শাহেদনামা:
শাহেদ নামের এই মানুষটার একটা ঠ্যাং আমার। আরে না, এটা মুরগিসংক্রান্ত ঘটনা না যে কপাকপ করে খেয়ে ফেললাম। কসম, ভরা-বাজারে সবার সামনে ঠ্যাং ধরে কদমবুসি- সালাম করার জন্য। শাহেদ স্যারকে নিয়ে যদি মুভি তৈরি করা হয়, 'আমি শাহেদম্যান, ক্যাচ মি মাই ঠ্যাং', এটার পাশে হলিউডের 'ক্যাচ মি ইফ ইয়্যু ক্যান' দাঁড়ানো দূরের কথা এক টেবিলে বসতে সাহস করবে না!
এই মানুষটার বিরুদ্ধে এত মামলা যে মনে রাখাই কঠিন তাই রাষ্ট্রও ভুলে গেছে। এতে রাষ্ট্রকে দোষ দেওয়া চলে না। আরে ভাই, রাষ্ট্র তো আর নিজে-নিজে চলে না মানুষ চালায়। শাহেদ ভুলে গেলে রাষ্ট্রের মানুষরাও দুর্বল গ্রে-হালুয়ার (যার চালু নাম গ্রে মেটার) কারণে বিস্মৃত হয়েছিল এটা হতেই পারে।
আর যে পত্রিকা এই নিউজটা করেছে এরাই আবার শাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা করে দেওয়ার জন্য কাপড় খুলে দিচ্ছে:
শাহেদ স্যার দেশ নিয়ে কাজ করতে-করতে-করতে ক্লান্ত হবেন না বুঝি! একটু হাওয়া-বদল তো করা লাগতেই পারে।
সাজেক যাওয়ার সময় তাই পুলিশ তাকে প্রটেকশন দিতেই পারে। তাই তো ওয়াকিটকিতে তাকে বলতে শোনা গেল, না আর্মি না পুলিশ প্রটেকশন দিচ্ছে। আর্মি কেন তাকে ওই সময় প্রটেকশন দিল না আমি এর নিন্দা জানাই, একজন নিয়মিত ট্যাক্সপেয়ি হিসাবে।
'তৃতীয় ফাত্রা' (আমি লজ্জিত, বানান ভুল হয়েছে!)-এর আমাদের জিল্লুর মিয়া। তিনি এই মানুষটাকে ডেকে নিয়ে এসেছেন 'মাত্রামি' বা মতান্তরে ফাত্রাামি করার জন্য।
আরে বাবা, বুঝলুম তো, আটক। কিন্তু আটকে তো আর রাখতে পারেনি। তাহলে এতে বড় গলা করে এটা বলার কী আছে। হাহ, আটক! 'ছাতাফাতাটক'!
এই যে দেখেন আমাদের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রায়বাবু। কী অমায়িক চে...া!
কেবল রায়বাবু কেন সাদা গোঁফ-বাদামি গোঁফ-পাতলা গোঁফ-ধুসর গোঁফসহ (কারণ এটা বাড়িতে রেখে আসা যায় না) এখানে আমাদের মিডিয়া ভাইয়ারা অনেকেই আছেন:
মন্ত্রীদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি আমার আলাদা সমীহ আছে কারণ এই মানুষটা কেবল উচ্চ শিক্ষিতই নন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানও। মহোদয়ে প্রতিটি শব্দ আমার কাছে একেকটা ইটের মতই ভারী।
তিনি বলেছেন, 'রিজেন্টের অনিয়ম সরকারই উদঘাটন করেছে, অন্য কেউ নয়'। এটার একটু সোজা করলে আমাদের বুঝতে খানিক সুবিধা হয় যেমন ধরুন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্বন্ধে বলা হল, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এসেছে তারা কিন্তু পড়তেই এসেছে অন্য কারণে নয়। ক্লিয়ার এন্ড আউট।
আরেকটা অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন আমাদের তথ্যমন্ত্রী মহোদয়, 'সাহেদ বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন'। সে নাহয় মেনে নিলুম কিন্তু 'হাওয়া ভবন' তো সেই কবেই হাওয়া হয়ে গেছে! এখন তো ২০২০ সাল। হাওয়া-হাওয়া, ও হাওয়া, বলার সুযোগ কোথায়! এদিকে বিবিসি করছে চর্বিতচর্বণ...।
