Search

Showing posts with label ইসরাইল. Show all posts
Showing posts with label ইসরাইল. Show all posts

Tuesday, July 15, 2014

দানব!



পুরনো এই লেখায় লিখেছিলাম, জুইশরা কেমন করে দানব হয়ে ওঠে [১]। কেমন করে এরা তাদের শিশুদেরকে দানব বানায় [২]। এই লেখায়ও আমি পুরনো ছবিটাই ব্যবহার করেছি। কেবল এই একটা ছবিই সমস্ত কিছুই বলে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে।
...ইসলাইলের শিশুরা যে মিসাইলে গায়ে ফানি-মজার মজার কথা লেখে সেই মিসাইলেই আহত হয়, প্রাণ হারায় ফিনিস্তানি শিশু এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ এদেরকে শেখানো হচ্ছে, মিসাইল, প্রতিপক্ষের শিশু-মৃত্যু এসব হচ্ছে খেলার একটা অংশমজার, শৈশবের খুবই মজার একটা খেলা...

গোটা প্যালেস্টাইন হচ্ছে এদের, বড়দের জন্য খেলার একটা মাঠ। বিষণ্ন বোধ হচ্ছে? যাও, গিয়ে প্যালেস্টাইনের কিছু লোকজনকে মেরে ফেল। শিশু, বৃদ্ধ, নারী হলেও কোনও সমস্যা নাই। খেলা তো খেলাই। ভোটের পূর্বে ক্ষমতা জাহির করতে হবে বা ওবামাকে একটা ম্যাসেজ দেওয়া প্রয়োজন শুইয়ে ফেল যত খুশি প্যালেস্টাইনিদেরকে।
বছরের-পর-বছর, যুগের-পর-যুগ ধরে এই সব খেলা দেখে বিশ্ববাসী তথা আমাদের চোখ সয়ে গেছে।

কিন্তু হালে নতুন একটা ফ্যাশন চালু হয়েছে। এ সমস্ত ফ্যাশনদুরস্তরা বেড-টির বদলে হিটলারের পদোদক পান না-করে দিন শুরু করতে চাইছেন না। এদের কথা হচ্ছে হিটলার ইহুদি নিধন করে অসাধারণ একটা কাজ করেছিলেন। সমস্ত ইহুদিদেরকে মেরে ফেলার সুযোগ পাননি এটা ভেবে চোখের জলে এরা নিজেদের অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলছেন। অসংখ্য উদাহরণ থেকে এই একটা উদাহরণ দেই। মনোয়ার রুবেল, এ আবার নাকি কন্ট্রিবিউটিং এডিটর! এ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম -এ লিখেছে এই শিরোনামে, হিটলারই কি ঠিক ছিলেন? [৩]
ভেতরে ঠেসে দিয়েছে হিটলারের মতাদর্শ, দানবীয় আচরণের বহিঃপ্রকাশ। হিটলারই কি ঠিক ছিলেন?, এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখার অর্থ হচ্ছে প্রকারান্তরে হিটলারের কাজকে সমর্থন করার চেষ্টা করাই না চতুরতার মাধ্যমে পাঠকের মাঝে বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া।
আমার দৃষ্টিতে এরাও দানব তবে তিন নম্বর দানব। দানব তিন প্রকার। ১, বড় দানব, ২. ছোট দানব ৩. চুতিয়া দানব।

এই দানবরা সম্ভবত বিস্মৃত হয়েছে হিটলার কেবল নারী-বৃদ্ধদেরকেই গ্যাস চেম্বারে ঢোকায়নি, শিশুদেরকেও। যাদেরকে কোন প্রকারেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো চলে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটা জাতিকে নিচিহ্ন করে দেওয়া যায় না। কুতর্কের খাতিরে তর্ক করলেও যেটা চলে আসে গোটা একটা জাতির মধ্যে কী একটা মানুষও নিরপরাধ, হৃদয়বান থাকেন না? অনেক উদাহররণ থেকে কেবল একটা উদাহরণ দেই। Mira Bar Hillel
…Shaked got what she wanted: the death toll in Gaza is nearing 100, one in four being children. Hundreds more have serious injuries in a place where hospitals have also been bombed and medical essentials are running out…
ইসরাইলে জন্মগ্রহণকারী লেখক হয়েও যিনি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা দিয়েছেন:
...Seeing these angelic faces of evil spouting such genocidal rhetoric, I pick up my Israeli passport and a box of matches. “Not in my name, people. Not in my name! [৪]

এখন আমি প্রশ্ন করতে চাই এই ইসরাইলী লেখক যেটা করে দেখিয়ে দিয়েছেন সেটা আমাদের দেশের সামনে-পেছনে মানবতার চোঙ্গা লাগানো তাবড় তাবড় ঝুলেপড়া গোঁফ আর ঝুলেপড়া ইয়ে লেখকরা লক্ষ-লক্ষ ইরাকিকে আমেরিকা খুন করার অপরাধে- কই, পারলেন না তো কখনও আমেরিকার পাসপোর্টে আগুন ধরিয়ে দিতে, ছিঁড়ে ফেলতে, আমেরিকার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে?
পাগল! পারলে এরা একটা বিচি জমা রেখে হলেও আমেরিকায় ভ্রমণের নামে ওখানে শ্বাস ফেলতে, চিকিৎসা করাতে, উচ্চশিক্ষার জন্য মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটবেন। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা...।

৪. Why I'm on the brink of burning my Israelipassport: http://www.independent.co.uk/voices/why-im-on-the-brink-of-burning-my-israeli-passport-9600165.html

...


