সাইফুল আজম। এক নক্ষত্রের পতন! এই প্রজন্ম এই নক্ষত্রকে চেনেই না, মায় মিডিয়া পর্যন্ত! নামকরা এক নিউজ পোর্টাল দেখলাম গতকাল তাঁর মৃত্যুতে (আমি বলি, খোলস বদলের দিন) তাঁকে নিয়ে লেখা ছেপেছে, সংগ্রহীত। মানে সোজা, নিজেদের করোটিতে কিছু নাই! দেশই যাকে যথার্থ সম্মান দেয়নি মিডিয়া কোন ছার!
গতকালই এক মুক্তিযুদ্ধ গবেষককে দেখলাম, লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর (Saiful Azam) অবদান নেই কেবল তাই না তিনি ইচ্ছা করেই ১৯৭১সালে বাংলাদেশে যুদ্ধের জন্য আসেননি এবং তিনি ওখানে খুবই সুখে-শান্তিতে হালুয়াপুরি খেতে-খেতে বসবাস করছিলেন।আফসোস, এই সমস্ত গবেষকরা এখন লেখেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস! আসুন, আমরা একটু সাইফুল আজমের স্ত্রীর মুখে শুনি ওসময় আসলে কী ঘটেছিল?
সাইফুল আজম কেবল আটকই হননি। ওসময়ে জন্ম নেওয়া তাঁর মেয়েকে হারিয়েছিলেন! ও আচ্ছা, ওঁর স্ত্রীর মুখে শুনলে হবে না আবার। তাতে গবেষণা ব্যহত হয়! তা আমাদের দেশের এয়ারফোর্সে কী বলা হচ্ছে:
ঋণ: Saeed Milton |
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমান এক সাক্ষাৎকারে (সাপ্তাহিক ২০০০, ১৮.০৩.০৫) বলেছিলেন:
"...ফ্লাইং করার অনুমতি মিলল না। সব বাঙালি অফিসারদের গ্রাউন্ডেড করে রাখা হলো। মতিকে করা হলো ফ্লাইট সেফটি অফিসার। No Flying কিন্তু প্রয়োজন হলে প্লেনের কাছে যেতে পারবে।"
(এই সুবিধার কারণে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জন্য প্লেন নিয়ে পালাবার সুযোগ এসেছিল)
চার-চারটি এয়ারফোর্সে সার্ভ করার বিশ্ব-রেকর্ড এই মানুষটির!
তাও আমাদের মত ছাতার ফেসবুকে বসে-বসে গবেষণা করে না, বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়ে:
সাইফুল আজম, এক আগ্নেয়গিরির নাম:
এমেরিকানরা পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছিল: এ ভলকানো, এ টপ-গান!
সাইফুল আজম, এক আগ্নেয়গিরির নাম:
এমেরিকানরা পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছিল: এ ভলকানো, এ টপ-গান!
এই প্রজন্ম টম ক্রজের টপ-গানের বিলক্ষণ খোঁজ রাখে কিন্ত আমাদের টপ-গান সাইফুল আজমের খোঁজ রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। আফসোস, বড়ই আফসোস! মননে দরিদ্র দেশের অতি দরিদ্র প্রজন্ম!
(এই ভিডিওটা হেডফোন লাগিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করি)
Living Eagel
প্যালেস্টাইনিরা
এই মানুষটার জন্য ভারী দুঃখিত হয়েছে। কেনই-বা করবে না! ওদের যে আমাদের আগুনমানুষ আজমের মত এমন-এক দেবদূতের প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন? যার মত টপ-গান এই ইসরাইলি পশুদেরকে
ছিন্নভিন্ন করের দেবেন।
"অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ অনেক হয়েছে এবার ধর্ষণ যুদ্ধ শুরু করতে হবে। গাজার ঘরে-ঘরে ঢুকে ওদের নারীদের ধর্ষণ করতে হবে। মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা কেউ যেন বাদ না যায়"।
6 comments:
এইসব আবর্জনা আমার এখানে পোস্ট করবেন না। ধন্যবাদ।
যতবার এইসব গবেষকদের আবর্জনা এখানে পোস্ট করবেন ততবার ঝাড়ু দিয়ে ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করব।
হা. মোচুয়া গভেষক সবই মেনে নিচ্ছে:
যুদ্ধে ইসরাইলীদের আক্রমনে সব আরব রাষ্ট্র নাস্তানাবুদ, সেই যুদ্ধে পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এক বাঙালী পাইলট জর্ডান এয়ারফোর্সের হয়ে ইসরাইলীদের জঙ্গী বিমান সব ধ্বংস করে দিয়ে পৃথিবীর সেরা ফাইটার পাইলটদের একজন হয়ে বসেছিলেন- কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই মানলাম।
১৯৭১ এ যখন নিজের দেশ শত্রু কবলিত তখন তিনি পাকিস্তান থেকে এসে দেশের এয়ারফোর্সের দায়িত্ব নিতে পারলেন না, বহু সামরিক অফিসার পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেও তিনি পারলেন না। মানলাম।
যুদ্ধ শেষে আটকে পড়া বহু বাঙ্গালী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আফগানিস্তান হয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি ফিরেননি। তিনি ফিরেছেন ১৯৭৪ সালে শিমলা চুক্তির আওতায় নিশ্চিত নিরাপদে। মানলাম।
১৯৭৭ এ তিনি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অবস্থায় বিপুল সংখ্যক বিমান সেনাকে হত্যা করেছে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। তার হাতে এই রক্ত লাগানো নাই। তাও মানলাম।
পাকিস্তান প্রত্যাগত বেশীরভাগ সেনা অফিসারের মতো তিনিও বিএনপির রাজনীতি করেছেন, সংসদ সদস্য হয়েছেন। এটাও মানলাম।
কিন্তু তিনি ১৯৭১ এ পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হয়ে নির্যাতিত হচ্ছিলেন, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমানের সাথে তিনিও পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চেয়েছিলেন- এইসব রূপকথা কিন্তু মানবোনা।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর আর এই ভদ্রলোক সেসময় দুই আলাদা শহরের বিমান ঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন।
শহীদ মতিউর রহমানের কবরে ’গাদ্দার’ লিখে রাখা হয়েছিলো পাকিস্তানে চার দশক ধরে, এখনো আমাদের মতিউর রহমানকে তারা গাদ্দারই বলে। আর এই ভদ্রলোক মারা যাবার পর পাকিস্তানী ফোরামে ফোরামে কান্নার রোল উঠে, পাকিস্তান এয়ার চীফ শোকবার্তা পাঠায়। নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামানদের ফাঁসীর পরও পাকিস্তানে কান্নার রব উঠেছিলো, সংসদে গৃহীত হয়েছিলো শোক প্রস্তাব।
এইসব বাস্তবতার ইংগিত না বুঝে আপনি রূপকথায় বুঁদ হয়ে থাকেন আপত্তি নাই কিন্তু এগুলোকে সত্য ইতিহাস বলে প্রচারে আসবেন না। ইতিহাস গালগল্প না, ইতিহাস তথ্য প্রমান।
@Anonymous ওরফে মুখোশধারী, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা হচ্ছে স্রেফ 'শব্দের অপচয়'! আমি অপচয় করতে পছন্দ করি না। আপনার খুরাঘাত অন্যত্র কোথাও...!
Post a Comment