সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ধামড়া-ধামড়া বুদ্ধিমান মানুষদেরকে স্রেফ হাফ-প্যান্টপরা খোকা বানিয়ে দিচ্ছে। আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি কোন খোকা না-আবার 'ইয়েখানা' থেকে পকেটে করে খানিকটা ইয়ে নিয়ে এসে আমাদেরকে বলে বসে: দেখবা, এক খাবলা নিয়া আসলাম।
এদিকে আবার কালে-কালে কিছু খোকা নিজেদেরকে স্টার আদলে একেকটা তালগাছ মনে করছে। এই গ্রহের এমন কোন জ্ঞান নাই যা এদের হাঁটু তলে নাই!
কে বোঝাবে এদেরকে যে সোশ্যাল মিডিয়া একটা বাজারের মত। বাজারের নিজস্ব কিছু ভাষা আছে। বাজারে দাঁড়িয়ে সব বলা যায় না, করা যায় না। 'ধুম মাচা দে', গানটা গাইতে কোন দোষ নাই কিন্তু কোনও অফিসের টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে গানটা গাইলে ধরে নিতে হবে মস্তিষ্কের ভেতরের জিনিসপত্র নীচের দিকে নেমে এসেছে। আহা, গ্রে-মেটার আর ইয়েলো মেটার জড়াজড়ি হয়ে থাকাটা ভাল দেখায় না।
এদের এমন নমুনার সংখ্যা লক্ষ-লক্ষ! নমুনা হিসাবে একটা উদাহরণ দেই:
'এই নিন', বলে তিনি আমাদের হাতে যে লেখাটা ধরিয়ে দিয়েছেন ওখানে আবার ঘটা করে বলেছেন:
'আমি ইংল্যান্ডে পড়েছি, সুইডেনে পড়েছি। অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডে পড়েছি...'।
বেশ-বেশ! এটা আমরা আপনার লেখায় অনেকবার পড়ে ফেলেছি। কারণ সুযোগ পেলেই এটা ঘটা করে জানিয়ে দেন। এতে অবশ্য সমস্যা নেই। আমাদের জেনে ভাল লাগে, লাগতেই থাকে...!
তো, ড. আমিনুল ইসলাম নামের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, এই ভদ্রলোক এস্তোনিয়ানের কোন-এক ইউনিভার্সিটিতে পড়ান। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের। সত্যি-সত্যি, শপথ আমার লেখালেখির।
এই মানুষটাকে নিয়ে লিখছি ভয়ে-ভয়ে কারণ একে তো ওঁর আছে বিরাট ফ্যান-ফলোয়ার বাহিনী তার উপর আরেক কাহিনী! ভদ্রলোকের হাতের মুঠোয় দেশের সমস্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। আপাতত আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোন কাজ নাই! এদের একটাই কাজ ল্যাপটপ-ট্যাব-সেল ফোন হাতে নিয়ে বসে থাকা আর আমিনুল স্যারের লেখার অপেক্ষা করা ।
আমিনুল ইসলাম স্যার 'মাসুক নানা'-কুয়াশা-কিরিটির কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর-পরই এফবি ওরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা প্রসব করা মাত্রই আইনের লোকজনেরা দুষ্টদেরকে পাকড়াও করে ফেলেন। যার চালু নাম গ্রেফতার! নমুনা:
সকালে আমি পোস্ট দেয়ার পর বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসের আলোচিত ড্রাইভার এবং তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ...
No comments:
Post a Comment