লিদিৎস গ্রামের যে সকল শিশুদেরকে হত্যা-খুন করা হয়েছিল তাদের স্মরণে ভাস্কর্য

হিটলার কোনও শাসক, সমরবিদ, রাজনীতিবিদ, চিত্রকর ছিল না- ছিল স্রেফ একটা উম্মাদ, বদ্ধউম্মাদ! তাকে যারা সমর্থন করে এরাও উম্মাদ! অজস্র উদাহরণ থেকে কেবল একটা উদাহরণই যথেষ্ঠ:

“…এই ইতিহাসটি চেকোস্লোভাকিয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম লিদিৎসের (Lidice)১৯৪২ সালের ১০ জুন নাৎসী জার্মানীর এসএস সেনাদের নৃশংস হত্যাকান্ড এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছিল  এই গ্রামটির নিরীহ বেসামরিক অধিবাসীরা, শিশু, নারী এবং পুরুষ

জুলাই ২, ১৯৪২, বাকী ৮১ জন শিশুকে গেষ্টাপো অফিসে হস্তান্তর করা হয়, তাদের পোল্যান্ডে চেলনো (Chelmno) নামে এটি স্থানে এক্সটারমিনেশন বা ডেথ ক্যাম্পে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়ধারণা করা হয়, তাদের সবাইকে একই দিনে হত্যা করা হয়েছিল...এর কিছু দিন পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে লেজাকি (Ležáky) বলে আরেকটি গ্রামে

...(সুখের বিষয়), নিষ্ঠুর গেষ্টাপো প্রধান, লিদিৎসে গণহত্যার প্রধান কার্ল হেরমান ফ্রাঙ্ক মার্কিন বাহিনীর কাছে পরে আত্মসমর্পন করেন, ১৯৪৬ সালে তার বিচার হয় প্রাহাতেপ্রায় ৫০০০ মানুষের সামনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।...
বিস্তারিত জানা যাবে এখানে: http://tinyurl.com/me5qdus
 

Wednesday, May 18, 2011

গ্রহ অধিপতি, আমরা আভূমি নত হই!

­একটা গ্রহের সবই থাকে। এই গ্রহেরও যেমন আছে গ্রহপিতা, আমেরিকা [০]। এই গ্রহের প্রত্যেক সন্তানের পশ্চাদদেশে আমেরিকার স্নেহের হাত নাই, এমনটা আউট অভ কোশ্চেন! এই গ্রহের গ্রহপিতা আমেরিকা কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের এই গ্রহমাতা বা গ্রহের মা নাই! গর্দভ নাকি গর্বাচেভ নামের এক প্রাণী টাকা খেয়ে (!), না যেন পেরোস্ত্রাইকার সুগার কোটেড ট্যাবলেট খাইয়ে এ গ্রহের মাকে হত্যা করেছিল! মা-মা-মাগো, আমরা মাতৃহারা হলাম! ইয়াতিম হলাম! 
অবশ্য এতেও কোন দ্বিমত নেই, গ্রহপিতা অমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাবার পর নিজের হাতের আঙ্গুল গুণে না-দেখাটা বোকামির শেষ!

এই গ্রহের যথারীতি অধিপতিও আছে, গ্রহঅধিপতি। ইসরাইল। এই গ্রহের অধিপতিকে যারা অস্বীকার করেন এদের নাস্তিকের সমতুল্য বলা যায়, কি যায় না এটা নিয়ে একটা থিসিস করা যেতে পারে। এই যে গ্রহবাবা আমেরিকা তারও বাবা কিন্তু ইসরাইল। একবার ভুলে গ্রহ অধিপতিকে গ্রহপিতা লিখে ফেলেছিলাম [১]!

