ইমদাদুল হক মিলন নামের মানুষটা ভাল লেখক কিনা জানি না কিন্তু মন্দ একজন ঢুলি এটা বিলক্ষণ জানি! সেই টাইপ ঢুলি যারা ঢোল বাজিয়ে ঢোল ফাটিয়ে ফেলে। ঢোল বাজাবার নমুনা। তিনি যে পত্রিকায় চাকরি করতেন সেই পত্রিকায়ই লিখলেন [১]:
"...'ভালবাসার সুখ দুঃখ'...বইটি নিয়ে ক্রেজ সৃষ্টি হলো। এমনও দিন গেছে, আমাকে পুলিশ দিয়ে পাহারায় রাখতে হয়েছে। ...হাজার হাজার পাঠক লাইন দিয়ে বইটি কিনত। ...এমনকি ওই বইয়ের জন্য মেলায় মারামারি পর্যন্ত হয়েছে।...।"তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বইমেলায় মিলনের বইয়ের জন্য একজন অন্যজনের হাত ভেঙ্গে দিচ্ছে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিচ্ছে। কিন্তু এটা তিনি নিজেই নিজের পত্রিকায় লেখেন কেমন করে! লাজ হয় না? তিনি তো সেই লোক না যে সব খুলে আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এমনিতে মেলায়
তাঁর অধিকাংশ বই (এগুলোকে গ্রন্থ না-বলে ভ্রন্থ বললেই সমীচীন) আসে 'ভ' দিয়ে। যেমন, 'ভালবাসি তোমাকে' বা 'ভালবাসি-ভালবাসি' এই টাইপের।
ছোকরা-ছোকরি লুফে নেয়, ভেতরে কী আবর্জনা তাতে কিছুই যায় আসে না। ছোকরা-ছোকরি
'তোমাকে আমি পছন্দ করি', এটা মুখে না বলে বইটা একে অনকে গিফট করার মাধ্যমে বলার
চেষ্টা করে। মিলন স্যার কী বুদ্ধিই না শিখিয়েছেন একটা প্রজন্মকে। আহারে, লেখকের কী কষ্ট!
তাঁর ভ্রন্থ টাইপের কয়েকটা বইয়ের নাম দেই:
১. ভালবাসা২. ভালবেসেছিলাম৩. ভালবাসা নাও৪. ভালবাসার ছায়া পড়ে৫ ভালবাসার হাত ধরেছি৬. ভালবাসার নির্বাচিত গল্প৭ ভালবাসা সমগ্র।৮. ভালবাসার সুখ দুঃখ৯. ভালবাসার গল্প১০. সে ভালবাসে নাকি বাসে না
এমন অজস্র আবর্জনার নাম আমি দিতে পারি কিন্তু সেটা হবে শব্দের অপচয়!
অন্যত্র 'সাকুরা ফুলের দেশে' লেখাটায় মিলন লিখেছেন:
"জাপানি রাষ্ট্রদূত ভদ্রলোক আমার বক্তব্য শুনে এতটা মুগ্ধ হলেন, আমার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার সময় উচ্ছ্বসিত গলায় বললেন, 'আরে, তোমার তো...প্রাইজ পাওয়া উচিৎ'।ঢোল বাজে, ঢোল বাজে, ঢোল, ডাম-ডাম বাজে ঢোল! এই মানুষটা কেবল ঢোলবাজই না, চালবাজও। নমুনা দেই। এই মানুষটা যখন কালেরকন্ঠে চাকরি করেন তখন এই পত্রিকার সাহিত্য পাতায় বইমেলার বইয়ের আপডেট যায়:
আরেক জায়গায় লিখেছেন, 'আমাকে দেখে বেশ একটা সাড়া পড়ল দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে। একজনও বাঙালি নেই, সবাই জাপানি। আমার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ভালো রকম ব্যগ্র দেখলাম তাদের'।"
এই দুইটা ইমেজ ভাল করে লক্ষ করলে দেখবেন অন্যান্যবার ছাপা হলো সেই প্রচ্ছদ যেখানে বইগুলো শুয়ে-বসে রোদ পোহাচ্ছে যেটা হচ্ছে বাম দিকেরটা। আর যেই-না মিলনের বই মেলায় এলো দিরং না-করে বইগুলো সটান দাঁড়িয়ে গেল। কেবল দাঁড়ালো যে এমনই না লাইনের একেবারে সামনে চলে এলো। মিলন, এঁরা এত বুদ্ধি নিয়ে রাতে ঘুমান কেমন করে- বুদ্ধির চাপে চুল পাতলা হয় না?
একবার মিলনের পত্রিকায় ছাপা হলো, 'ব্লগের শব্দ ব্লগের কথা',অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকুক'। অশ্লীলতা! হাহাহা। মিলনের কাছ থেকে শিখতে হবে কোনটা শ্লীল আর কোনটা অশ্লীল! গল্পের নামটা আমি ভুলে গেছি... ওই লেখায় দুইটা ছোট-ছোট বাচ্চাদের দিয়ে তিনি যা করিয়েছেন-বলিয়েছেন এটা রগরগে পর্ণোকে ছাড়িয়ে যাবে। মিলন কালের কণ্ঠে নির্দোষ একটা লেখা লিখেছিলেন, নষ্ট শিক্ষক । কিন্তু এই নির্দোষ লেখাটা যে ভাষায় লিখেছেন আমি তাঁকে অবলীলায় বলতে পারি তিনি একজন নষ্ট লেখক [৩]!
মিলন এখন আর কালেরকন্ঠে নাই। আহমেদ আকবর সোবহান যিনি সাব্বির হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত তার মিডিয়ায় [৪] মিলন যে কেবল চাকরি করেছেন এমন না তিনি গর্বিত। কী পরিমাণ গর্বিত তার নমুনা:
আহা, চাকরি বা 'নোকরির' একটা ছাপ থাকে তাই বলে 'নোকরের' মত! বিলকুল...?
আহারে-আহারে, নোকর হলে কত কিছুই না করতে হয়। কে বলে কেবল নগ্ন গাত্রই অশ্লীল!
আহারে-আহারে, নোকর হলে কত কিছুই না করতে হয়। কে বলে কেবল নগ্ন গাত্রই অশ্লীল!
লিংক:
১. ইমদাদুল মিলন একজন ঢোলবাজ: https://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_29.html
২. ইমদাদুল হকের ঢোল এবং নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে গোল:https://www.ali-mahmed.com/2009/07/blog-post_2138.html
৩. নষ্ট শিক্ষক নষ্ট লেখক: https://www.ali-mahmed.com/2011/07/blog-post_09.html
৪. কালের কন্ঠ বনাম মুড়ির ঘন্ট: https://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_16.html
No comments:
Post a Comment