কেউ-কেউ অন্য রকম ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেন- অন্যরা চেষ্টা করলেই তা পান না। এমনই এক ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নিয়েছেন ড. জাফর ইকবাল। এ-ও ফের, ক্ষমতার ফের- কারও কিসসুটি করার নাই। গ্রামের একটা চালু কথা আছে।
এক লোককে একজন বলছে, 'কি-ও মিয়া, কান্দ ক্যান'?
এক লোককে একজন বলছে, 'কি-ও মিয়া, কান্দ ক্যান'?
মানুষটির উত্তর: 'ভাইরে, কী করুম ক-ও! আল্লাহ চেহারাই বানাইছে এমন, কাইন্দইন্না মার্কা'।
জাফর ইকবাল কিশোরদের মাথা নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নিয়েছেন। এটা যে কী বিপুল ক্ষমতা! জাফর ইকবালের লেখা পড়ে এমন একটা কিশোর তার বাপের চেয়ে এই লেখকের কথায় গুরুত্ব দেবে। জাফর ইকবাল 'কাশগোঁফ' সরিয়ে এই কিশোরটির মাথায় উঁকি মেরে দেখেন। কল্পনা করা যায়!
কিছুদিন পূর্বে তিনি শিশু-কিশোরদের একটা বাণী দিলেন:
পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি কিশোরদের বলেন, '...তোমরা সবাই বাসায় গিয়ে টুথপেষ্ট দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নেবে, যেহেতু এই দেশের নামটা মুখে নিয়েছ। ঠিক আছে'?
না স্যার, ঠিক নাই। আপনি ঘৃণার বীজ বপণ করছেন। তাও কাদের মাথায়, কিশোরদের। যাদের মাথা এখনও এই ঘৃণার মধ্যে বসবাস করার জন্য তৈরি না। আপনি এই কিশোরদের প্রতি অন্যায় করছেন, ভয়াবহ অন্যায়। আবেগ ভাল জিনিস কিন্তু ওটা 'এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি' হলে সমস্যা হয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধে আপনার বাবার মৃত্যু হয়েছে এই বেদনা আপনাকে তাড়া করবে এ বিচিত্র না। কিন্তু আপনি ওই বেদনার দ্রোহ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে কেন যাননি আমি সেই প্রশ্ন করব না। আমি মনে করি, সবাই কেবল অস্ত্র হাতেই যুদ্ধ করবেন এমনটা নাও হতে পারে। যেমন, কোন নারী যুদ্ধ করেছেন তাঁর শরীর দিয়ে [০]। আফতাব আহমদ[১] যুদ্ধ করেছেন ক্যামেরা দিয়ে, এ এক ভয়ংকর অস্ত্র।

এই সব ছোট-ছোট বাচ্চাদের যুগের-পর-যুগ ধরে আপনি মগজ ধোলাই করছেন। কেমন করে তাদের অজান্তেই দানব বানাচ্ছেন তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই:
এ খুব ব্রাইট একটা ছেলে। বহু বছর ধরে উন্নত একটা দেশে পড়াশোনা করেছে। সে একটা লেখা লিখল তার ছোট বেলা থেকেই নাকি খুব শখ তার হাতে নিউক্লিয়ার বোমা থাকলে সে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ শহরটা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে[৩]। ৩০ লাখ মানুষ মেরে ফেলবে। কারণ পাকিস্তান ১৯৭১ সালের আমাদের ৩০ লাখ মানুষ মেরে ফেলেছে। এ এক চলমান দানব! ভয়ংকর দানব!