ইসরাইল আবারও গাজা অভিমুখি ত্রাণবাহী জাহাজে গুলি চালিয়েছে, এই কান্ডটা এরা আগেও বহুবার করেছে! Perdana global peace foundation -এর একটি জাহাজ। যার চিফ-Adviser হচ্ছেন Datuk Mukhriz Tun Mahathir ।
মিসরের জল-ভূমিতে দাঁড়িয়ে ইসরাইলিরা গুলি চালিয়েছে এই ত্রাণবাহী জাহাজে, ভাবা যায় [২]! ওখানে যা ঘটেছিল তার খানিকটা এখানে উঠে এসেছে:
"...The Israelis then headed to the back of the aid vessel and released a second warning shot into the air.
Derek Graham: “This is a violation (of international law). We are on a peaceful mission and unarmed.”
Israeli army: “Turn around. We will fire again”.
Derek Graham: “You are firing towards unarmed civilians”.
Israeli army: “We didn’t fire towards unarmed civilians”.
Derek Graham: “Looks like firing towards us.”
Israeli army: “We didn’t fire towards you. That is only a warning shot”.
Following that conversation, the Israeli army fired two more shots and threatened: “Next time, we will land on your ship”.
Then the Egyptian navy was heard telling the Israelis on the radio: “Stop firing. They are in the Egyptian waters”.
Upon realising the presence of Egyptian naval forces, the Israelis departed."

আহা, ইসরাইল কেন গুলি চালাবে না? অধিপতি-ঈশ্বর বলে কথা! অধিপতি-ঈশ্বরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা যায় বুঝি! সে তো করে শিশুরা! আমরা কি শিশু, শিশু না।

এই জুইশদের এক হওয়া নিয়ে স্বয়ং আইনস্টাইন যা বলেছেন তা আঁচ করার জন্য যথেষ্ঠ [৩]! আইনস্টাইন বলেছিলেন:
"There are no German Jews, There are no Russian Jews, There are no American Jews ...There are in fact only Jews."

এরা কেমন দানব হয়ে উঠেছে এর একটা উদাহরণ হতে পারে এটা। ১১০ ফিলিস্তানিকে একটা ভবনে আটকে রেখে বোমা মেরে প্রায় সবাইকে মেরে ফেলে, ওখানে অন্তত ৩০জন শিশু, নারি ছিলেন। এই কাজের জন্য এই গ্রহের কেউই এদের গোপন কেশ দূরের কথা বগলের কেশও স্পর্শ করতে পারেনি! গ্রহঅধিপতি বলে কথা!
বাতিল পুতুলের মত ছোট-ছোট শিশু পড়ে থাকে। বাবার জান্তব চিৎকার কী চমৎকারই না-শোনায় গ্রহঅধিপতির কানে!

­এই ইসরাইলি বা ইহুদিদের ক্ষমতা কতটুকু এটা আঁচ করা মুশকিল। জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়কে নিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, "পরোক্ষভাবে ইহুদিরাই বিশ্বকে শাসন করছে। আমেরিকা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে আর আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে জুইশ কমিউনিটি। বিশ্বের অস্ত্র, মিডিয়া, ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুইশ কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরোপুরি। গত ৫০ বছরেও বেশি সময় ধরে প্যালেস্টাইনের উপর তারা যে অন্যায় করেছে তা Clash of Civilisation-এর মোড়কে বৈধ করে নিয়েছে পশ্চিমি সমাজ। বুশের প্রকাশ্যে সমর্থন ছিল ইহুদিদের প্রতি। আর কন্ডোলিনা রাইস তার প্রথম ইসরাইল সফরের পর বলেন, 'নিজের বাড়িতে ফিরে আসা"।"

অথচ এদের শিশুগুলো কী লক্ষী! এরা যে মিসাইলের গায়ে মজার মজার কথা লিখে, চোখের নিমিষে ওই মিসাইলগুলো ছটফটে শিশুদের নিমিষেই বাতিল পুতুলে রূপান্তরিত করে।[৪]

আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি, কারণ এ ব্যতীত আমাদের কী-ই বা করার আছে! জুইশ কমিউনিটি থেকে এসেছেন স্ট্যানলি কুবরিক, রোমান পোলানস্কি, উডি অ্যালান, এলিজাবেথ টেইলর, ডাস্টিন হফম্যান, হ্যারিসন ফোর্ড, ডগলাস, বব ডিলান, ডেভিড কপারফিল্ড, আসিমভ, আইনস্টাইন, হুডিনি, কাফকা- এই তালিকা অনেক লম্বা [৫]। (কেবল এই অংশটুকু মোহাম্মদ মাহামুদুজ্জামানের লেখা থেকে নেয়া)
এরা অসাধারণ লোকজন। চমৎকারসব মুভি বানিয়ে, অভিনয় করে, ফিকশন লিখে আমাদেরকে কাঁদান, আমরা কাঁদি। 