এখানে সাক্ষাৎকারে আমাদের তথ্যমন্ত্রী মহোদয় এ-ও বলছেন, 'আমরা তদন্ত করে দেখেছি সে আমাদের কোনও কমিটিতে কখনই ছিল না, তবে পরিচয় দিত'।
এটা একটা অসাধারণ কথা আমরা জানলাম। যেমন ধরুন, আমি যদি এখন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হিসাবে দাবী করি বা পরিচয় দেই তাহলে মনে হয় না এতে অপনাদের কারও গাত্রদাহ হবে। অন্তত আমি চুরি-চামারিতে ধরা যদি না-পড়া পর্যন্ত।
আপনারা বলবেন, আহা কেউ লুকিয়ে-টুকিয়ে এই পরিচয় দিলে...। হে-হে-হে, এইটার নাম ইলেকট্রনিক মিডিয়া এটা আমি ব্যতীত এই দেশের আরও লোক দেখে বলেই আমার ধারণা। এখানে তো সাফ-সাফ লেখা আছে, "মো. শাহেদ, সদস্য আন্তর্জাতিক কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ"।
আরেক ডক্টর সাহেবও অন্য ডক্টর সাহেবের সুরেই কথা বলছেন।
এদিকে শাহেদ স্যার যে হুংকার দিয়েছিলেন মিডিয়ায় এটা দেখে নিশ্চই দূর্নীতিবাজদের কাপড় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল:
শাহেদের সঙ্গে দেশের নামকরা মানুষদের ছবি উঠানো নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই। আমিও একবার কিশোরবেলায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে 'ছবি খিঁচিয়ে ছিলাম'। ভোয়ার একটা অনুষ্ঠানে ওই ভদ্রলোক এসেছিলেন তখন পাশের বন্ধুকে বলেছিলাম ঝট-ফট-কট করে কাজটা করে ফেলবি। তো আমার বরাবর ভদ্রলোককে দেখা গিয়েছিল। ব্যস, কেল্লাফতে! সে ভিন্ন বিষয় রাষ্ট্রদূত আমার দিকে তাকিয়ে নেই, আমার সঙ্গে মুসাফা করেননি। তাতে কী! আমার সঙ্গে ছবিতে আছেন...।
এখানে তো মনে হচ্ছে শাহেদ স্যার আমাদের প্রসিডেন্ট সাহেবের সঙ্গে খুব অনিচ্ছায় হাত মিলিয়েছেন।
এটা আমার ভাল লাগল না, বিরক্ত হলাম। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছবি উঠাবার জন্য শাহেদ বারবার পোশাক পরিবর্তন করেছেন। 'ইট্টু দাঁড়ান' বলে সেনাপ্রধানকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। সেনাপ্রধানের সময় নষ্ট হল। কেবল এই কারণে শাহেদ স্যারের প্রতি নিন্দা জানাই।
শাহেদ স্যার লাল গালিচায় গার্ড অভ অনার-টনার টাইপের কিছু একটা নিচ্ছেন সম্ভবত!
শাহেদ স্যারকে মোটাসোটা দেখে ভাববেন না যে তিনি ভেতরে-ভেতরে ফাঁকা। কেউ পাওনা নিয়ে ঝামেলা করলে তিনি মারামারিতেও কামেল লোক। মারামারি না, মারামারি তো ভদ্রলোকরা করে না- তিনি করেন 'কনুইমারিমারা'!
আফসোস, শাহেদ নামের এই গুয়ের বাক্সটা শেষ অবধি স্কুলের কমলমতি বাচ্চাদের কাছেও পৌছে গেল:
ভিডিও ক্লিপটা পেতে সহায়তা করেছেন: Sagor Mahmud
এরা বাচ্চাগুলো জানতেও পারল না যে এ একটা আবর্জনা, স্রেফ আবর্জনা!