আহা, যেমন শিষ্য তেমন গুরু! শিষ্য তার গ ুরু জাফর ইকবালকে ছাড়িয়ে গেছে! গ ুরু অমর হওয়ার কাতারে চলে গেলেন। কী আজব, এরা একবারও ভাবছেন না যে, ১৯৭১ সালে যারা এই নৃশংসতা চালিয়েছিল তাদের অনেকেই এখন মৃত! আর এখন যারা আছে এদের অধিকাংশরই ১৯৭১ সালে জন্মও হয়নি। এখন ঠান্ডা মাথায় একটা শহরের ৩০ লক্ষ শিশু, কিশোর মহিলা, বৃদ্ধকে মেরে ফেলতে হবে। হা ইশ্বর! পারলে সেই ৯৩০০০ সৈনিকের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান। দেশে যারা তাদের দোসর ছিল তাদের বিচার করেন।
আহা, যেমন শিষ্য তেমন গুরু! শিষ্য তার গ ুরু জাফর ইকবালকে ছাড়িয়ে গেছে! গ ুরু অমর হওয়ার কাতারে চলে গেলেন। কী আজব, এরা একবারও ভাবছেন না যে, ১৯৭১ সালে যারা এই নৃশংসতা চালিয়েছিল তাদের অনেকেই এখন মৃত! আর এখন যারা আছে এদের অধিকাংশরই ১৯৭১ সালে জন্মও হয়নি। এখন ঠান্ডা মাথায় একটা শহরের ৩০ লক্ষ শিশু, কিশোর মহিলা, বৃদ্ধকে মেরে ফেলতে হবে। হা ইশ্বর! পারলে সেই ৯৩০০০ সৈনিকের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান। দেশে যারা তাদের দোসর ছিল তাদের বিচার করেন।
ওই যে বললাম, এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি দিলে যা হয় আর কী! জাফর ইকবাল মহোদয়, আপনার বিষয়টাও হয়েছে অনেকটা এমন। একবার বললেন ফুটবল খেলায় অন্য দেশের জাতীয় পতাকা লটকিয়ে ভরিয়ে ফেললে সমস্যা নাই সাথে আমাদেরটা লাগিয়ে দিলেই হবে [৪]। নিজেকে দেশপ্রেমিক বোঝাবার অপচেষ্টা আর কী!
আপনি মানুষটা লেজারগান দিয়ে চড়ুই শিকার করেন। তুলতুলে মেরুদন্ডটা একটু সোজা করে হরতাল মানি না এটা জীবনভর বলতে পারলেন না। মিউ মিউ করেই গেলেন কেবল:
সাদাসিধে কলামে লিখেছিলেন, "তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই" শিরোনামে, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হরতালের আওতামুক্ত রাখা যায় না? হরতালের দিনেও ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবে…' [৫]।"
শোনো কথা, চিন্তার প্রসারতা! 'তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই', আহারে, আমার এক চোখে জল এক চোখে পানি চলে এল! হরতালে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ থাকবে তা একজন শিক্ষার্থী কী পালকিতে করে যাবে নাকি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটা ধার করবে!
আপনি মানুষটার মধ্যে ভান জিনিসটা প্রবল। যেমন ধরুন, আপনি এটা নিয়ম করে বলবেন, 'আমার বাসায় টেলিভিশন নাই-আমার বাসায় টেলিভিশন নাই-আমার বাসায় টেলিভিশন নাই', সেই কারণে এটা-ওটা দেখতে পারিনি। পারলে...হে-হে-হে! কী আজব, বাসায় কেউ টেলিভিশন রাখবে না তো কেউ বদনা। এখন এটা জনে-জনে, ক্ষণে-ক্ষণে বলার দরকারটা কী যে আমার বাড়িতে বদনা নাই। বা বলবে, হাঁই তুলে আমি হাই-কমোড ব্যবহার করি। এটা তো যার-যার ব্যক্তিগত অভিরুচি!
স্যার, আর কত বার? এটা পড়তে-পড়তে আমার নিজেরই চুল পেকে গেছে! আপনার ক্লান্তি লাগে না?
বা 'আমি এই খবর পড়তে পারিনি, এই ভিডিও দেখতে পারিনি', কারণ আমার এতো সাহস নাই-আমার এতো সাহস নাই-আমার এতো সাহস নাই। নাই তো নাই! এটা বলে-বলে আমাদের কানের পোকা একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছেন। সবিনয়ে বলি, আপনার মনটা যখন এতোই ন-রো-ম আপনার জাগতিক জগতে থাকার আবশ্যকতা কী। আপনি ১৯৭১ সালের মত একটা ট্রেঞ্চ বানিয়ে ওখানে বসে থাকুন না। আটকাচ্ছে কে!
শোনো কথা, চিন্তার প্রসারতা! 'তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই', আহারে, আমার এক চোখে জল এক চোখে পানি চলে এল! হরতালে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ থাকবে তা একজন শিক্ষার্থী কী পালকিতে করে যাবে নাকি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটা ধার করবে!