মিডিয়ায়ও এদের দাপটের শেষ নাই। টাইম ওয়ার্নার-ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এদের সহযোগি প্রতিষ্ঠান AOL, HBO, ­সিনেমেক্স, পলিগ্রাম এদের নাম কে না জানে? ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইহুদি, চিফ এক্সিকিউটিভ বা সি,ও জেরাল্ড লেভিন ছিলেন ইহুদি। টেড টার্নারের সি, এন, এন হাল ছেড়ে দেয় ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে। ছড়ি ঘোরাত ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এরা কেমন করে লোকজনকে প্রভাবিত করে এর একটা উদাহরণ দেয়াটা সমীচীন হবে।
নাইন ইলাভেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংশ হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ফুটেজ দেখানো হচ্ছিল। একটা ফুটেজ সাধারণ মানুষকে হতভম্ব করেছিল সেটা হচ্ছে, এই ধ্বংশের পর প্যালাস্টাইনরা আকাশে শূণ্যে গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। এই দৃশ্য দেখে যে-কোন সচেতন মানুষ আহত হবেন এতে সন্দেহ কী!
কিছুদিন পর সিএনএন খুবই অবহেলার সংগে টেলপে লিখে জানায়, ফুটেজটি ছিল পুরনো এবং এটা ভুলবশত দেখানো হয়েছে।


ইসরাইলকে নিয়ে এক লেখায় আমি লিখেছিলাম:
"এদের ধারণা মুসলমান মানেই টেররিস্ট- এরা নিজেরা সব ধোয়া তুলসি পাতা! ক-দিন পূর্বে, ইসরাইলে নির্বাচনের পূর্বে ইসরাইলি কর্তৃক যে শোডাউন করা হয়েছে, সেসব ছবি আমরা দেখেছি আধুনিক মিডিয়ার কল্যাণে।
এর পর কেবল একটা কথাই বলা চলে এবং আমি নিশ্চিত, পুতুপুতু টাইপের একটা বালকের হাতেও যদি ক্ষমতাটা দেয়া হয় সে কালবিলম্ব না-করে ইসরাইল নামের দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলবে।" ...

সহায়ক সূত্র:
০. Perdana global peace foundation: http://www.theborneopost.com/?p=130563
১. ইসরাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_15.html
২. জয় হোক গ্রহবাবার: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_05.html
৩. জুইশ...: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_10.html
৪. জুইশ শিশুদের দানব হওয়া...: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_7757.html
৫. সবই জুইশ!: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_7757.html

Tuesday, June 15, 2010

এ গ্রহের গ্রহপিতা: ইসরাইল

ইসরাইল [১]। লোকজন কেন দেশটাকে ছোট বলে শিশুসুলভ আচরণ করে আমি জানি না। কেউ যেমন এটম বোমা দেখে নির্বোধের মত মুখ ফসকে বলে ফেলে, আরে, এইটা এতো ছোট! ইসরাইলের থাবা এই গ্রহের কোথায় নাই, কত রকমে নাই [২]?

এই গ্রহ কার? ইসরাইলের। এই গ্রহ চালাচ্ছে কে? ইসরাইল। এই গ্রহের গ্রহপিতা কে? কে আবার নেতানিয়াহু। এই গ্রহের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের উচিৎ সকালে গ্রহপিতা নেতানিয়াহুর নাম জপ করা, বাধ্য থাকা। ইসরাইলের নির্বাচনের পূর্বে, ওবামাকে ম্যাসেজ দেয়ার জন্য কিছু খেলা খেলতে হয়। সভ্য জাতিদের জন্য এমন খেলা খেলাটা বড্ডো জরুরি [৩]

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার দুঃসাহস দেখে আমি আঁতকে উঠি। কী পাগলামি এটা! ওবামার কী মাথা খারাপ, মানুষটার মাথা কী আউলা-ঝাউলা হয়ে গেছে? ওবামা কি না নেতানিয়াহুর সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত ডিনার বাতিল করে দেন? যৌথসংবাদ সম্মেলন হয় না, এমন কি ওবামার সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের কোনও ছবিও প্রকাশ করা হয়নি। সম্ভব?

বেচারা জাতিসংঘ, বেচারা জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা! বেচারা, মহাসচিব বান কি মুন। বেচারাদের জন্য বড়ো মায়া হয়। এরা কি জানে না গ্রহপিতা হচ্ছেন ব্রিটেনের রানীর মত। সব কিছুর উর্ধ্বে। সীটবেল্ট না বাঁধলেও তাঁকে আটকানো যাবে না কারণ রানীকে কোন আইনের আওতায় আনা যায় না। তিনি নিজেই নিজের বিচার করবেন, চাইলে।

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য জাহাজযোগে ত্রাণসহায়তা দেয়ার সাহস আসে কোত্থেকে? ইসরাইল ফটাফট গুলি করে মেরে ফেললে এর জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করা হবে কেন? ইসরাইল কি বলেছে, যাও গিয়ে গাজায় ত্রাণ দাও। তাহলে?
৩১ মে গাজা অভিমুখী ত্রানবাহী জাহাজে ৯জন তুর্কি নাগরিক নিহত হয়। তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বুয়েন্ত আরিনক মৃত, জীবিতদের স্বাগত জানিয়ে ইসরাইলের সমালোচনা করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার জন্য বাচ্চাদের মত আবদার করেছেন।
বড়োরা বাচ্চাদের সব আবদার পূরণ করে বুঝি? নেতানিয়াহু এটুকু বলেছেন এই তো ঢের, ইসরাইল যা করেছে তার জন্য তিনি মোটেও অনুতপ্ত-দুঃখিত নন এবং এই কারণে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