যে কারণে শাহেদের কপাল খুলল মানে তিনি আরও আলোচিত হলেন সেটা হচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষাসংক্রান্ত। তিনি হাজার-হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। বিনামূল্যে করার কথা অথচ টাকা নিয়েছেন আবার সরকারের কাছ থেকেও।
এই রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আমাদের শাহেদ স্যারকে। অথচ যোগ্যতা পরের কথা এই হাসপাতাল চালাবার জন্য কোন প্রকার অনুমতিই নেই। তাহলে যারা এই চুক্তি করেছেন শাহেদের সঙ্গে তাদের দায়?
নেই?
কেন?
এ এক কান্ড। শাহেদ সাহেবের ইস্তারি সাহেবা বলছেন অন্য কথা। ওনার স্বামী নাকি পাজি, অন্ধকারে রাখতেন, কিসসু জানতেন না ব্লা-ব্লা-ব্লা। এই নিয়ে মিডিয়ার প্রতিবেদন আসার পর অনেকে কাঁদতে কাঁদতে দেশে বন্যা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এই ছবি তো বলে অন্য কথা:
ছবিটি পেতে সহায়তা করেছেন: Shahadat Udraji |
অনেকে শাহেদের ধরা পড়া নিয়ে রাতে কম ঘুমাচ্ছেন। এই নিয়ে আমার হুদাহুদি আগ্রহ নেই। এ ধরা পড়লেই কী, না পড়লেই কী! ভয়ংকর যে বিষয়টা শাহেদের মত ৩২টা মামলার একজন ক্রিমিনাল আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজির মত মানুষদের ৩২ ফিটের ভেতর যায় কেমন করে? এ এক অসম্ভব-অকল্পনীয়-অভূতপূর্ব! নিরাপত্তার কথাই যদি ধরি তাহলে আমাদের সমস্ত সংস্থার গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনরা এত বছর কোথায় ছিলেন? এই যদি হয় অবস্থা তাহলে এই সব সংস্থার আদৌ প্রয়োজন কী!
আপডেট: ১৪.০৭.২০২০
আগের তথ্যগুলো বিভিন্ন সূত্র থেকে নেওয়া। ছবির বিষয়ে খানিকটা চিন্তায় ছিলাম ফটোশপ-টপ কিনা। এখনকার পোলাপানরা এতোটা বিচ্ছু! এখন অধিকাংশ ছবিগুলো শাহেদ স্যারের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া। এবং এখন মনে হচ্ছে শাহেদ স্যারের সঙ্গে যেটা হয়েছে তা না-ইনসাফি!
জুম্মা মুবারক দিয়েই তবে শুরু হোক।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের শাহেদ স্যার। তথ্য মন্ত্রী হাসিখুশি হলেও শাহেদ স্যারকে বিমর্ষ দেখাচ্ছে!
ডিএমপি কমিশনারের সেল-ফোনে শাহেদ স্যার যেভাবে উঁকি মারছেন স্যোসাল মিডিয়ার আইডির পাসওয়ার্ড জেনে গেলে তো মুশকিল!
অতিরিক্ত আইজিপির চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পাওয়ার অ.আইজিপি মহোদয় যেমন উৎফুল্ল তেমনি আমাদের শাহেদ স্যারও।
যার জন্য কামনা করছেন সুস্থতা তাঁর মুখে অমায়িক হাসি কিন্তু শাহেদ স্যারকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি নিজেই সুস্থ নেই!
মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মেয়ের বিয়ের পার্টি বলেই হয়তো আমাদের শাহেদ স্যারের মুখে এক ফালি হাসি।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহেদ বিষয়ে বলেছেন শাহেদ নিজে এসে ধরা দিতে নইলে কিন্তু... পাকড়াও করা হবে!
আচ্ছা, আপনারাই বলুন মহান বিজয় দিবসে মহান বঙ্গভবনে এই মহান মানুষটা কেমন করে ৩২টা মামলার আসামী হয়!