আপনি মানুষটার মধ্যে ভান জিনিসটা প্রবল। যেমন ধরুন, আপনি এটা নিয়ম করে বলবেন, 'আমার বাসায় টেলিভিশন নাই-আমার বাসায় টেলিভিশন নাই-আমার বাসায় টেলিভিশন নাই', সেই কারণে এটা-ওটা দেখতে পারিনি। পারলে...হে-হে-হে! কী আজব, বাসায় কেউ টেলিভিশন রাখবে না তো কেউ বদনা। এখন এটা জনে-জনে, ক্ষণে-ক্ষণে বলার দরকারটা কী যে আমার বাড়িতে বদনা নাই। বা বলবে, হাঁই তুলে আমি হাই-কমোড ব্যবহার করি। এটা তো যার-যার ব্যক্তিগত অভিরুচি!
স্যার, আর কত বার? এটা পড়তে-পড়তে আমার নিজেরই চুল পেকে গেছে! আপনার ক্লান্তি লাগে না?
বা 'আমি এই খবর পড়তে পারিনি, এই ভিডিও দেখতে পারিনি', কারণ আমার এতো সাহস নাই-আমার এতো সাহস নাই-আমার এতো সাহস নাই। নাই তো নাই! এটা বলে-বলে আমাদের কানের পোকা একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছেন। সবিনয়ে বলি, আপনার মনটা যখন এতোই ন-রো-ম আপনার জাগতিক জগতে থাকার আবশ্যকতা কী। আপনি ১৯৭১ সালের মত একটা ট্রেঞ্চ বানিয়ে ওখানে বসে থাকুন না। আটকাচ্ছে কে!
একবার শুনলাম, যে প্লেন পাকিস্তানের উপর দিয়ে যায় সেই প্লেনে আপনি নাকি 'টেরাবুল' করেন না। সত্যি নাকি, স্যার! ওয়াল্লা, কখনও যদি মশিঁয়ে জাফর প্লেনের খোলা জানালায় মুখ বাড়িয়ে দেখেন প্লেন পাকিস্তানের উপর দিয়ে যাচ্ছে তাহলে কি লাফিয়ে পড়বেন, তুষারগোঁফসহ? লাফিয়ে পড়লে সমস্যা নাই কিন্তু যার উপর পড়বেন সেই মানুষটাকে নিয়ে আমি চিন্তিত!
শোনেন, হের জাফর ইকবাল, অতিরিক্ত ভক্তি মগজ গলিয়ে দেয়! দয়া করে এই প্রজন্মকে শোনান সাদি মহাম্মদের কথা [৬]। ১৯৭১ সালে তাঁর পরিবারের ২৫জনকে খুন করা হয়েছিল।
শোনান, মশিহুর রহমানের কথা [৭]। যিনি তাঁর লোকজনকে অরক্ষিত রেখে পালিয়ে যাননি। একে-একে তাঁর হাত-পা কেটে ফেললেও পাকিস্তানিদের দেওয়া কাগজে তিনি সই করেননি!
সুরুয মিয়া। ঠিক ১৬ ডিসেম্বরে এই মুক্তিযোদ্ধা কেন আত্মহত্যা করেছিলেন [৮]? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। পারলে তাঁর পরিবারের দোকান চালাবার জন্য দুইটা টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েন।
একজন আগুনমানুষ উক্য চিংয়ের কথা [৯]। যিনি ধর্ষণের প্রতিবাদে পাকিস্তানি সৈনিকদের ধরে-ধরে পুরষাঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রেখেছিলেন।
এক দুলা মিয়ার [১০] সত্য গল্প। যে মানুষটার কথা শুনে এই প্রজন্ম শ্বাস বন্ধ করে রাখবে। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে হাত দিয়ে সেটা চেপে অনবরত গুলি করেই যাচ্ছেন। আর শ্লা, আমাদের দেশে নাকি নাটক-সিনেমার স্ক্রিপ্টের অভাব!
ভাগরথীর কথা [১১]। তাঁর অকল্পনীয় ত্যাগের কথা। যে ভয়ংকর অস্ত্র নিয়ে তিনি লড়াই করেছিলেন, তাঁর শরীর দিয়ে! পাকিস্তান আর্মি নামের পশুরা তাঁর দু-পা দুই দিকে বেঁধে দুই দিকে জিপ চালিয়ে দিয়েছিল! স্রেফ তাঁর দেহটা দু-ভাগ হয়ে যায়।
শোনান, মশিহুর রহমানের কথা [৭]। যিনি তাঁর লোকজনকে অরক্ষিত রেখে পালিয়ে যাননি। একে-একে তাঁর হাত-পা কেটে ফেললেও পাকিস্তানিদের দেওয়া কাগজে তিনি সই করেননি!
