আমাদের দেশে সরি বলার চল কম আর রাজনীতিবিদদের বেলায় তো একেবারেই নৈব নৈব চ! 'আমার দেশ' বলতে বলতে এঁদের অভ্যাস খারাপ হয়ে যায় তখন সব কিছুই আমার রাস্তা, আমার ব্রিজ, আমার কালভার্ট ইত্যাদি। সেদিক দিয়ে আমি রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তিনি বিব্রত হয়ে প্রকারান্তরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। নিজের জন্য না তাঁর স্বজনদের অপরাধের জন্য। কারণ তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না:
আমাদের এখানেএকটা কথা চালু আছে, 'দারোগার নায়ের মাঝির শালা' এই সহজ অর্থ হল দারোগার চেয়ে দারোগার নৌকার মাঝির শালার দবদবা-ক্ষমতা বেশি প্রকাশ পায়। মানে দেখাবার চেষ্টা থাকে আর কী, সবিরাম। এটা মন্ত্রী মহোদয়ের স্বজনের কথায় অনেকখানি বোঝা যাবে:
টিটিই শফিক নামের যে মানুষটা একদিনে প্রায় লক্ষ টাকা দেশের কোষাগারে জমা দিয়েছেন তাঁকে বানিয়ে দিয়েছে নেশাখোর মানসিক রোগী। বড় বিচিত্র এই দেশ ততোধিক বিচিত্র এই দেশের মানুষ!
টিটিই শফিক মানসিক রোগি এটা লিখিত আকারে জানিয়ে ছিলেন পাকশির ডিসিও নাসির। বাংলাদেশ রেলওয়ে যে নাসিরের মত মানসিক ডাক্তার পোষে এটা জেনে ভাল লাগছে।
No comments:
Post a Comment