পাঠক, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে আমরা শাহেদ স্যারকে পেয়েছি কিন্তু বিমানবাহিনী প্রধান মিসিং। শাহেদ স্যারের কাছে আম-কাঠাল-জনতার দাবী আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য।
আমাদের শাহেদ স্যার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবার জন্য ফুল-কেক-চকলেট নিয়ে গেছেন। ফুল দৃশ্যমান হলেও বাকীগুলো আড়াল হয়ে গেছে।
আমাদের শাহেদ স্যার আবার একা-একা ইফতার করতে পারেন না।
আমার ইংরাজির দৌড় কচ্ছপের দৌড়ের সমান! অতএব স্যারের এই 'কোয়ালিটি টাইমের' অর্থ আমি বলতে পারছি না। আমি জানি না।
(স্ত্রিণশট)
(স্ত্রিণশট)
(স্ত্রিণশট)
(স্ত্রিণশট)
(স্ত্রিণশট)
প্রায় ৬০০০ পর্ব করছেন যে মানুষটা তাকে নিয়ে হেলাফেলা-এলেবেলে 'ফেলাহেলা-বেলেএলে' ভঙ্গিতে দেখার কোন অবকাশ নাই। মি. জিল্লুর নামের যে মানুষটা তথ্য ভেজে-ভেজে খান তিনি শাহেদ স্যারের ৩২টা মামলার খোঁজ রাখেন না এটা একটা বাচ্চাকেও বললে সে হাসতে-হাসতে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলবে।
যেমন অঞ্জন বাবুর প্রসঙ্গ এখানে এনে শব্দের অপচয় করার প্রয়োজন দেখি না। এই লোকটা কোন পদের এটা আমাদের আগে থেকেই জানার বাকী নাই। কী লদকালদকি কারবার! যেন মার পেটের দুই ভাই-বা একই ডালে দুটি ফুল সাদা আর কাআলা! শাহেদ চোর একটা করে স্ট্যাটাস প্রসব করেন আর ওখানে অঞ্জন বাবু গিয়ে হাসিমুখে বলেন: বাবু দুক্কু পাইছো!
তবে আমার বিশ্বাস হয় না শাহেদ স্যারের ৩২টা মামলা। এমনটা হলে ডিজিএফআই জানবে না তাই কী হয়!
না-না-না, আমি বিশ্বাস করি না শাহেদ স্যার...!
মিডিয়া আসলে তালকে তিল করে পরে তিলের নাড়ু বানিয়ে আমাদেরকে খাইয়ে দেয়। একটা সামান্য ঘটনাটা কেমন করে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে! শাহেদ স্যারের রিজেন্ট হাসপাতাল চালকদেরকে নগদ প্রণোদনা দিত। ওদের কাজ ছিল আমাদের মত পথচারিকে চাকার নীচে ফেলে স্যারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। এরপর ওই রোগীর চিকিৎসা করে বড় অংকের একটা বিল ধরিয়ে দেওয়া।
আচ্ছা, এই শাহেদ স্যার যে আমাদের দেশের বড়-বড় পার্টিতে গিয়ে আমাদের মুখ আলোকিত করেন এতে করে অসংখ্য স্যুটের প্রয়োজন হয় এই সব স্যুটের খরচ আসবে কোত্থেকে? আমাদের মত লোকজনরা কী একটা স্যুট কখনও স্যারকে বানিয়ে দিয়েছে, না আপনি দিয়েছেন?