সুরুয মিয়া। ঠিক ১৬ ডিসেম্বরে এই মুক্তিযোদ্ধা কেন আত্মহত্যা করেছিলেন [৮]? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। পারলে তাঁর পরিবারের দোকান চালাবার জন্য দুইটা টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েন।
একজন আগুনমানুষ উক্য চিংয়ের কথা [৯]। যিনি ধর্ষণের প্রতিবাদে পাকিস্তানি সৈনিকদের ধরে-ধরে পুরষাঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রেখেছিলেন।
এক দুলা মিয়ার [১০] সত্য গল্প। যে মানুষটার কথা শুনে এই প্রজন্ম শ্বাস বন্ধ করে রাখবে। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে হাত দিয়ে সেটা চেপে অনবরত গুলি করেই যাচ্ছেন। আর শ্লা, আমাদের দেশে নাকি নাটক-সিনেমার স্ক্রিপ্টের অভাব!
ভাগরথীর কথা [১১]। তাঁর অকল্পনীয় ত্যাগের কথা। যে ভয়ংকর অস্ত্র নিয়ে তিনি লড়াই করেছিলেন, তাঁর শরীর দিয়ে! পাকিস্তান আর্মি নামের পশুরা তাঁর দু-পা দুই দিকে বেঁধে দুই দিকে জিপ চালিয়ে দিয়েছিল! স্রেফ তাঁর দেহটা দু-ভাগ হয়ে যায়।
আহা, একই রেকর্ড আর কত বাজাবেন? এই প্রজন্মকে আর কত বিভ্রান্ত করবেন? আহা, ছোট-ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে কী 'কুতকুত' খেলেন, বড়দের সঙ্গে খেলেন, ডুয়েল? সামনা সামনি চোখে চোখ রেখে।
আচ্ছা, জনাব, জাফর ইকবাল, আপনি তো অনেক বড় 'বুদ্ধিরগাছ'। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ভূমিকা আপনার জানা আছে। আছে না? মনে পড়ে, আমেরিকা কী-কী যেন ৭টা নৌকা নিয়ে এসেছিল, না? যেটার আপনারা কীসব গালভরা নাম দেন, সপ্তম নৌবহর!
আচ্ছা মহোদয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি আর্মিকে কারা যেন অস্ত্র দিয়েছিল আমাদেরকে হত্যা করার জন্য বা ওই যে ৯৩০০০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করার পর ওদের সেই অস্ত্রগুলেই-বা কোথায় গেল এই সত্যটাও এই প্রজন্মকে একটু বলিয়েন।
ওই সময় আমেরিকার কূটনীতিকরা পর্যন্ত আমেরিকার অন্যায়-আগ্রসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর দেখো দিকি কান্ড, আপনাদের চোখে আমেরিকার অন্যায় ধরা পড়ে না!
"১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত আইডিএস বুলেটিনের (ভলিউম ৯, নং ১) ১২ পৃষ্ঠায় রেফারেন্স থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অন্তত চারটি ডিভিশনের অস্ত্রশস্ত্র, ভারী কামান, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সাজসরঞ্জাম ও যানবাহন নিয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিবাদ করলে টোকেন হিসাবে কিছু পুরনো অস্ত্র ফেরত দেওয়া হয়।
...ব্রিগেডিয়ার মিশ্র ঢাকা ক্যান্টনম্যান্ট থেকে ফ্রিজ, আসবাবপত্র, ক্রোকারিজ ইত্যাদি সামরিক-বেসামরিক সামগ্রী ট্রাকে করে ভারতে পাচার করেছিলেন।...
...উল্লেখ্য ওই জিনিসপত্র বেসামরিক ট্রাকে থাকায় তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে এসেছিল। কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই ভারতীয় সামরিক যানগুলো চেক করার কোনও সুযোগ আমাদের ছিল না"-একজন জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য/ মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব:) বীরবিক্রম পৃষ্ঠা: ১৯-২০
ওই সময় আমেরিকার কূটনীতিকরা পর্যন্ত আমেরিকার অন্যায়-আগ্রসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর দেখো দিকি কান্ড, আপনাদের চোখে আমেরিকার অন্যায় ধরা পড়ে না!