ইসরাইলের মনটা বড়ো নরোম! গাজাগামী ত্রানবাহ জাহাজ থেকে আটক তুরস্কের নাগরিক নিলুফার কেতিন এবং তার ১ বছরের শিশুকে ইসরাইল ছেড়ে দিয়েছে। নিলুফার আবার কেমন করে এটা বলেন, ইসরাইলি সেনারা আমার এবং আমার বাচ্চার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে। সামান্য কৃতজ্ঞতা বোধ কী তাঁর নাই?
শোনো কথা, মেরে যে ফেলেনি এটাই কি যথেষ্ঠ না?

আমার মনে হয় সৌদি আরবই সবচেয়ে সুবোধ বালক, গ্রহপিতাকে মান্য করে। সৌদি আরব ইরানে হামলা চালাবার জন্য ইসরাইলকে বিমান চলাচলের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে। সৌদি শাসক গ্রহপিতা নেতানিয়াহুর পাদোদক (বৃদ্ধাঙ্গুলি স্পর্শ করা পানি, চরণামৃত) পান করে ব্রেক ফাস্ট শুরু করেন এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। অন্যরা যে কেন সৌদি শাসকদের মত সুবোধ বালক হতে চান না এটা দুর্বোধ্য। বোকার দল, সৌদিদের দেখে শেখে না কেন এরা? 
ইরাকের পবিত্র স্থানগুলো যখন আমেরিকান সৈন্যরা পদদলিত করে তখন সৌদি আরব তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে। হিস্ট্রি রিপিট- সৌদির পবিত্র স্থানগুলো যখন আক্রান্ত হবে তখন সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। ইয়ে যখন অবধারিত...।

সহায়ক লিংক:
১. জুইশ শিশু: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_7757.html
২. জুইশদের দানব হয়ে উঠা: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_10.html 
৩. অন্য রকম খেলা: http://www.ali-mahmed.com/2009/05/blog-post_493.html 

Saturday, January 10, 2009

জুইশদের দানব হয়ে উঠা।

জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়ের ইতিহাস প্রায় ৩০০০ বছর পুরনো। ইহুদি ধর্ম মূল ধর্মগুলোর প্রাচীনতম। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলিদের আদিবাস ছিল, তবে তারা এখন তাদের জায়গা বলে যেটা দাবি করছে তা নিয়ে জোর বিতর্ক আছে।
মোজেস বা মুসা নবী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সম্প্রদায়ের সুখের সময় ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ বছর আগে ডেভিড বা সম্রাট দাউদের সময়। ডেভিডের সময় সলোমন বা সোলেইমানের সময়েও ইহুদিদের সোনালি সময়। কিন্তু সলোমনের মৃত্যুর পর ইহুদি জাতি ২ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। অ্যাসিরিয়ানদের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে ইহুদিরা ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ে।


ইজিপশিয়ান ফারাওদের সময় থেকে শুরু করে জার্মানির হিটলার পর্যন্ত তাদের বিতাড়িত হতে হয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে। মুলত ইহুদিদের সঙ্গে চরম সম্পর্ক খারাপ ছিল খ্রীস্টানদের। খ্রীস্টানদের অনেকে ইহুদিদের যিশুর হত্যাকারি বলে মনে করত। ইহুদিদেরকে অভিশপ্ত জাতি মনে করত। ইহুদিদের দেখা হতো নিচু চোখে। ইহুদিদের জীবনটা হয়ে পড়ে যাযাবরের মত, কেবল এখান থেকে সেখানে তাড়া খেয়ে বেড়ানো। তারা পরিশ্রমের কাজের চেয়ে বেছে নিত কম পরিশ্রমের মাথা খাটাবার সূক্ষ-বুদ্ধির কাজ।

ইউরোপে এদের সম্বন্ধে কেমন ধারণা ছিল এটা বোঝা যাবে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে। শেক্সপিয়ারের 'শাইলক' ইহুদি চরিত্রটি, যে এমন নির্মম টাকা আদায়ের জন্য গায়ের মাংস কেটে নিতেও পিছ-পা হয় না। বা নিকোলাই গোগলের 'তারাস বুলবা' উপন্যাসের ইহুদি চরিত্র ইয়ানকেল।

মুসলমানদের সঙ্গে তাদের ছিল সুসম্পর্ক। সম্পর্কের অবনতি হয় অনেক পরে। ইউরোপে তাড়া খেয়ে এরা অবশেষে মিডল-ইস্টে ঢোকা শুরু করে। এখানে ইউরোপিয়ানদের সূক্ষ চাল ছিল; যেহেতু এরা ইহুদিদের পছন্দ করত না তাই তারা চাচ্ছিল এই বোঝা মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে। আর ইহুদিরাও চাচ্ছিল হাজার-হাজার বছরের যাযাবরের জীবনের অবসান।

