আমি পূর্বের অনেক লেখায় বলেছি একটা দেশকে চেনার জন্য প্রথমেই তাকাতে হবে ওই দেশের বুদ্ধিজীবীদের পানে। এরা সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলছেন নাকি গাজীকে পাজি, পাজিকে গাজি বলছেন। আমাদের পোড়া এই দেশে সেই গাটসওয়ালা সেই বলসওয়ালা 'এমন লুকের' বড় অভাব!
এই দুঃখ মোর দূর হয়েছে। আহা, কী আনন্দ আজি...। 'সেই লুক' আমাদের গুণ দাদা। আভূমি নত হই, দাদা। আমাগো নির্মলেন্দু গুণ [১], [২], [৩], [৪]।
এই দুঃখ মোর দূর হয়েছে। আহা, কী আনন্দ আজি...। 'সেই লুক' আমাদের গুণ দাদা। আভূমি নত হই, দাদা। আমাগো নির্মলেন্দু গুণ [১], [২], [৩], [৪]।
আমাদের গুণ দাদা এই 'এসটাটাশ' প্রসব করেছেন। তাঁর এই প্রসববেদনার প্রতি আমার গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। যদিও জাফরুল্লাহ সাহেব কোথাও এটা দাবী করেননি যে এটা বিজন শীল না তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। তারপরও আমাদের গুণ দাদা মুখ চুন করে যেভাবে আব্দুল-জব্বরদের আমদানী করলেন এটা আমাদেরকে খুব একটা টানে না কিন্তু এরপর তিনি যা প্রসব করলেন তাঁর এই' প্রসববেদনার ফুল' হয়ে যায় ফুল-চন্দন।
তিনি বললেন, "হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগের কবি..."। সে তো আমরা জানি, দাদা। কিন্তু আপনি যে নিজের মুখে স্বীকার গেলেন এই জন্য আপনাকে লাল সেলাম। বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের যেটা স্বীকার করার সাহস নাই সেটা আছে আমাদের দাদার মধ্যে। দাদার জয় হোক।
সহায়ক সূত্র:
সহায়ক সূত্র:
২. গুণবান গুণ: https://www.ali-mahmed.com/2012/11/blog-post_28.html
৩. সমকামিতা: https://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_3336.html
৪. দ্য কাউ ইজ আ ডমেস্টিক এনিমেল: https://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_3443.html
...আপডেট: ২৯.০৬.২০২০
অন্য কেউ হলে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আমি অন্য একটা লেখা লিখতাম। কিন্তু কাউকে-কাউকে নিয়ে লেখা আমার কাছে মনে হয় স্রেফ অপচয়, শব্দের অপচয়!
আমি কবিবরের এই বক্তব্যকে অভিনন্দন জানাতাম তবে ছোট্ট একটা কথা আছে। আচ্ছা ধরুন, করোনা নিয়ে একটা জরুরি আলাপ চলছে, আনুষ্ঠানিক একটা সভা-সেমিনার টাইপের। তো, ওখানে একজন টেবিলে উঠে গাইতে লাগলেন, 'পান্জাবিওয়ালা রে বুকে বড় জ্বালা রে'। বাংলাদেশের আইনে তো আর গান গাওয়া নিষেধ নাই। তাহলে? ওটাই কথা, এখানে এভাবে কেউ গাইবে না।
আমাদের দেশের প্রথম সারির একজন বুদ্ধিজীবী যাকে এই প্রজন্ম অনুকরণ করবে, শিখবে- এভাবে এমন একজন মানুষ বললে মানুষটাকে আমার স্রেফ আনরোব-নগ্ন মনে হয়! বুঝলেন দাদা, একজন বয়স্ক মানুষতে নগ্ন দেখতে ভাল লাগে না!
কবিদাদার ভাব-ভঙ্গির সঙ্গে খানিকটা পরিচয় আছে বিধায় এই মানুষটার প্রতিক্রিয়া আমি অনুমান করতে পারি: আপনে আমারে নিয়া মাথা ঘামানের কেডা? আপনের অসুবিদা কী!
হে-হে-হে, অসুবিদা একটু আছে। দাদা, সবিনয়ে ছোট্ট একটা ঘটনা বলি। এক মহিলা ছিলেন পাজি টাইপের। রাতে কী-কী করতেন সেটা আলোচ্য বিষয় না। কিন্তু সকাল-সকাল গোসল করতেন, পুকুরে। কাপড়-টাপড় একেবারেই ঠিক থাকত না। পাশ দিয়েই বাজারে যাওয়ার রাস্তা। মহিলার নগ্ন হয়ে গোসল করা নিয়ে কোন সদাশয় ব্যক্তি বিরক্ত প্রকাশ করলেই ওই মহিলা গলা দু-ধাপ উঁচু করে বলতেন, 'ওই ...ব্যাডা, তোর চোক খারাপ- তোরে কইসে কেডা আমার দিকে তাকাইতে...'।
No comments:
Post a Comment