শোনেন, এটা হচ্ছে, নিক্সন ১৯৭১ সালের ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে নিজের হাতে চিঠি জানিয়ে ছিল: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য যা করেছেন আগামী প্রজন্ম ইয়াহিয়ার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। এই চিঠিটা তখন লেখা যখন ইয়াহিয়া আমাদের দেশের লোকজনকে কচুকাটা করছে। নৃশংসতা দানবকেও ছাড়িয়ে গেছে।
টানা-টানা হাতের লেখা তো, আমাদের মত সাধারণদের বুঝতে অনেকখানি সমস্যা হয়। হে শিক্ষক, আপনি যদি আমেরিকায় গিয়ে ইংরাজিটা ভাল করে ঝালাই করে নিতেন তাহলে ভাল করে পড়তে পারতেন। আহারে-আহারে, ভুলেই গেছি আপনি তো আর আমেরিকা 'টেরাবুল' করবেন না?
অ, ভাল কথা, পাকিস্তানের নৃশংসতা যখন ছাড়িয়ে যাচ্ছিল তখন কংগ্রেস বিচলিত হয়েছিল এ সত্য। তখন দয়াময় কিসিঞ্জার বলেছিলেন, কংগ্রেসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠাতে বাধার সম্মুখিন হলে চীনের মাধ্যমে পাকিস্তানে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নেবে। (রেকর্ড গ্রুপ ৫৯, পিপিসি এস/পি, ডিরেক্টর্স ফাইলস [উইন্সটন লর্ড], বক্স ৩৩০)
কী মুশকিল, আপনি তো আবার টিভি-টুভি দেখেন না। ব্লাড টেলিগ্রামে কী বলেছিল এটা একটু দেখে নিয়েন:
এটাও শোনেন:
ওহো, আপনি বুঝি আপনার বানানো গপ্পোগুলো আমাদেরকে বিশ্বাস করতে বলছেন। ইউ মাস্ট বি কিডিং! টেলিগ্রাফ পড়ুন। ওই সময়, ওই সময়কার ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেননিথ কিটিংয়ের।
অ আচ্ছা, আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, এক স্মারকপত্রে কিসিঞ্জার লিখেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে এবং বড় বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে।
হে আলোর কুপি, 'বিচ্ছিন্নতাবাদি' কাদের বলে জানেন তো! হে প্রবলপুরুষ, এই কারণে কিসিঞ্জারকে একটু বকে দেবেন না?
সেনর, জাফর ইকবাল, ঘৃণায় এখন আপনি নিশ্চয়ই আমেরিকাগামী প্লেন থেকে লাফ দেবেন না হয়তো কিন্তু কখনও আমেরিকা যাবেন না এটা নিশ্চিত, আই বেট। বেড়াবার জন্য তো দূরের কথা 'ল্যাকাপড়া-ন্যাকাপড়া-ইসটাডি' করার জন্যও? এই গল্পটাও কিন্তু এই প্রজন্মকে একটু শোনাবেন, প্লিজ। আপনার হাতে ধরি।
কী মুশকিল, আপনি তো আবার টিভি-টুভি দেখেন না। ব্লাড টেলিগ্রামে কী বলেছিল এটা একটু দেখে নিয়েন:
আর ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের নিক্সন এবং কিসিন্জারের কথোপকথনের অডিওটা একটু শুনে নিয়েন। আহা, সবটা শুনতে হবে না- আপনি তো আবার ভারী ব্যস্ত মানুষ। ৪ মি. ২৬ সে. থেকে শোনেন:
ওহো, আপনি বুঝি আপনার বানানো গপ্পোগুলো আমাদেরকে বিশ্বাস করতে বলছেন। ইউ মাস্ট বি কিডিং! টেলিগ্রাফ পড়ুন। ওই সময়, ওই সময়কার ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেননিথ কিটিংয়ের।
হে আলোর কুপি, 'বিচ্ছিন্নতাবাদি' কাদের বলে জানেন তো! হে প্রবলপুরুষ, এই কারণে কিসিঞ্জারকে একটু বকে দেবেন না?
