পুরনো এই লেখায় লিখেছিলাম, জুইশরা কেমন করে দানব হয়ে ওঠে [১]। কেমন করে এরা তাদের শিশুদেরকে দানব
বানায় [২]। এই লেখায়ও আমি পুরনো ছবিটাই ব্যবহার করেছি। কেবল এই একটা ছবিই সমস্ত
কিছুই বলে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে।
“...ইসলাইলের শিশুরা যে মিসাইলের গায়ে
ফানি-মজার মজার কথা লেখে সেই মিসাইলেই আহত হয়, প্রাণ হারায় ফিনিস্তানি শিশু।
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ
এদেরকে শেখানো হচ্ছে, মিসাইল, প্রতিপক্ষের
শিশু-মৃত্যু এসব হচ্ছে খেলার একটা অংশ। মজার, শৈশবের খুবই মজার একটা খেলা...।”
গোটা প্যালেস্টাইন
হচ্ছে এদের, বড়দের জন্য খেলার একটা মাঠ। বিষণ্ন বোধ হচ্ছে? যাও, গিয়ে প্যালেস্টাইনের কিছু লোকজনকে মেরে ফেল। শিশু,
বৃদ্ধ, নারী হলেও
কোনও সমস্যা নাই। খেলা তো খেলাই। ভোটের পূর্বে ক্ষমতা জাহির করতে হবে বা ওবামাকে
একটা ম্যাসেজ দেওয়া প্রয়োজন শুইয়ে ফেল যত খুশি প্যালেস্টাইনিদেরকে।
বছরের-পর-বছর,
যুগের-পর-যুগ ধরে এই সব খেলা দেখে বিশ্ববাসী তথা আমাদের চোখ সয়ে গেছে।
কিন্তু হালে নতুন
একটা ফ্যাশন চালু হয়েছে। এ সমস্ত ফ্যাশনদুরস্তরা বেড-টির বদলে হিটলারের পদোদক
পান না-করে দিন শুরু করতে চাইছেন না। এদের কথা হচ্ছে হিটলার ইহুদি নিধন করে
অসাধারণ একটা কাজ করেছিলেন। সমস্ত ইহুদিদেরকে মেরে ফেলার সুযোগ পাননি এটা ভেবে চোখের জলে এরা নিজেদের অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলছেন। অসংখ্য উদাহরণ থেকে এই একটা উদাহরণ দেই। মনোয়ার রুবেল, এ আবার নাকি কন্ট্রিবিউটিং এডিটর!
এ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম -এ লিখেছে এই শিরোনামে, ‘হিটলারই
কি ঠিক ছিলেন?’
[৩]
ভেতরে ঠেসে দিয়েছে
হিটলারের মতাদর্শ, দানবীয় আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ‘হিটলারই কি
ঠিক ছিলেন?, এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখার অর্থ হচ্ছে প্রকারান্তরে হিটলারের কাজকে
সমর্থন করার চেষ্টা করাই না চতুরতার মাধ্যমে পাঠকের মাঝে বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া।
আমার দৃষ্টিতে এরাও দানব তবে তিন নম্বর দানব।
দানব তিন প্রকার। ১, বড় দানব, ২. ছোট দানব ৩. চুতিয়া
দানব।
এই দানবরা সম্ভবত বিস্মৃত হয়েছে হিটলার
কেবল নারী-বৃদ্ধদেরকেই গ্যাস চেম্বারে ঢোকায়নি, শিশুদেরকেও। যাদেরকে কোন প্রকারেই
কাঠগড়ায় দাঁড় করানো চলে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটা জাতিকে নিচিহ্ন করে দেওয়া
যায় না। কুতর্কের খাতিরে তর্ক করলেও যেটা চলে
আসে গোটা একটা জাতির মধ্যে কী একটা মানুষও নিরপরাধ, হৃদয়বান থাকেন না? অনেক
উদাহররণ থেকে কেবল একটা উদাহরণ দেই। Mira
Bar Hillel
11 July 2014 ,
Independent-এ
লেখেন:
(Why I'm on the brink of burning my Israeli
passport) ...যারা মারা গেছে- চারজনের মধ্যে একজন শিশু!