আপডেট: ১৫.০৭.২০
রসিকতা না, সত্যি-সত্যি, শাহেদ বা সাহেদের উপর পিএইচডি করার সুযোগ থাকলে আমি করার চেষ্টা করতাম।
আপডেট: ১৫.০৭.২০
রসিকতা না, সত্যি-সত্যি, শাহেদ বা সাহেদের উপর পিএইচডি করার সুযোগ থাকলে আমি করার চেষ্টা করতাম।
এই ছবি দেখলে একজন ছাগলবেকুবও বলবে এখানে 'ভস' আমাদের শাহেদ স্যার। শাহেদ নামের ক্রিমিনালটা এবং অন্যদের বডি ল্যাংগুয়েজ খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যাবে।
শাহেদ স্যারের লেখাপড়া মারাত্মক এতে অন্ততত আমার সন্দেহ নেই। এই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, 'After merting'. করোনার ঝামেলা শেষ হলে আবার ইশকুলে 'কিলাস' করতে হবে।
আমাদের শাহেদ স্যার 'হাওয়াই কপ্টারে' করে কোথাও যাচ্ছেন। স্যারের তো আবার সব উচু প্রোফাইলের মানুষ। একজন লিখেছে, 'Site visit without me. আমাদের শাহেদ স্যার উত্তরে লিখেছেন, 'এটা অন্য side'. তিনি সম্ভবত কপ্টারের বাইরের সাইডটা বুঝিয়েছেন।
লেখার কারুকাজ- কী লেখা মাইরি! আর স্যারের 'মরোমরো' চেহারা সব মিলিয়ে আমার এক চোখে জল এক চোখে পানি চলে এলো। স্যারের পাঠকরাও আবার উঁচুমার্গের লোকজন। Diba Ahmed-কে দেখতে পাচ্ছি এই 'সেটাটাসে'। আমার গাঁ কাপছে কারণ ইনি আমারও ফেসবুকের সার্কেলে আছেন। আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম বিখ্যাত কেউ আমার লিস্টে নাই। আমার ধারণা ভুল। 'আয়্যামা লাকি ডগ'!
শাহেদ স্যার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের বাসায়।
শাহেদ স্যার বলছেন: শুভ জন্মদিন কামাল ভাই'!
ভারতের বিএসএফ পর্যন্ত আমাদের স্যার এবং স্যারের পেটকেও সমীহ করে।
শাহেদ স্যার যেভাবে মুখ হাঁ করে রেখেছেন মাছি ঢুকে গেলে তো বিপদ। নিশ্চয়ই অ্যাম্বুলেন্স চার ঠ্যাং মানে চাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে যেটার গালভরা নাম 'স্ট্যান্ড বাই'। ভিআইপি-টিআইপির জন্য এটা একটা কঠিন নিয়ম। যে হাসপাতাল থেকে ওই অ্যাম্বুল্যান্স এনে দিনভর দাঁড় করিয়ে রাখা হয় সেই হাসপাতালের যায়-যায় অবস্থা রোগীদের গতি কি সেটা এখানে আলোচনার বিষয় না।
ওয়াল্লা, শাহেদ স্যার মুক্তিযোদ্ধা না তো আবার!
দুই ভাইয়ের পেটঢাকা পাঞ্জাবির রঙের বড়ই সৌন্দর্য!
এই যে আমাদের আরেক ভাই, আমাদের বাবু ভাই । আশির দশকের 'পূর্বাভাস' থেকে আজ দূর্বাভাষ!
এই যে আমাদের আইসিটি মন্ত্রী মহোদয় শাহেদ স্যারের সঙ্গে আছেন। শাহেদ স্যার সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্টাপাল্টা কিছু করলেই ক্যাঁক করে 'ঘেডিতে' ধরে ফেলবেন।
এন্ড অভ দ্য ডে:
যে দৃশ্য দেখার জন্য সমগ্র দেশ উদগ্রীব ছিল ওই দৃশ্যের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নাই। এতে কিছুই যায় আসে না...।
ভিডিও ক্লিপটি পেতে সহায়তা করেছেন: M abdul Haque
একে পিটাপিটি করার কোনও মানে হয় না, ফিজুল! বরং আমরা যখন আমাদের নাতি-পুতিদের এই মানুষটার কর্মকান্ড সম্বন্ধে রসিয়ে-রসিয়ে বলব তখন এরা সামনাসামনি মুখে কিছু বলবে না কিন্তু আড়ালে হাসতে-হাসতে গড়িয়ে-গড়িয়ে বলবে: বুইড়ার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। চাপা মারা জায়গা পায় না...।
3 comments:
Everything is possible and legal in this country provided government nods...
চ্রম কাজ, এটা রেফারেন্স হিসাবে কাজ দিবে। ভাল হয়েছে।
এই লেখা বিরাট একটা দলিল হয়ে গেল।
Post a Comment