সেনর, জাফর ইকবাল, ঘৃণায় এখন আপনি নিশ্চয়ই আমেরিকাগামী প্লেন থেকে লাফ দেবেন না হয়তো কিন্তু কখনও আমেরিকা যাবেন না এটা নিশ্চিত, আই বেট। বেড়াবার জন্য তো দূরের কথা 'ল্যাকাপড়া-ন্যাকাপড়া-ইসটাডি' করার জন্যও? এই গল্পটাও কিন্তু এই প্রজন্মকে একটু শোনাবেন, প্লিজ। আপনার হাতে ধরি।
মানলাম, আপনি চিঁ-চিঁ করে কী বলবেন। ১৯৭১ সালে আমেরিকা ভুল করেছিল এটা ভেবে-ভেবে এরা পরে লজ্জায় 'ছুট্টু' হয়ে গিয়েছিল। আসুন ১৯৭৪ সালে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭৪ সালে যে দূর্ভিক্ষ হলো ওটায় যে আমেরিকার ভূমিকা ওটা কী আপনার জানা না? এতো বড় একজন 'শিকখিত' মানুষ আপনি, না জানার তো প্রশ্নই উঠে না। ডেইলি মিররের প্রতিনিধি জন পিলজারের ভিডিওটা একটু দেখে নেবেন দয়া করে।
দমিনাস, জাফর ইকবাল, আপনি তো আবার এই সব দেখার জন্য সাহস যোগাড় করতে পারেন না। ভারী মুশকিল হলো দেখি! একটু জোর লাগাকে, হেইয়ো, দেখেন-দেখেন। আমেরিকা খাদ্যকে কেমন করে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিল। ১৯৭২ সালে মাত্র একবারই কিউবার কাছে ৪০ লাখ পাটের চট বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ। এই অজুহাতে আমেরিকা বাংলাদেশকে দূর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছিল।
অভাবে মানুষ গাছের শেকড় চিবিয়েছে। আমেরিকার পোষা নেড়িকুত্তা ব্রিটেন কেমন করে আমাদের লোকজনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে সহায়তা করেছিল সেটাও একটু জানুন। ত্রাণকাজে দুইটা হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছিল না এক বছর ধরে। খুচরা যন্ত্রাংশ ব্রিটেন আমাদেরকে দেয়নি। একটা যন্ত্রাংশের দাম কত জানেন? মাত্র ৫০ পেন্স। আপনি এক হপ্তা যে টয়লেট পেপার ব্যবহার করেন এরচেয়ে খুব বেশি না।
আর ব্রিটেনের গুণ গাওয়ার আগে নুন খাওয়ার পরে এই প্রজন্মকে এটাও জানাবেন এরা হচ্ছে স্রেফ একটা চোর-চোট্টা। এখনও রাণীর মুকুটে যে রত্ন এটা আমাদের এখান থেকে লুট করা [***]। সঙ্গে এটাও একটু জানাবেন, এরা কেমন সভ্য ছিল। বিশেষ প্লায়ার্স তৈরি করেছিল। ওটা দিয়ে দাস নামধারী একজন মানব সন্তানের টেস্টিকল ক্রাশ করত এরপর কেটে দিত। কী গা শিউরে উঠে না, আমাদের বাতিঘর!
আর ব্রিটেনের গুণ গাওয়ার আগে নুন খাওয়ার পরে এই প্রজন্মকে এটাও জানাবেন এরা হচ্ছে স্রেফ একটা চোর-চোট্টা। এখনও রাণীর মুকুটে যে রত্ন এটা আমাদের এখান থেকে লুট করা [***]। সঙ্গে এটাও একটু জানাবেন, এরা কেমন সভ্য ছিল। বিশেষ প্লায়ার্স তৈরি করেছিল। ওটা দিয়ে দাস নামধারী একজন মানব সন্তানের টেস্টিকল ক্রাশ করত এরপর কেটে দিত। কী গা শিউরে উঠে না, আমাদের বাতিঘর!
সময় করে এমা রথচাইল্ডের অতি বিখ্যাত 'ফুড পলিটিক্স' বইটায় একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন।
![]() |
FOOD POLITICS/ Emma Rothschild P:296 |
আর আমেরিকানরা আমাদের দেশ থেকে খাদ্য কিনে-কিনে কেমন করে নদীতে ফেলে দিত এটাও তো জানা আবশ্যক, কী বলেন, মহাশয় [*]?
