ঘটনাটা ভারতের দিল্লির। দিল্লির প্রতি আমার অন্য রকম মুগ্ধতা আছে। ওখানকার পুরনো স্থাপনা এক পাশে সরিয়ে রাখলেও উঠে আসে ক্যারিশম্যাটিক কেজরিওয়ালের কথা। এই আলোচনা অন্য কোন দিন।
তো, স্থান দিল্লির শাহিনবাগ। এই ভিডিওটা খুব ভাল করে লক্ষ করলে দেখবেন এই সাংবাদিক ওরফে পাজির পা-ঝাড়াটা কোন-এক নামাজের পর বেছে-বেছে একে-ওকে বুম ধরছে। তো, হিন্দি-ইংরাজির মিশেলে জানতে চাইছে, আপনি কোথা থেকে এসেছেন? বাংলাদেশ বললেই আর কথা নেই- ধুম মাচা দে! এরপর জানতে চাইছে, কত দিন ধরে আছেন? কিভাবে এসেছেন? কেজরিওয়াল সরকার আপনাকে রেশন (ফ্রিতে) দেয়?
আগ বাড়িয়ে বারবার জানতে চাইছে, আপনি কি কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে এসেছেন? কেউ-কেউ বলার চেষ্টা করেছেন, কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে কেন আসব আমরা আকাশপথে এসেছি। অন্য-কেউ হয়তো বলল, আমি ভিসার জন্য এসেছি। এরপরও এই হার্মাদ বলছে, 'সারকার আপকো ফ্রি রাশন-পানি দেতি হ্যায়'। উত্তরদাতা মানুষটা বিব্রত হাসি হেসে অবাক বিস্ময়ে বলছেন, সরকার কেন আমাকে রেশন দেবে!
কী ভয়ংকর! এ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে এর ইয়ে থেকে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে বাংলাদেশ থেকে অযুত-বিযুত লোকজন ওখানে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছে। এ তো দেখি চুতিয়া হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না!
হপ্তাখানেক পূর্বে আমার পরিচিত কিছু ছেলেপেলে গেছে দিল্লি। কেন? এরা 'মালটা' যাবে। বাংলাদেশে মালটার দূতাবাস নাই। ভারতের দিল্লিতে এদের দূতাবাস আছে, তাই। স্রেফ ভিসার জন্য অন্য কিছু না।
এই তো কিছুদিনের ভেতর আরেক গ্রুপ যাবে ফিনল্যান্ড ভিসার জন্য দিল্লি। হয়তো এদের বিষয়ে আমার জানা হত না কিন্তু জানা হল এই কারণে, ঘোড়ার চাবুকের খুব শখ আমার। এদের বলেছি আসার সময় সম্ভব হলে একটা ঘোড়ার চাবুক নিয়ে আসতে।
যাই হোক, কেমন করে দিনকে রাত, রাতকে দিন করা যায় খানিকটা শেখা যাবে এর কাছ থেকে।
No comments:
Post a Comment