জুইশ কমিউনিটির বা ইহুদিদের লোকসংখ্যা মাত্র দেড় কোটি। এরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পৃথিবীময়। তাই তো আইনস্টাইন বলেছিলেন, There are no German Jews, There are no Russian Jews, There are no American Jews ...There are in fact only Jews.
আসলেই এরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক- এদের একতা, ভিশন নিয়ে কারও কোন দ্বিমত নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বপ্ন দেখেছে ইসরাইল নামের স্বপ্নভূমি, যে কোন মূল্যে। ৩০০০ হাজার বছর আগে মিডলইস্টের কোন এক জায়গায় তাদের জন্মভূমি ছিল এই যুক্তিতে গায়ের জোরে দখল নেয়াটা এদের পক্ষেই সম্ভব।
এই বিষয়ে ইউরোপিয়ানদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে ইয়াসির আরাফাতের স্পষ্ট বাক্য ছিল,'ইসরাইলীদের জন্য আপনাদের এতো দরদ থাকলে ইউরোপ, আমেরিকায় আপনাদের বিস্তীর্ণ ভূমি রয়েছে, আপনারা ওখান থেকে জমির ব্যবস্থা করে দিন। দয়া করে আমাদের জমি দিতে বলবেন না, শত-শত বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি'।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে গণহারে ইহুদি নিধন শুরু হয় বা বিভিন্ন সময়ে খ্রীস্টানরা এদের উপর যে অত্যাচার করেছে, সেই অত্যাচার এরা এখন কয়েক গুণ ফিরিয়ে দিচ্ছেভাগ্যের রসিকতা সেই রোষ, দানবীয় আচরণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মুসলমানদের।

এরা কেমন দানব হয়ে উঠেছে এর একটা উদাহরণ হতে পারে এটা। ১১০ ফিলিস্তানিকে একটা ভবনে আটকে রেখে বোমা মেরে প্রায়
সবাইকে মেরে ফেলে, এতে অন্তত ৩০জন শিশু, নারি ছিলেন। 

(গড থেকে আল্লাহ আবার একটু ঘুমকাতুরে বেশি। নাকে জয়তুনের তেল দিয়ে ঘুমানোটা ভারী আরামপ্রদ তাঁর জন্যে। এতে সমস্যা নাই কিন্তু 'ইচ্ছা-মৃত্যুর' অপসন থাকলে বেশ হত। ইচ্ছা-মৃত্যুর ব্যবস্থা থাকলে আমি মৃত্যু কামনা করতাম এক্ষণ, এই মুহূর্তে, নির্বিকারচিত্তে।) 

*ছবিসূত্র: ইন্টারনেট, সোর্স, বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

Friday, January 9, 2009

দানব বানাবার কারখানা!

"একটি পাখির বাসা আছে
একটি গরুর গোয়াল আছে
একটি ঘোড়ার আস্তাবল আছে
একটি খরগোসের গর্ত আছে
সবাই বলে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব
আমরা ফিলিস্তানি, আমরা মানুষ(?)
আমাদের কোন আবাসভূমি নাই।"
(ফিনিস্তানি কবি মাহমুদ দারবিশ)