আহা-আহা, মহতরম জাফর ইকবাল, আপনি এদিক-ওদিক মাথা নাড়ছেন, গোঁফসহ। জানি-জানি কী বুদ্ধি আঁটছেন। হে-হে-হে, বলবেন এরা তো আর নিজ হাতে কাউকে মারেনি। সে তো গোলাম আজমও [১২] মারেনি! তাই বলে কী গোলাম আজম অপরাধি না? অবশ্যই অপরাধি। আমি হাঁই তুলে ধার করা কথাটা বলি, নিজ হাতে হত্যা করা আর হত্যা করার সিদ্ধান্ত দেওয়া, প্ররোচিত করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। বরং যারা সিদ্ধান্ত দেন প্ররোচিত করেন তারা অজস্র মানুষ মারতে পারেন। আমার কথা পরিষ্কার, কে ১৯৭১ সালে অপরাধ করল আর কে ২০২১ সালে, অপরাধি তো অপরাধিই। সাদাকে সাদা-কালোকে কালো।
আহা-আহা, মহতরম জাফর ইকবাল, আপনি এদিক-ওদিক মাথা নাড়ছেন, গোঁফসহ। জানি-জানি কী বুদ্ধি আঁটছেন। হে-হে-হে, বলবেন এরা তো আর নিজ হাতে কাউকে মারেনি। সে তো গোলাম আজমও [১২] মারেনি! তাই বলে কী গোলাম আজম অপরাধি না? অবশ্যই অপরাধি। আমি হাঁই তুলে ধার করা কথাটা বলি, নিজ হাতে হত্যা করা আর হত্যা করার সিদ্ধান্ত দেওয়া, প্ররোচিত করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। বরং যারা সিদ্ধান্ত দেন প্ররোচিত করেন তারা অজস্র মানুষ মারতে পারেন। আমার কথা পরিষ্কার, কে ১৯৭১ সালে অপরাধ করল আর কে ২০২১ সালে, অপরাধি তো অপরাধিই। সাদাকে সাদা-কালোকে কালো।
'আমেরিকা' নামের বইটায় আপনি লিখেছেন:
"(হার্ব হেরনিকসন) 'হ্যাঁ, মনে নেই, তোমাদের স্বাধীনতার সময় আমরা যে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম-সেইজন্য যদি কেউ আমাদের এখনও শত্রুপক্ষ মনে করে।'
(জাফর ইকবাল) আমি হেসে বললাম, আমাদের দেশে পাকিস্তান যা করেছে সেজন্য তাকে এদেশের মানুষ কোনোদিন ক্ষমা করবে না। কিন্তু তোমাদেরকে আমরা এতদিনে ক্ষমা করে দিয়েছি।
সত্যি?
সত্যি।" (-আমেরিকা / মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠা: ১১৪, প্রকাশ: ১৯৯৭)"...কিন্তু তোমাদেরকে আমরা এতদিনে ক্ষমা করে দিয়েছি।..."
"ক্ষমা করে দিয়েছি..."? কী সর্বনাশ! ১৯৯৭ সালে এমন অভূতপূর্ব ঘটনাটা ঘটল আমরা জানলুম না, লজ্জা-লজ্জা। আমরা দেখি বিরাট ক্ষমাওয়ালা জাতি! যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা পাকিস্তানিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল আমাদেরকে হত্যা করার জন্য সেই 'ব্লাডি ফাকিন গাই'-কে আমরা গৃহপালিত গাই বানিয়ে ফেললাম, বাহ! ১৯৭১ সালের ভুমিকার জন্য আমরা আমেরিকাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
হু দ্য হেল য়্যু আ (র), ড. জাফর ইকবাল, কে আপনাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? কোন-কার সূত্র ধরে আপনি এমন একটা কথা এই প্রজন্মকে গেলাবার চেষ্টা করছেন? কবে দেশে এই নিয়ে ভোটাভুটি হল নাকি আপনি একাই ভোট দিলেন! পাস-পাস সব পাস! আমেরিকা পাস-দালাল পাস!
আমেরিকা- শিট অভ দ্য মিউল, আমাদের চেতনা শেখায়! অন্তত এই ছবিটা দেখার পর যে-কোনও চেতনাবাজের চেতনা আর রেকটাম জড়াজড়ি হয়ে যাবে:
বোমা চেনেন, স্যার? বোমা? আপনার 'পেয়ারে আমরিকা' ভিয়েতনামে যে বোমা ফেলেছিল এই কালো-কালো ডটগুলো একেকটা বোমা। আর এই বোমাগুলো একেকটা মাত্র ১০০০ পাউন্ডের!