“…Shaked got what she
wanted: the death toll in Gaza is
nearing 100, one in four being children. Hundreds more have serious injuries in
a place where hospitals have also been bombed and medical essentials are
running out…”
ইসরাইলে
জন্মগ্রহণকারী লেখক হয়েও যিনি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা দিয়েছেন:
“...Seeing these angelic faces of evil spouting such
genocidal rhetoric, I pick up my Israeli passport and a box of matches. “Not in
my name, people. Not in my name! [৪]
এখন আমি প্রশ্ন করতে চাই এই ইসরাইলী
লেখক যেটা করে দেখিয়ে দিয়েছেন সেটা আমাদের দেশের সামনে-পেছনে মানবতার চোঙ্গা
লাগানো তাবড় তাবড় ঝুলেপড়া গোঁফ আর ঝুলেপড়া ইয়ে লেখকরা লক্ষ-লক্ষ ইরাকিকে আমেরিকা
খুন করার অপরাধে- কই, পারলেন না তো কখনও আমেরিকার পাসপোর্টে
আগুন ধরিয়ে দিতে, ছিঁড়ে ফেলতে, আমেরিকার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে?
পাগল! পারলে এরা একটা বিচি জমা রেখে
হলেও আমেরিকায় ভ্রমণের নামে ওখানে শ্বাস ফেলতে, চিকিৎসা করাতে, উচ্চশিক্ষার জন্য
মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটবেন। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা...।
৪. Why I'm on the brink of burning my Israelipassport: http://www.independent.co.uk/voices/why-im-on-the-brink-of-burning-my-israeli-passport-9600165.html
...
...
লিদিৎস
গ্রামের যে সকল শিশুদেরকে হত্যা-খুন করা হয়েছিল তাদের স্মরণে ভাস্কর্য…
|
হিটলার কোনও শাসক,
সমরবিদ, রাজনীতিবিদ, চিত্রকর ছিল না- ছিল স্রেফ একটা উম্মাদ, বদ্ধউম্মাদ! তাকে
যারা সমর্থন করে এরাও উম্মাদ! অজস্র উদাহরণ থেকে কেবল একটা উদাহরণই যথেষ্ঠ:
“…এই ইতিহাসটি চেকোস্লোভাকিয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম লিদিৎসের (Lidice)। ১৯৪২ সালের ১০ জুন নাৎসী জার্মানীর এসএস সেনাদের নৃশংস হত্যাকান্ড এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এই গ্রামটির নিরীহ বেসামরিক অধিবাসীরা, শিশু, নারী এবং পুরুষ।…
…জুলাই
২, ১৯৪২, বাকী ৮১ জন শিশুকে গেষ্টাপো অফিসে হস্তান্তর করা হয়, তাদের পোল্যান্ডে চেলনো (Chelmno) নামে এটি স্থানে এক্সটারমিনেশন বা ডেথ ক্যাম্পে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা
করা হয়। ধারণা করা হয়, তাদের সবাইকে একই দিনে হত্যা করা হয়েছিল। ...এর কিছু দিন পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে লেজাকি (Ležáky) বলে আরেকটি গ্রামে।
...(সুখের বিষয়), নিষ্ঠুর
গেষ্টাপো প্রধান, লিদিৎসে গণহত্যার প্রধান কার্ল হেরমান ফ্রাঙ্ক মার্কিন বাহিনীর কাছে পরে আত্মসমর্পন
করেন, ১৯৪৬ সালে তার বিচার হয় প্রাহাতে। প্রায় ৫০০০ মানুষের সামনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।...“
বিস্তারিত জানা
যাবে এখানে: http://tinyurl.com/me5qdus