয়ে আসি?
অতি সজ্জন সৈয়দ সাহেব বলছেন: মহতরমা 'শম্পা, অবশ্যই'। মানে দাঁড়াইল, হে-হে-হে, জ্বিও-জ্বিও। বাবু যাও, আন্টির সঙ্গে খেলা করো গে।
দৃশ্যপটটা দাঁড়াল এমন, জনাব, সালেকিন তাঁর লেখা নামের সন্তানের জন্য সৈয়দ ভংশের স্থাপিত সৈয়দ মঞ্জিলে দাঁড়িয়ে আছেন ঝোলা হাতে। সৈয়দ মঞ্জিলে নাচাগানা হচ্ছে সুবেশধারি 'লুকজনেরা' আসা-যাওয়া করছেন কিন্তু কেউ জনাব, সালেকিনের সঙ্গে বাতচিত করতে আগ্রহ বোধ করছেন না। আহারে, সন্তানের পিতা!
এ এক অভূতপূর্ব...অতি বিচিত্র! অতি বিচিত্র এই দেশ, ততোধিক বিচিত্র এই দেশের মানুষ!
No comments:
Post a Comment