আসলেই কী ফিলিস্তানিরা কখনও তাদের নিজস্ব দেশ নামের ভূ-খন্ড পেয়েছে, বা ছিল? এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক-কুতর্ক চলেছে আর এদিকে জুইশরা কিন্তু ঠিকই কালে কালে একেকটা (link) দানব হয়ে উঠেছে!
২০০৬-এর জুন। ১৯ বছরের একজন ইসরাইলি কর্পোরাল জিলাদ শলিতকে মুক্ত করার নাম করে ইসরাইল প্যালাস্টাইনে অনুপ্রবেশ করে প্যালাস্টাইন সরকারের ৯জন মন্ত্রী, ২০ এম. পিকে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। ইসরাইলের পক্ষেই সম্ভব একটি দেশের মন্ত্রী, এমপিদের অপহরণ করার মত হলিউডি ছবিকে হার মানানো।
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬, ১৯৬৭, ১৯৭৩ সালে আরবদের সংগে যুদ্ধে আরবরা কিছুই করতে পারেনি বরং অনেক সময় নিজেদের জায়গা হারিয়েছে।
ইয়াসির আরাফাত ওরিয়ানা ফালাচির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, "বিশ্ব ভুলে গেছে ১৯২০ সালে আমাদের পিতারা ইহুদীদের সঙ্গে লড়াই করেছিল। তখন তারা কুলিয়ে উঠতে পারেনিনি। কিন্তু ১৯৬৫ থেকে আমরা সমানে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শক্তি অর্জন করি। 'আল ফালাহ' ফিলিস্তানি যোদ্ধাদের ৯৭ ভাগ প্রতিনিধিত্ব করছে। ১৯৬৯-এর ফেব্রুয়ারিতে পপুলার ফ্রন্ট ৫ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এর মধ্যে ৪টি দলই 'আল ফালাহ'র সঙ্গে যোগ দেয়। অন্য একটি ফ্রন্টের নেতা জর্জ হাবাশ শিঘ্রি আমাদের সংগে যোগ দেবেন। আমরা এখন যে অবস্থায় কাটাচ্ছি তা যাযাবরের জীবন, অথচ শত-শত বছর ধরে আমরা এখানে বাস করে আসছি"। (ইন্টারভিউ উইথ হিস্ট্রি/ ওরিয়ানা ফালাচি)
এই ইসরাইলি বা ইহুদিদের ক্ষমতা কতটুকু এটা আঁচ করা মুশকিল। জুইশ (Jewish) কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়কে নিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, "পরোক্ষভাবে ইহুদিরাই বিশ্বকে শাসন করছে। আমেরিকা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে আর আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে জুইশ কমিউনিটি। বিশ্বের অস্ত্র, মিডিয়া, ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুইশ কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরোপুরি। গত ৫০ বছরেও বেশি সময় ধরে প্যালেস্টাইনের উপর তারা যে অন্যায় করেছে তা Clash of Civilisation- এর মোড়কে বৈধ করে নিয়েছে পশ্চিমি সমাজ।বুশের প্রকাশ্যে সমর্থন ছিল ইহুদিদের প্রতি। আর কন্ডোলিনা রাইস তার প্রথম ইসরাইল সফরের পর বলেন, নিজের বাড়িতে ফিরে আসা"। 
বুশ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর যেমন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার, পেন্টাগন অ্যাডভাইজার, চিফ পলিসি ডিরেক্টর, পলিটিকাল মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা, বাজেট ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, ফরেন সার্ভিস ডিরেক্টর, হোয়াইট হাউজের স্পিচ রাইটার, নাসার অ্যাডমিস্ট্রেটরসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল জুইশরা। কর্পোরেট হাইসগুলোর অধিকাংশ কোম্পানীর মালিক, সিও, প্রধান নির্বাহী জুইশরা। এটা মাইক্রোসফট হোক আর জাপানি কোম্পানি সনি।
মিডিয়ায়ও এদের দাপটের শেষ নাই। টাইম ওয়ার্নার-ওয়ার্নার ব্রাদার্স, এদের সহযোগি প্রতিষ্ঠান AOL, HBO, সিনেমেক্স, পলিগ্রাম এদের নাম কে না জানে? ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইহুদি, চিফ এক্সিকিউটিভ বা সি,ও জেরাল্ড লেভিন ছিলেন ইহুদি। টেড টার্নারের সি, এন, এন হাল ছেড়ে দেয় ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে। ছড়ি ঘোরাত ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এরা কেমন করে লোকজনকে প্রভাবিত করে এর একটা উদাহরণ দেয়াটা সমীচীন হবে।
নাইন ইলাভেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংশ হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ফুটেজ দেখানো হচ্ছিল। একটা ফুটেজ সাধারণ মানুষকে হতভম্ব করেছিল সেটা হচ্ছে, এই ধ্বংশের পর প্যালাস্টাইনরা আকাশে শূণ্যে গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। এই দৃশ্য দেখে যেকোন সচেতন মানুষ আহত হবেন এতে সন্দেহ কী!
কিছুদিন পর সিএনএন খুবই অবহেলার সংগে টেলপে লিখে জানায়, ফুটেজটি ছিল পুরনো এবং এটা ভুলবশত দেখানো হয়েছে।
'টাইম' ম্যাগাজিনসহ বিশ্বের নন্দিত অন্তত ৫০টি পত্রিকা ওয়ার্নার গ্রুপের। ওয়াল্ট ডিজনির সিও মাইকেল আইসনার ছিলেন ইহুদি। মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডকের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আছে জুইশদের সমর্থন, প্রভাব। বলা হয়ে থাকে মারডকের মা ছিলেন ইহুদি। এমন অজস্র উদাহরণ আছে।
জুইশ কমিউনিটি থেকে এসেছেন স্ট্যানলি কুবরিক, রোমান পোলানস্কি, উডি অ্যালান, এলিজাবেথ টেইলর, ডাস্টিন হফম্যান, হ্যারিসন ফোর্ড, ডগলাস, বব ডিলান, ডেভিড কপারফিল্ড, আসিমভ, আইনস্টাইন, হুডিনি, কাফকা- এই তালিকা অনেক লম্বা। 
জুইশদের পক্ষে জনমত গঠনে যেসব দুর্দান্ত মুভি হয়েছে এগুলো আমাদেরও কম প্রভাবিত, কম আবেগতাড়িত করে না! কারণ 'শিল্ডলার্স লিস্ট', 'মিউনিখ' বানিয়েছেন স্পিলবার্গ, এসেছেন জুইশ কমিউনিটি থেকে। এরা যে যেখানেই থাকেন কিন্তু তাদের স্বপ্নভূমিকে কখনও বিস্মৃত হননি। এদের জোরটা কতটা নিতল এটা কেবল অনুমানই করাই সম্ভব।
প্রকারান্তরে এই গ্রহ শাসন করছে মোটা দাগে আমেরিকা, সূক্ষ দাগে জুইশ কমিউনিটি। এ গ্রহের প্রয়েজনীয় সমস্ত কিছু নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসতে হবে। সব কিছুর মূলে ব্যবসা। অস্ত্র খুব লাভজনক ব্যবসা। হিউজ ইনভেস্ট, এই যে এতসব হাইটেক মারণাস্ত্র বানানো হচ্ছে মহড়া দেয়ার তো উপায় নাই। তো, যুদ্ধ লাগাও। আগের ক্লাস্টার বোমায় একশ প্রাণ নষ্ট হতো এখনকার ক্লাস্টার  বোমায় পাঁচশ মানুষ ঘায়েল হচ্ছে। আরাম করে যুদ্ধের ভিজ্যুয়াল দেখো, শ্যাম্পেনে চুমুক দাও। দরদাম করো, অর্ডার দাও। ডিল।

