প্রাণ গ্রুপ। বাংলাদেশের একটা কোম্পানি নিজেকে যে স্থানে নিয়ে গেছে এ এক অভূতপূর্ব! একটা ব্রান্ড দাঁড় করাতে যেখানে দম বেরিয়ে যায় সেখানে এদের ঠিক কতগুলো ব্রান্ড/প্রডাক্ট আছে তা আঙ্গুলে গুণে বের করা প্রায় অসম্ভব।
এখন এদের কর্মীসংখ্যা কত জানি না কিন্তু এক সময় এদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক লক্ষ! শতাধিক দেশে এরা তাদের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। কেউ প্রাণ গ্রুপকে পছন্দ করুক বা না-করুক কিন্তু এরা একটা স্যালুট পাওনা হয়।
এখন এদের কর্মীসংখ্যা কত জানি না কিন্তু এক সময় এদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক লক্ষ! শতাধিক দেশে এরা তাদের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। কেউ প্রাণ গ্রুপকে পছন্দ করুক বা না-করুক কিন্তু এরা একটা স্যালুট পাওনা হয়।
কিন্তু...একটা কিন্তু থেকে যায়। এদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মার্কেটিং পলিসি। ঘরে-ঘরে পরিবেশক। পরিবেশকও দেবে আবার যার কাছে সুযোগ পাবে তার কাছেই পণ্য বিক্রি করবে, কোনও বাছ-বিচার নাই। লাইক আ হো...! যাই হোক, এটা তাদের মার্কেটিং পলিসি।
এই নিয়ে এদের আবার বিপুল অহংকার আছে। বেঞ্চমার্ক! এর পিঠে আমার ছোট্ট একটা বক্তব্য আছে এই গ্রহে ডায়নোসর নাই, সোভিয়েত ইউনিয়ন নাই, আদমজি জুটমিল নাই...!
এমনিতে এদের মধ্যে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা প্রবল। এরা যেসমস্ত কাগজ-পত্রের মাধ্যমে একজন পরিবেশকের কাছে পণ্য বিক্রি করে তার মধ্যে স্বচ্ছতার যথেষ্ঠ অভাব। চট করে একজন বুঝতেই পারবে না আসলে এদের পণ্যের দাম কত!
বা অনেক পণ্য দেখে একজন ক্রেতা বুঝতেই পারবেন না যে এটা প্রাণ বা প্রাণ গ্রুপের। এখানে রাজস্ব ফাঁকির কোন বিষয় আছে কিনা সেটা দায়িত্বশীল সংস্থা ভাল বলতে পারবেন। আবার অনেক প্যাকেটের গায়ে যে ফন্ট ব্যবহার হয় সেটা এতই ক্ষুদ্র যে ঈগল-চোখ ব্যতীত পড়া মুশকিল। আবার আছে কালার কন্ট্রাস্ট না-থাকার ঝামেলা। অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ফন্টের কালার এমন হওয়া যেটা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এটা অবশ্য কেবল এরা না অন্য অনেক কোম্পানিই এই গর্হিত কাজটা করে থাকে। একটা পণ্যের সমস্ত তথ্য থাকবে একেবারে ফকফকা যেন একজন ক্রেতা ঝড়ের গতিতেও জেনে যাবেন কী-কী তথ্য এখানে আছে।
কিন্তু খাবারের আইটেমে প্রাণ গ্রুপ এখন যেটা করছে সেটা স্রেফ একটা অন্যায়, ভয়াবহ অন্যায়। ক্রিমরোল টাইপের এই খাবারগুলো এমনিতেই জান্ক-ফুড! তার উপর যদি মেয়াদহীন খাওয়া হয় তাহলে তো একেবারে সোনায় সোহাগা। এখানে এইগুলোর উৎপাদন-মেয়াদের তারিখ কবে কোন সহৃদয় 'ঈগল-চোখ' কেউ থেকে থাকলে একটু পড়ে দেন না, প্লিজ!
এরা যেভাবে তারিখগুলো দেয় তা কোনও প্রকারে বোঝার যো নাই। তর্কের খাতিরে ধরে নেই একটায় হয়তো এমনটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু ওই দোকানে যতগুলো এই ব্রান্ডের পণ্য ছিল প্রত্যেকটার এই অবস্থা। অর্থাৎ কবে উৎপাদন কবে মেয়াদ তা বোঝার কোনই উপায় নেই।
কাজটা ইচ্ছাকৃত।
'নিরাপদ খাদ্য' বা এই জাতীয় সংস্থাগুলো কী এই সমস্ত ভয়ংকর অন্যায়গুলো কোনও সুরাহা করতে পারেন না?
...
আপডেট: ২২.০৮২০
যেদিন এই লেখাটা লিখেছি সেদিনই আমি নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে একটা মেইল করেছিলাম। এই লেখা, সমস্ত প্রমাণসহ বিস্তারিত লেখা ছিল সেখানে। আমি আশাবাদী মানুষ। প্রবল আশা ছিল, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর কোনও-না-কোনও একটা সুরাহা করবেন।
হাত লম্বা করে ধন্যবাদ জানাই।
রামের যেমন সুমতি হয়েছিল তেমনি প্রাণেরই একটি কোম্পানি 'অলটাইম'-এরও সুমতি হয়েছে।
এখন চমৎকার করে কেবল মেয়াদের তারিখই লেখা থাকে না। উপাদানের বিস্তারিতও থাকে। আগে কিছুই লেখা থাকত না যে এই ক্রিমরোল কী বাঘের দুধ দিয়ে নাকি তিমি মাছের ঝোলে চুবিয়ে বানানো হয়...।
...
আপডেট: ২২.০৮২০
যেদিন এই লেখাটা লিখেছি সেদিনই আমি নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে একটা মেইল করেছিলাম। এই লেখা, সমস্ত প্রমাণসহ বিস্তারিত লেখা ছিল সেখানে। আমি আশাবাদী মানুষ। প্রবল আশা ছিল, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর কোনও-না-কোনও একটা সুরাহা করবেন।
হাত লম্বা করে ধন্যবাদ জানাই।
রামের যেমন সুমতি হয়েছিল তেমনি প্রাণেরই একটি কোম্পানি 'অলটাইম'-এরও সুমতি হয়েছে।
এখন চমৎকার করে কেবল মেয়াদের তারিখই লেখা থাকে না। উপাদানের বিস্তারিতও থাকে। আগে কিছুই লেখা থাকত না যে এই ক্রিমরোল কী বাঘের দুধ দিয়ে নাকি তিমি মাছের ঝোলে চুবিয়ে বানানো হয়...।
No comments:
Post a Comment