শেষ কথা, ডিয়ার চেতনা স্যার, আপনি যে-রকম অমায়িক দেশপ্রেমিক এতে আমাদের এখন আর কোন সন্দেহ নেই। আপনি নিজে জীবনেও আমেরিকা যাবেন এটা আমাদের বিশ্বাস হয় না। আর আপনার সন্তানদের পদধুলি বা পদকাদাও যে আপনি আমেরিকায় পড়তে দেবেন না এই গল্পটাও এই প্রজন্মতে একটু শোনাবেন, প্লিজ।
আমরা অপেক্ষায় আছি। বাদ্য বাজাও, ওই আসে মহামানব...।
আমরা অপেক্ষায় আছি। বাদ্য বাজাও, ওই আসে মহামানব...।
০. প্রিনছা খেঁ: https://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_27.html
১. সব যুদ্ধ স্টেনগান দিয়ে হয় না: https://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_2292.html
২. জাফর ইকবালের ট্রেঞ্চ!: https://www.ali-mahmed.com/2020/05/blog-post.html
৩. দানব: https://www.ali-mahmed.com/2018/04/blog-post_29.html
৪. দেশপ্রেমিক: https://www.ali-mahmed.com/2018/07/blog-post_7.html
৫. জাফর ইকবালের রঙিন চশমা: https://www.ali-mahmed.com/2018/04/blog-post_14.html
৬. সাদি মহাম্মদ: https://www.ali-mahmed.com/2013/07/1971.html
৭. মশিহুর রহমান: https://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_06.html
৮. ১৬ ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা: https://www.ali-mahmed.com/2009/08/blog-post_02.html
৯. উক্য চিং: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_8752.html
১০. দুলা মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_08.html
১১. ভাগিরথী: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_6057.html
১২. গোলাম আজম: https://www.ali-mahmed.com/2007/07/blog-post_3179.html
**মাত্র স্যারকে নিয়ে লেখাটা শেষ করলাম। কপাল, স্যারের এই মাত্র এই লেখাটাও পড়লাম। আহ, কেউ-কেউ কখনও বদলায় না।* "মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা যে নানা উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্য কিনে এবং সেগুলো নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল, এর প্রমাণ সাংবাদিক পরেশ সাহার বইয়েও উল্লেখ আছে। পরেশ সাহার ভাষায়, ‘১৯৭৪ সালের ভয়াবহ বন্যার পর আমি বাংলাদেশে যাই। তখন ঢাকার অন্তর্গত সাভার বন্দরের জনৈক ব্যবসায়ী আমাকে জানান, তিনি ক’টি বিদেশি সংস্থাকে চাল সরবরাহ করতেন। তাকে বলা হয়েছিল, ওই সংগৃহীত চাল বাংলাদেশের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বিতরণ করা হবে। কিন্তু তিনি জানতে পেরেছেন, ওই চাল দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি, বাংলাদেশের খাদ্য সংকট আরও শোচনীয় করার জন্য ওইসব চাল সুন্দরবনের নদীগর্ভে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গোপন সূত্র থেকে ওই খবর পাবার পর তিনি বিদেশি সংস্থাকে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেন'।"
লেখাটা তিনি শুরুই করেছেন এভাবে, চীনারা বলে গেছে সব দোষ পাবলিকের। দোষ আমাদের আছে, বেশ! আর বাকীসব 'বেহেস্তের বড়িপাতা'!
বুদ্ধিজীবী মানুষ তো তিনি হয়তো ভাত খান চীনাদের হাত দিয়ে। তাও চীনাদের বক্তব্য অর্ধেক বলেছেন, অর্ধসত্য! তারপরও স্বীকার করে নিলুম সব দোষ আমাদের। স্যার বলেছেন বলে কথা।
ড. জাফর ইকবাল, এই পরিবারটাকে দেখেন। ১২ দিন ধরে এরা করোনা পরীক্ষা করাবার জন্য রাস্তায়। কেন? আহা, কেন আবার, রঙ্গে!
এই দেখেন, স্যার। কাচাপাকা ভ্রু সরিয়ে আপনার চশমাটা একটু ঠিক করুন। বাচ্চাটাকে নিয়ে মা-বাপ দৌড়াচ্ছে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। কেন? ওহো, কেন আবার, ঢংগে!
আর বাবাটার পা থেকে যে জুতাটা খুলে রাস্তায় পড়ে আছে, সেটা? সেটা-সেটা! সেটা আবার কেন? আমাদের গালে মারার জন্য...।
... ... ...
১২.০৯.২০
জনাব, কাদের সিদ্দিকী, যিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধর সময় একটা ইতিহাস ছিলেন, পাকিস্তানি আর্মির কাছে এক ত্রাসের নাম ছিলেন তিনি ড. জাফর ইকবারের বাবাকে শহীদ আখ্যা দেওয়া বিষয়ে তাঁর কঠিন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন:
2 comments:
ফালতু একটা মানুষ"
কি তথ্যবহুল লেখা :()
Post a Comment