তেল নামের জ্বালানীটা খুব প্রয়োজন। প্রকৃতি এটা আবার উপুড় করে দিয়েছে কিছু মরুভূমির দেশগুলোকে। খুব বেশি বছর হয়নি ইরানিরা আমাদের দেশে এসে হকারি করত, ছুঁরি-চাকু ধার দিত।
প্রথমে ঠিক করতে হবে কোন-কোন দেশ তেলে ভাসছে। কুয়েতকে শুইয়ে ফেলতে হবে অতএব ইরাককে উস্কে দাও। সৌদি একটা স্পর্শকাতর দেশ, মুসলমানদের তীর্থভূমি। এখানে খানিকটা রয়েসয়ে। কিন্তু ইরাক কুয়েত দখল করে নিচ্ছে, সৌদির সুড়সুড় করে লাইনে না এসে উপায় কী! এই বদুরা ওরফে বর্বরদের এখন আবার বন্দুকের চেয়ে চামড়ার বন্দুক চালাবার আগ্রহই বেশি!  
ইরাককে কুর্দি দিয়ে কাবু করতে হবে, কুর্দিদের মেরে ফেলার জন্য এরাই রাসায়নিক অস্ত্র বিক্রি করবে। বেয়াদবী করলে রাসায়নিক অস্ত্র আছে এই দোহাই দিয়ে ইরাককে ঝুলিয়ে ফেলতে হবে।
কুর্দিদের এরা কী পর্যায়ে অত্যাচার করেছে এর একটা নমুনা এমন: একজন ইরাকি কুর্দি আরি বলেন, "I know i am recist but i can't help it. আরবদের আমি ঘৃণা করি, এমনকি মুসলমানদেরও। আমি কোরআন পড়ি না, কেন না এটা আরবিতে লেখা। আমি ইসলাম মানি না কেননা এটা আরবদের মাধ্যমে এসেছে।"
সবই খেলা, একটা গেমের অংশ। আমরা আকাশপানে তাকিয়ে থাকি। জুম্মাবারে মুসলিম উম্মার জন্য দোয়াপর্ব কয়েক মিনিট দীর্ঘ হয়...। ক্রমশ গোটা পৃথিবী মোমিন মুসলমানে ভরে যাচ্ছে। খেলা কিন্তু বন্ধ নেই, খেলা চলছে...!
প্রথমে আসলে ইহুদিদের উপর বিভিন্ন সময় যে অত্যাচার হয়েছে এই স্মৃতিগুলো অহরহ এখনও এদের তাড়া করে, ফলশ্রুতিতে একেকজন গড়ে উঠছে একেকটা চলমান দানব হয়ে। এরা তাদের শিশুদেরকে মস্তিষ্ক নিয়ে খেলা করছে, এদের সাব-কনশান মাইন্ডেও ঢুকিয়ে দিচ্ছে তীব্র ঘৃণা! বানাচ্ছে আগামি একেকটা দিনের দানব। তাই এদের শিশুরা মিসাইলে গায়ে ফানি-মজার মজার কথা লেখে (সেই মিসাইলেই আহত হয়, প্রাণ হারায় ফিনিস্তানি শিশু) কারণ এদেরকে শেখানো হচ্ছে, মিসাইল, শিশু-মৃত্যু এসব হচ্ছে খেলার একটা অংশ। মজার- খুব মজার, শৈশবের একটা খেলা।

ছবিঋণ: sabbah.biz মতান্তরে এএফপি 
আংশিক ঋণ: মোহাম্মদ মাহামুদুজ্জামান

সহায়ক সূত্র:
১. জুইশদের দানব হয়ে উঠা: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_10.html
২. গ্রহ অধিপতি...: http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_18.html